আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দিলওয়ার স্মরণে

সম্পাদনা করি আমিরাত-বাংলা মাসিক মুকুল। ভালবাসি মা, মাটি ও মানুষকে..

তাঁর সাথে প্রথম দেখা ২০০৪ সালে। দৈনিক জালালাবাদ পত্রিকার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার চৌধুরী দেলওয়ার হোসেন জিলনের সাথে গিয়েছিলাম কবির সান্নিধ্য লাভে। সুরমা পাড়ের ভার্থখলায় কবির নিলয়। খাঁন মঞ্জিল।

সুনসান মায়াবি প্রকৃতির সৌন্দর্যে ঘেরা কবির আলয়। কবির মাটির প্রতি টান ও মানুষের প্রতি মমত্ববোধ দেখেই সেদিন থেকে আরো বেশি ভক্ত হয়ে গেলাম। এর পর থেকে সিলেট শহরে পা রাখলেই কারণে অকারণে কতোবার যে কবির দরোজায় গিয়েছি। আর নিয়েছি সাধের কলসি ভরে। ২০০৮ সাল পর্যন্ত নিয়মিত কবির জন্মদিনে যাওয়া হতো।

সর্বশেষ বিয়ানীবাজারের সুশীল সমাজের সাথে কবির বাসায় আড্ডা হলো। পরম আত্মীয়ের মতো কবি সবাইকে বরণ করে নিলেন। কবির বাসায় গেলেই মিষ্টি থাকতো ফ্রি। সেই সাথে ২০০৪ সালে্ই যখন দেশে ইন্টারনেটের এতো বিপ্বলব ঘটেনি তখনই কবি আমাকে দেখিয়েছিলেন ক্লিনটনকে ইংরেজীতে লিখা তার চিঠি আর মেইলে আসা এর উত্তর। এখন আজ এই সময়ে এসে বুঝতে পারছি কবি আজ থেকে এক যুগ আগেও কতো স্মার্ট ছিলেন।

সর্বশেষ দেশে যা্ওয়া হয়েছিলো ২০১১ তে। কবির বাসায় গিয়েছিলাম আমার "স্বপ্নবালিকা' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করতে অতিথি করার প্রস্তাব নিয়ে। সাত পাঁচ না ভেবেই সায় দিয়েছিলেন। আহবান করেছিলেন তাঁর বারান্দায়। পরে অবশ্য সিলেট শহরের কোথাও করার পরামর্শও দিয়েছিলেন।

কিন্তু আমার সময় স্বপ্লতার জন্যে অবশেষে বিয়ানীবাজারেই অনুষ্ঠানটি করি কবিকে ছাড়া। কবির স্বাস্থ্য তখনো ভালো ছিলোনা বলে শহরের বাইরে কোথাও যেতেন না। পরেই বিদেশ আসার পর ২০১২ সালের প্রথম দিকে ফোনে অনেক কথা হয়েছে। ডেইলি একটা করে আমাকে ইংলিশ বাঙলা এসএমএস দিতেন মোবাইলে। কবির ভাবনা আমাকে আন্দোলিত করতো।

আজ সুরমা পাড় যেন তীরটা হারালো। দেশ যেন একজন গণমানুষের আপনজন হারালো। পরপারে সুখে থাকেন কবি। আর এসএমএস আসবেনা। খাঁন মঞ্জিলে আর কেউ বলবেনা- অবা, হুনো বিদেশ যেনো উ থাখো আরো ভালা খরি চিন্তা দিয়া দেশ খাঁফানি যায়।

আমারে দেখো মেইল খরি আমেরিকাত বোমা মারি...। "


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।