আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মির্জা ফখরুল এর ইন্টারভিও-- হাম্বারা যা চায়, যা দেয়া উচিত ছিল

ভাই, অফ যা, আর কান্দিস না।

দৈনিক ভাদার আলোতে বিশিষ্ট হাম্বা মিজানুর রহমান খান মির্জা ফখরুল সাহেবের একটা ইন্টারভিও নিয়েছেন। এরকম সাক্ষাতকার *-আলো আগেও নিয়েছিল, ২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে, সৈয়দ আশরাফ সাহেবের। তবে, সেটার সাথে এখনকার বিস্তর তফাত। সেখানে অনেক মধু-মধু রসের আলাপ ছিল, যেমন "আম্লীগ এবার অনেক ভালো ভালো প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে", [তা তো দেখলাম ৫ বছর], "ডিজিটাল বাংলাদেশ এর কনসেপ্ট সবার পছন্দ হয়েছে", "দিন বদলের ইশতেহার অনেক প্রশংসিত"; তবে মির্জা ফখরুল সাহেবের সাক্ষাতকার ছিল এর সম্পূর্ন বিপরীত, কন্টাকাকীর্ন, এসিডের মত।

এই সাক্ষাতকারের মাধ্যমে হাম্বারা আসলে যেসব বিষয় তুলে আনতে চেয়েছিল, এবং মির্জা ফখরুল সাহেব ডিপ্লোমেটিক উত্তর না দিয়ে যদি আক্রমনাত্বক উত্তর দিলে যেমন হতে পারতো, প্রথম আলো: আপনার বাড়ির নাম কুসুমিত অথচ আপনি কণ্টকিত রাজনীতির জাল বুনছেন। নির্বাচন ঠেকানোর ঘোষণায় দেশের মানুষ খুবই উদ্বিগ্ন। ফখরুলঃ কও যে শুধু হাম্বারা উদ্বিগ্ন। আম্লীগ দূর হইলে সবাই মিলাদ পড়বো। কাটার দেখছ টা কি? প্রথম আলোঃ বাট, দেশতো আমাদের জমিদারী।

ইলেকশনে না গেলে হয় না? ফখরুলঃ এটা কও, না হয়না। প্রথম আলোঃ তারেক রহমান এর সমর্থকরা এত ঝাউড়া কেন? কোটারী গোষ্ঠী? ফখরুলঃ ওরা একটু বেশি চালাক। হাম্বাদের চালাকি সব বুঝে। প্রথম আলো: সংগ্রাম কমিটি সহিংস নাকি অহিংস হবে? ভয়ে আছি ফখরুলঃ লগি-বৈঠার কর্মসূচির মতই অহিংস হবে আশা করি। প্রথম আলো: শেখ হাসিনাকে রেখে নির্বাচনে যাবেন না বলছেন।

তাহলে কীভাবে সমঝোতা হবে। ফখরুলঃ মজা **ও??? হাসানের অধীনে নির্বাচন হইলে দোষ, আর হাসিনার অধীনে নির্বাচন হইলে দোষ নাই? আর কও আমরা জাল বুনতেছি, হাম্বাগিরি বাদ দিয়ে ভালা হয়ে যাও বুঝলা? প্রথম আলো: খালেদা জিয়া নির্দিষ্ট করে শুধু শেখ হাসিনার কথা বলেছেন। আপনি কি আরেকটু ব্যাপকতা দিয়ে আওয়ামী লীগের কেউ থাকতে পারবে না, এমনটাই বলছেন? আম্লীগের কারো অধীনে নির্বাচন করা যায়না? প্লীজ নাহ, প্রথম আলো: নতুন ধারার রাজনীতির কথা আগেও শুনেছি। কিন্তু প্রতিহিংসার রাজনীতি বিএনপি করেছে। জন্মদিনে কেক কাটা এর অন্যতম।

