আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিল্পকলায় নারী চলচ্চিত্র নির্মাতাদের চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৩

দিলের দরজা ২৪/৭ খুইলা রাখি মাছি বসে মানুষ বসে না। মানুষ খালি উড়াল পারে! এক দিন আমি ও দিমু উড়াল, নিজের পায়ে নিজে মাইরা কুড়াল...
আজ থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে ৬ দিন ব্যাপী বংলাদেশের ২২ জন নারী নির্মাতার নির্মীত ৩১টি চলচ্চিত্রের উৎসব। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। ২২ জন নির্মাতার মধ্যে যেমন রয়েছেন সারাহ বেগম কবরী, কোহিনূর আক্তার সুচন্দা, নার্গিস আখতার তেমনি আবার আছেন ক্যাথরিন মাসুদ, ইয়াসমিন কবির ও অন্নান্য প্রথিতযশা নির্মাতারা। আবার একেবারেই নবীন যারা মাত্র শুরু করেছেন তাঁদের ও স্থান হয়েছে এই নারীনির্মাতাদের নির্মাণ উৎসবে।

উৎসবের শুরুর দিন নির্মাতাদের এক প্রানবন্ত মতবিনিময়(অভিজ্ঞতা বিনিময়) অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে ধন্য মনে করছি নিজেকে। (থ্যাংক্স রেশমী, চলে যাবার পথ আগলে টেনে সেমিনার হলে নিয়ে যাবার জন্য। )। কেন আলাদা করে নারী নির্মাতাদের নিয়ে পৃথক উৎসব, তা বুঝিয়ে বলা হলো। একটা কথা মনে ধরেছে বেশী, নরীর চোখ দিয়ে দেখবার বিষয়টি।

নির্মাতারা একে একে বলছিলেন জীবন থেকে নেয়া তাঁদের সব স্ট্রাগলের কথা। শুনছিলাম আর নিজের সাথে মেলাচ্ছিলাম আর মনে মনে বলছিলাম, আয় হায় এই প্রতিবন্ধকতা তো আমারও! এই হতাশাতো আমারও ফেইস করতে হয়! এই যুদ্ধতো আমিও করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত! ইয়াসমিন কবীরের কথার সাথে মিলে গেল হুবহু। আমিও একা কাজ করি। আমিও নিজের মত করে নিজেই কাজ করতে ভালোবাসি। শবনম ফেদৌসি বলছিলেন, নারীরা কেন প্রমাণ্যচিত্র বানান? বলছিলেন, ফিকশন ফিল্মের বড় অঙ্গিনায় ঠেলাঠেলি করে নিজের স্থান করে নিতে যেই যুদ্ধ মোকাবেলা করতে হয়, সে যুদ্ধকে অতিক্রম করে নির্মাতা হিসেবে নিজের যায়গা করে নেয়া কতটা কঠিন।

শেষ বক্তা যখন বলছিলেন, এই সমাজে ফ্রিল্যান্স ফিল্মমেকার কাউকে দেয়ার মত কোন পরিচয় না। তিনি তাঁর ফ্যামিলির ইচ্ছা মত তাই বিসিএস দিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে সরকারী চাকরি নিতে বাধ্য হয়েছেন। তখনতো আমি পুরাই ফ্রীল্যান্স ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্মমেকার হয়ে গেলাম মাননীয় স্পীকার!!! আজকের এই অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় বসে নির্মাতাদের কথা শুনতে শুনতে নিজেকেও এক জন নারী নির্মাতা ভেবে ফেলে ছিলাম প্রায়! সম্বিত এলো যখন কেউ এক জন পেছন থেকে ডাকলেন হেলাল ভাই বলে। তখন মনে হল, আরে আমিতো বোন না ভাই! :p আগামী কাল থেকে প্রতি দিন চলচ্চিত্র প্রদর্শনী শুরু হবে বিকাল ৩টায়। প্রতিদিন ৩টি করে প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।

বিকাল ৩টায়, বিকাল ৫টায় এবং সন্ধ্যা ৭টায়। বন্ধুরা সময় করে ছবি দেখতে যাবেন। উৎসবের বিস্তারিত জানতে, Click This Link জয় বাংলাদেশের নরী নির্মাতাদের জয়! জয় বাংলাদেশের সিনেমার জয়!
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।