আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জয়ের সঙ্গে তারেকের তুলনা সমীচীন নয়: মুহিত

তার বিচারে বিএনপির সিনিয়ার ভাইস চেয়ারম্যান তারেক একজন ‘দস্যু শ্রেণির’ মানুষ। অন্যদিকে জয় বঙ্গবন্ধুর নাতি হিসাবে নিজের ‘স্ট্যটাস’ বজায় রেখে চলেছেন।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির একটি হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে এক মত বিনিময় অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমি তো ভেবেছিলাম তারেক রহমানের মত একজন দস্যু শ্রেণির মানুষের নাম দেশের মানুষ লজ্জায় মুখেই আনবে না। তারপরও দেখছি কিছু লোক তারেক রহমানের জীবন-কর্ম নিয়ে বানেয়াট প্রবন্ধ লিখছেন এবং সে সব লেখা নিয়ে পুস্তকও প্রকাশিত হচ্ছে। এটা আমি চিন্তাও করতে পারিনি।


এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, “জয়ের সাথে তারেকের কোনো তুলনাই হতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর নাতি সজীব ওয়াজেদ জয় নিজের স্ট্যটাস বজায় রেখে চলেছেন। অন্য প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রীপুত্রের মতো কোনো ধরনের অপকর্মে জড়াননি। ”
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মুহিতের বিচারে, জয় এখনও অনেক ‘ভাল অবস্থানে’ রয়েছেন।
“ইতিহাস সাক্ষী দেয়, অনেক প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের সন্তান নানা অপকর্মে লিপ্ত থাকেন, জয় তাদের চেয়ে একেবারেই আলাদা।

বহু অপকর্মের হোতা তারেকের সাথে জয়ের তুলনা করা সমীচীন নয়। ”
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হন তারেক রহমান। সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। প্রায় দেড় ডজন মামলা মাথায় নিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে স্ত্রী-সন্তানসহ সেখানেই অবস্থান করছেন তারেক।
 
  রাজধানীর ইমানুয়েল কনফারেন্স হলে শনিবার সেন্টার ফর সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন আয়োজিত ‘লেটস টক’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।

ছবি:মুস্তাফিজ মামুন/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
রাজধানীর ইমানুয়েল কনফারেন্স হলে শনিবার সেন্টার ফর সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন আয়োজিত ‘লেটস টক’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। ছবি:মুস্তাফিজ মামুন/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করেন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ হিসাবে। তবে নির্বাচন সামনে রেখে তিনি দেশে নিয়মিতই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন এবং আওয়ামী লীগকে আবারো ভোট দিয়ে ক্ষমতায় নেয়ার জন্য যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করছেন।    
আসছে ১ জানুয়ারি নিজের বয়স ৮০ পূর্ণ হবে জানিয়ে মুহিত বলেন, তিনি আর নির্বাচন করতে আগ্রহী ছিলেন না।
“কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করব কীভাবে? এজন্যেই হয়তো এবারও সিলেট থেকেই প্রার্থী হতে হবে।

তবে সবটাই নির্ভর করছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের ওপর। তারা যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে নির্বাচনের ময়দানে থাকতেই হবে। ”
প্রবাসীদের সঙ্গে এ মতবিনিময়ে গ্রামীণ ব্যাংক ও মুহাম্মদ ইউনূসের প্রসঙ্গও আসে।
অর্থমন্ত্রী দাবি করেন, গ্রামীণ ব্যাংক এখন আগের চেয়ে অনেক ভাল চলছে। এই ব্যাংকের কর্মীরাও এখন ‘স্বচ্ছন্দে’ কাজ করার পরিবেশ পেয়েছেন।


“আগে সবকিছু নির্ভর করতো ড. ইউনূসের মর্জির ওপর। তিনিই তো সেটির প্রতিষ্ঠাতা।
“এরশাদের অর্থমন্ত্রী থাকাকালে আমার হাত দিয়েই গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার লাইসেন্স ইস্যু হয়েছে। তাই গ্রামীণের প্রতি আমারও আšরিকতার অভাব নেই। ”
ইউনূস নিজের ‘আন্তর্জাতিক খ্যাতি ব্যবহার করে’ গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কে বিশ্বে ‘নানা অপপ্রচার’ চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন অর্থমন্ত্রী।


তিনি বলেন, “গ্রামীণকে টুকরো টুকরো করা হবে বলে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে সেটি সর্বৈব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ”
অন্যদের মধ্যে ওয়াশিংটনের বাঙালি কম্যুনিটির নেতা ড. শাহজাহান মাহমুদ, মাহমুদুন্নবী বাকী, শিব্বির আহমেদ, আলমগীর সোহেল, করিম বাচ্চু, আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক জিয়াউদ্দিন খান ও জি আই রাসেল মতবিনিময়ে অংশ নেন।
বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে গত ৯ অক্টোবর ওয়াশিংটনে আসেন মুহিত। সোমবার তার দেশে ফিরে সিলেটে কোরবানির ঈদ পালনের কথা রয়েছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.