এতে উষ্মা প্রকাশ করে মওদুদ আহমদও লিখেছেন। আমরা খুব ভয়ে আছি। ইয়ার্কি চোদাও? কেক কাটা প্রতিহিংসা, তিন বারের প্রধানমন্ত্রীরে বাড়ি ছাড়া করার সময় মনে আছিল না, ****র ছেলে? কেউ মরলে, অন্য কেউ জন্মদিন পালন করতে পারবেনা, এমন কথা কি তুমার সংবিধানে লিখা আছে নাকি? ফাতরামি অফ কর, সব হিসাব নেয়া হবে। প্রথম আলো: ঠিক এই ধরনের মামলা আপনারাও করেছেন। ফের ক্ষমতায় গিয়েও করবেন না, সে লক্ষ্যে জনমনে আস্থা সৃষ্টিতে বা কোনো গুণগত পরিবর্তন আনতে বিএনপিকে সৎ মনে হয় না।

হাম্বারা আপনাদের দিকে সম্ভবত সেভাবে তাকাতে পারে না। ফখরুলঃ আমাদের কথা বাদ দাও, তারাতো নিজেরাই নিজেদের কে জেলে দেখতে পাচ্ছে। কূটনৈতিক পাড়ায় গিয়ে বলে বেড়াইতেছে আমরা ক্ষমতায় আসলে ওরা সব জেলে যাবে। আসলে এত কুকাম করছে, যে প্রতিহিংসার দরকারও নাই। প্রথম আলো: আপনি বিএনপির ব্যর্থতা ব্যাখ্যা করুন।

আপনি কিন্তু আওয়ামী লীগের সমালোচনায় গেলেন। আম্লীগের সমালোচনা করা সুশীল সমাজে, মিডিয়াতে নিষিদ্ধ। ফখরুলঃ হুম, বিএনপির বিশাল ব্যার্থতা আছে। এত জনপ্রিয়তা থাকতে বাকশালীরা যে দুইবার ক্ষমতায় আসতে পারছে এটা আমাদের বিশাল ব্যার্থতা। প্রথম আলো: আপনাদের কোনো অনুশোচনা নেই।

আওয়ামী লীগের কাছে কোনো ক্ষমা প্রার্থনা নেই। যদি নতুন ধারা বলতে শুভ কিছু বোঝাতে চান, তাহলে এটা বাদ দিয়ে হবে না। সমঝোতার এই পথে আসতে হবে। এই দেশে রাজনীতি করতে হলে আম্লীগ রে বাপ ডাইকা রাজনীতি করতে হবে, আমরা দেশের মালিক। ফখরুলঃ দেখ, পোলাতো বাপের থেকে বয়সে বড় তাইলে।

কে কারে বাপ ডাকবো, সেটা কয়দিন পরে দেখা যাবে। তয়, তোরা দেশে থাকিস। প্রথম আলোঃ সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন চালানো ও জঙ্গিদের মদদ দেওয়ার সঙ্গে আপনাদের যেসব মন্ত্রী অভিযুক্ত ছিলেন ফখরুলঃ আবদুর রহমান কি আমার দুলাভাই আছিলো? হালার পুত/ প্রথম আলো: কিন্তু এটাই ধ্রুব সত্য যে চতুর্থ সংশোধনীতেযে বিপ্লব করা হয়েছিল, তা জিয়ার কারনে বাতিল হয়ে গেছে। বলুন এটা সত্য নয়? ফখরুলঃ উফ, জালা। হাম্বারা কেন বোঝেনা যে বাকশাল অসম্ভব, এটা বাংলাদেশ।

এই দেশে রাজনীতি করতে হলে গনতান্ত্রিক উপায়ে করতে হবে। প্রথম আলো: তারেক রহমান কেন নির্বাসিত? আমরা উনাকে হত্যা করতে চাই, মামলা দিয়ে রিমান্ডে পাঠাইয়া নির্যাতন করতে চাই। ফখরুলঃ লন্ডনে বসে একটা মিটিং করলে তোদের ডায়রিয়া শুরু হয়ে যায়, চিন্তা কর দেশে আইলে কি হইবো। প্রথম আলো  এর আগে আপনারা দুই জামায়াতিকে মন্ত্রী করেছিলেন, এবার কতজনকে করবেন? ফখরুলঃ এটার উত্তর আলমগীর, মশা আর মুসার কাছে আছে। প্রথম আলোঃ জামাতরে কি জোট থেকে বাদ দেওন যায় না? আম্লীগের পক্ষে তাইলে ওদেরকে নিয়ে বৃহত্তর মহাজোট করা সম্ভব হতো।

