আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ওয়াশিংটনের কাছে ব্যাখ্যা দাবি

লিবিয়ায় মার্কিন কমান্ডো অভিযানের ব্যাপারে ওয়াশিংটনের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে ত্রিপোলি। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওই অভিযানের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছেন, কথিত আল-কায়েদা নেতাকে ধরতে লিবিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অভিযান বৈধ।
গত শনিবার লিবিয়া ও সোমালিয়ায় শীর্ষ ইসলামি জঙ্গিদের অবস্থানে দুটি আলাদা অভিযান চালিয়েছে মার্কিন বিশেষ কমান্ডো বাহিনী। লিবিয়ায় অভিযান চালিয়ে তারা আল-কায়েদার জ্যেষ্ঠ নেতা আবু আনাস আল-লিবিকে গ্রেপ্তার করে। লিবিয়ার অভিযোগ, তাদের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করে লিবিকে অপহরণ করেছে মার্কিন বাহিনী।

এ ঘটনায় ওয়াশিংটনের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে ত্রিপোলি।
তবে লিবিকে অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি গতকাল সোমবার বলেন, বৈধভাবে অভিযান চালিয়ে লিবিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলী জাইদান বলেন, আগে থেকে না জানিয়ে তাঁদের দেশের অভ্যন্তরে মার্কিন বিশেষ বাহিনী অভিযান চালিয়েছে। তারা আল-কায়েদার কথিত জ্যেষ্ঠ নেতা আল-লিবিকে অপহরণ করেছে। তাই বিষয়টি নিয়ে গত রোববার তাঁর দেশ ওয়াশিংটনের কাছে ব্যাখ্যা দাবি করেছে।


ব্যাখ্যা দাবি করে লিবিয়া সরকারের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, লিবিয়ায় মার্কিন বিশেষ বাহিনীর অভিযানের পরিকল্পনা সম্পর্কে সরকারকে আগে থেকে কিছুই জানানো হয়নি। লিবিয়ার একজন নাগরিককে অপহরণের খবরের দিকে নজর রাখছে সরকার। খবরটি জানার পর মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে তাদের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। লিবিয়ার কোনো নাগরিকের বিচার সরকার নিজ দেশেই করতে চায়।


অবশ্য এর আগে একজন মার্কিন কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেছিলেন, লিবিয়ার সরকারকে জানিয়েই ওই অভিযান চালানো হয়েছে।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে অভিযান চালিয়ে আল-কায়েদার নেতা লিবিকে গ্রেপ্তার করে মার্কিন কমান্ডোরা। লিবি ১৯৯৮ সালে কেনিয়া ও তানজানিয়ায় মার্কিন দূতাবাসে হামলার সঙ্গে জড়িত বলে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে আসছে।
গত রোববার লিবিকে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের মুখপাত্র জর্জ লিটল।
লিবিকে বৈধভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘লিবিকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। লিবি এখন আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন। আমাদের উচিত আইনের শাসনের গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া। ’ এএফপি ও বিবিসি।



সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।