আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অগ্রজ স্মরণে..আমার হলো শুরু তোমার হলো সারা

ব্লগিং এ আমার বয়স মাত্র কয়েকমাস। বলতে গেলে আমার যখন শুরু শ্রদ্ধেয় ব্লগার ইমন জোবায়ের ভাইয়ের যাত্রা শেষ । তার লেখাগুলি বৈচিত্রে ভরা। শিরোনাম গুলিই বলে দিবে তিনি কত আঙ্গিকে চিন্তা করেছেন,করতেন । আর তার পোস্টগুলো পড়লেই এটি উপলব্ধি করা যাবে তিনি কতটা জানেন ? বা তার জ্ঞানের গভীরতা কত বেশি ? সত্যিই বিস্ময়কর ।

এতগুলো বিষয়ে এত গভীর ভাবে জানা তাকে শ্রদ্ধা করতেই হয়। তিনি শুধুই অগ্রজ নন আলোকবর্তিকাও বটে । তার একটা পোস্ট ‍‌‍‌‌‌‌‍‌‌‌‌"শায়মা আপা ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছেনা "শিরোনামে । এটা একজন স্নেহাস্পদ অনুজ ব্লগারকে গুরুত্ব দেয়া যা নিসন্দেহে একজন অনুজকে অনুপ্রাণিত করার দৃপ্ত পদক্ষেপ। বাংলা সাহিত্যে তিনি নক্ষত্রটি তিনি হয়ে উঠেছিলেনছিলেন কিনা তা আমার জানা নাই ।

তবে ব্লগিং এর ক্ষেত্রে তিনি বটবৃক্ষটি হতে পেরেছিলেন ঠিকই যার ছায়াতলে ক্লান্ত পথিক আশ্রয় পায়,সুশীতল ছায়া পায় আর পাখিগুলো আবাস পায়। নক্ষত্র নতুন নক্ষত্রের জন্ম দিতে পারে না। তাকে আমি সন্ধ্যা প্রদীপই বলবো। যে প্রদীপ রাতের আঁধারে আলো বিলায়। যে প্রদীপের শিখায় হাজার প্রদীপ শিখা জ্বলে ওঠে ঠিক তেমনি।

তার অনুপ্রেরণায় কিংবা জাদু কাঠির স্পর্শে হয়তো অনেকের পদচারণা এই সৃজনশীল রঙ্গমঞ্চে। আর তিনি সকলের ভালোবাসা আদায় করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি একজন ইতিহাস বিশারদ ছিলেন । আরাকানে রোহিঙ্গা জাতি ধরণের অনেক লেখাই তার প্রমাণ। তিনি ফিকশন লিখেছেন।

তিনি ভৌতিক গল্পও লিখেছেন । কোন কিছু তার সূক্ষ মেধাকে ফাঁকি দিতে পারে নাই। এক কথায় তিনি ছিলে বহুমাত্রিক প্রতিভা। শ্রদ্ধেয় আরজুপনি তার অপরবাস্তব এর জন্য সদ্য প্রয়াত ইমন জোবায়ের এর পাঁচটি লেখা আহবান করে পোস্ট দিলেন । আমি বিনম্রভাবে অপারগতা প্রকাশ করি।

তার ১৫০০ পোস্ট থেকে পাঁচটি পোস্ট চয়েজ করা ,ও আমার কর্ম নয়। সেই যোগ্যতা আমার নাই । শ্রদ্ধেয় জানা ,কৌশিক,শরৎ,নাফিস ইফতেখার,ত্রিভুজ,নীল সাধু ,রাগ ইমন রাগিব,আরিজোয়ানা,শায়মা,আরজুপনি,শিপু ভাই,স্বর্ণা.গিয়াস লিটন,কাল্পনিক ভালোবাসা,মাহমুদ হোসেন কায়রো প্রমুখ প্রখ্যাত ব্লগাররা এইকাজের উপযুক্ত। আর আমি ? আমার আফসোস তার সঙ্গে সাক্ষাৎ হলো না । তার সঙ্গে আমার কোন স্মৃতি নাই এটাই এখন বড় স্মৃতি আমার কাছে।

আর তাই তাঁর মৃত্যুর এতদিন পরে আমার স্মৃতি চারণ । একেবারে প্রস্তুতি ছাড়া কোন কিছু লিখা আমার দৃষ্টিতে যৌক্তিকও নয়। ইমন জোবায়ের ভাই মাত্র ছিছল্লিশ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করলেন। অকাল প্রয়াণ । আমরা একজন দিকপালকে হারালাম।

অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল । তাঁর আত্না শান্তি পাক । তার মানস পটে লালিত স্বপ্ন গুলোর বাস্তবায়ন ঘটুক। তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ব্লগার দের স্মরণীয় স্মৃতি গুলো কমেন্টে আসতে পারে । সেগুলোও তাহলে অমরত্ব লাভ করবে।

আর আমরাও শ্রদ্ধেয় ইমন জোবায়ের সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবো।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।