ফখরুলঃ দিমু, আগে ইন্ডিয়ান গুলারে খেদাই। প্রথম আলো  জেনারেল এরশাদের সঙ্গে জোট গঠনের সম্ভাবনা কতটুকু? ফখরুলঃ ওর তো মেশিন অচল। ওরে তুমরাই রাখ। প্রথম আলো  তবে বিএনপি নেতৃত্বের হাল এখন এমনই যে দলটির চেহারা যেন জামায়াতি জঙ্গিত্ব ঢেকে ফেলেছে। ফখরুলঃ জংগীপনায়তো আম্লীক চ্যাম্পিয়ন।

প্রথম আলো  একটি রাজাকার সংগঠনের সঙ্গে আপনারা কৌশলগত ঐক্য করেই চলবেন, নাকি একে ঠেকাতে একটি নীতিগত অবস্থান নেবেন? ফখরুলঃ হুম, অবস্থানে আছি। আম্লীগ হইল এই মূহুর্তে ভারতীয় রাজাকার। ওদেরকে খেদানোর অবস্থানে আছি। প্রথম আলোঃ তারেক রহমান কে নির্বাসিত করে রাখা যায়না?বিদেশের মাটিতে রাজনীতি কেন? এত কিছুর পরও তিনি কেন অপরিহার্য? ফখরুলঃ যার নাম শুনলে হাগুমুতু শুরু হয়, সে রাজনীতি করবেনা, তো কি প্রতিবন্ধিরা করবে? প্রথম আলোঃ আপনাদের আশ্বাসে তো বিশ্বাস রাখতে পারছিনা। আগামীতে দেশে থাকতে পারবো তো? ফখরুলঃ কও কি? এখনও টিকেট কর নাই? শুনছি, অক্টোবর মাসে নাকি কোন বিমানে সিট নাই।

তাড়াতাড়ি টিকেট কইরালাও, এটাই তোমাদের জন্য ভালো। প্রথম আলোঃ আপনাকে ধন্যবাদ। ফখরুলঃ আপনাকেও ধন্যবাদ। আজকে দেখলাম আরেক হাম্বা, আবুল মকসুদ কলাম লিখছে, দশম সংসদ যদি এমন হতো। বোঝা যাচ্চে, বিএনপি ক্ষমতায় আসতেছে এটা তারা ধরেই নিয়েছে।

তাই, আগে থেকে পিঠ বাচানোর ইনিয়ে বিনিয়ে আবেদেন। অনেক কিছু লিখছেন, যেমন প্রধানমন্ত্রী বিরোধিদলীয় নেত্রীরে ফোন করে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, শোল মাছ পাঠাচ্চেন, চিংড়ী মাছ পাঠাচ্ছেন। সরকার-বিরোধী দল মিলে সবাই সুখের সংসার। জাতীয়তাবাদীদের সব সময় একটা কথা বলছি, দেখিস এখন যেসব শুয়োর ছানা মানুষ মেরে উল্লাস করছে, জনগনকে বুটের লাথি দিয়ে, লাঠিচার্য করায় হাত তালি দিচ্ছে, তারাই সব সুশীল হয়ে যাইবো। বিরোধি দলে যাওয়া মাত্র, গনতন্ত্র-আইনের শাসন, মানবাধিকার নিয়ে তাদের বিবেক বোধ ম্যাজিক্যালি ফিরে আসবে।

এখন যারা খালি বাংলা বাংলা করে, তারা দেখবি বিশাল দেশ প্রেমিক হয়ে গেছে, দূর্নীতির বিরুদ্ধে খুব সোচ্চার হবে যাবে। নির্বাচনের বহুত আগেই অনুমানটা সঠিক হইছে, মকসুদ মিয়ার কলামের মাধ্যমে। তয় একটা কথা না বললে হয়না, মকসুদ মিয়া তুমি কোথায় আছিলা যখন খালেদারে বাড়ি ছাড়া করা হচ্ছিল, জিয়ারে পাকি চর ডাকা হচ্ছিল, লাশ বংগোপসাগরে ফেলে দেয়ার কথা বলা হয়েছিল, শত শত মানুষ হত্যা করা হয়েছিল, গুম খুন রিমান্ডে গনতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছিল? দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা, শুধিতে হইবে ঋন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.