আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রেড অ্যালার্টে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা

২৪ অক্টোবর সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। যে কোনো সময়ে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ ও র‌্যাবের রয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। দেশের সব কটি মেট্রোপলিটন এলাকাসহ সব থানার পুলিশ থাকবে স্ট্যান্ডবাই। রাস্তায় রাস্তায় টহল দেবে র‌্যাব ও পুলিশের গাড়ি। আকাশে উড়বে র‌্যাবের হেলিকপ্টার।

প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে বলা হয়েছে বিজিবিকে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদের পর সারা দেশে জারি করা হবে রেড অ্যালার্ট। সংশ্লিষ্টরা জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে ঘিরে সরকার ও বিরোধী দল এখন মুখোমুখি অবস্থানে। এমন পরিস্থিতিতে ২৪ অক্টোবর শেষ হচ্ছে জাতীয় সংসদের মেয়াদ। এ সময়ে সারা দেশে বড় আকারের নাশকতার আশঙ্কা করছে সরকার।

এ সুযোগে স্বার্থান্বেষী একটি চক্র দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা করছে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল। সরকারের অবস্থান দুর্বল করতে এরা বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক পন্থা নিতে পারে। ফলে সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আমরা সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকার নির্দেশ পেয়েছি। কোনোভাবেই যাতে নিজেদের এলাকায় কোনো বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ড না ঘটে, সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদেরও পর্যবেক্ষণে রাখার নির্দেশ পেয়েছি। পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, জানমাল রক্ষায় পুলিশের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা হবে। জননিরাপত্তা বিঘ্নকারীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, দেশের সব কটি জেলা শহরেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। সঙ্গে থাকবেন আনসার সদস্য।

আর্মড ফোর্সেস ব্যাটালিয়নের বেশির ভাগ সদস্যকেই ওই সময়ে ফিল্ডে দায়িত্ব দেওয়া হবে। স্ট্যান্ডবাই রাখা হবে রিজার্ভ পুলিশ। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সদা সতর্ক থাকবেন নিরাপত্তাকর্মীরা। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোয় নিরাপত্তা বাড়ানো হবে। এ রকম স্থাপনাগুলোয় পুলিশের পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক আনসার সদস্য মোতায়েন করা হবে।

এ তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন, বেতার ভবন, কমলাপুর রেলওয়ে, সচিবালয় এলাকা, কূটনৈতিক এলাকা, সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ অফিস, বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, বাস, লঞ্চ টার্মিনাল ও ভিআইপি এলাকা। সূত্র মতে, সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেশের সব কটি জেলার পুলিশ সুপারের কাছে একটি ফ্যাঙ্বার্তা পাঠানো হয়েছে। বার্তায় মিছিল, মিটিং ও নাশকতা রোধে তাদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকার আদেশ দেওয়া হয়। অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড ঠেকাতে প্রয়োজনে যে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু ঢাকার নিরাপত্তায় ২০ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে।

এর বাইরে দায়িত্বে থাকবেন র্যাব, পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য। এ নির্দেশ পাওয়ার পরে সারা দেশে প্রতিটি থানার কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্ব-স্ব ঊধর্্বতন কর্মকর্তারা। বিশেষত কয়েকটি জেলায় বিশেষ সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকাসহ সব কটি বিভাগ ও গুরুত্বপূর্ণ জেলা শহরে প্রহরার সংখ্যা অনেক বাড়ানো হবে। এসব এলাকায় নিয়মিত থানা পুলিশের পাশাপাশি আর্মড পুলিশ মোতায়েন করা হবে।

টহল পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হবে কয়েক গুণ। নির্দেশ পাওয়ার পরে থানাগুলোর ওসিরা নিজেরাই টহলব্যবস্থার তদারকি করবেন। থানা এলাকার সব অলিগলি থেকে বাণিজ্যিক এলাকায় বিশেষ টহল দেওয়া হবে। ইউনিফর্ম পরা পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সদস্যরাও নিয়মিত টহল দেবেন। সূত্র জানায়, পুলিশের পাশাপাশি টহলে থাকবে র্যাবের টিম।

ওই সময়ে এ কাজেই তাদের মনোযোগ বেশি দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। মোটরসাইকেল, পিকআপ ও মাইক্রোবাসে করে র্যাব সদস্যরা নিয়মিত টহল দেবেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জামায়াত নেতাদের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় তালিকা ধরে তাদের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সন্দেহজনক কিছু পাওয়া গেলেই গ্রেফতার করার নির্দেশ পেয়েছেন মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।