আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এলো খুশির ঈদ

মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ এই ধর্মীয় উৎসব বাংলাদেশে পরিচিত কোরবানির ঈদ নামে। অবশ্য সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে মঙ্গলবারও দেশের শতাধিক গ্রামের মানুষ ঈদ উদযাপন করেছে।
প্রতিবারের মতো বুধবারও দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত হচ্ছে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। আর রাজধানীতে ঈদের প্রধান জামাত হচ্ছে সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে।
এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভী।


রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য ও বিচারপতিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এখানে নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষ হয় বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও বিশ্ব শান্তি কামনায় মোনাজাতের মধ্য দিয়ে।
এছাড়া বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৭টা থেকে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদ জামাত হচ্ছে।
ঈদের নামাজের পরপরই বিভিন্ন স্থানে শুরু হবে পশু কোরবানি। এবার রাজধানীতে গরু সরবরাহ ভাল থাকায় বাজার খুব একটা চড়েনি।

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু নিয়ে রাজধানীর হাটে আসা ব্যবসায়ীদের অনেকেই কাঙ্ক্ষিত লাভ না পাওয়ার কথা বলেছেন।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের সুখ ও সমৃদ্ধিও কামনা করেছেন তারা।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, “একটি শান্তিপূর্ণ ও সহনশীল সমাজ বিনির্মাণে ধৈর্য্য ও সহনশীলতা অপরিহার্য। পবিত্র ঈদুল আজহার মহান আদর্শ ও শিক্ষাকে আমাদের চিন্তা ও কর্মে প্রতিফলিত করতে হবে।


ত্যাগের এই ঈদ মুসলিম জাতির ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ আরো সংহত করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, “প্রিয় বস্তুকে মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে উৎসর্গের মাধ্যমে তার সন্তুষ্টি লাভের যে অনুপম দৃষ্টান্ত হযরত ইব্রাহীম (আ.) স্থাপন করে গেছেন, তা বিশ্ববাসীর জন্য চিরকালই অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। ”
ঈদুল আজহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে বৈষম্যহীন এক সুখী-সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ দেশ গড়ে তুলতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
খালেদা জিয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “স্বার্থপরতা পরিহার করে মানবতার কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করাই কোরবানির প্রধান শিক্ষা। ”
তবে দেশের বর্তমান অবস্থায় সবার পক্ষে ঈদের আনন্দ যথাযথভাবে উপভোগ করা সম্ভব হবে না বলেও মনে করেন বিএনপি প্রধান।


রাষ্ট্রপতি সকালে বঙ্গভবনে কূটনৈতিক কোরের ডিন ও বাংলাদেশে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
সকাল ৯টায় গণভবনের লনে দলীয় নেতা-কর্মী, পেশাজীবী, গণ্যমান্য ব্যক্তি, কূটনীতিক, বিচারক ও সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে বেলা ১১টায় তিনি কূটনীতিক ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
রোজার ঈদের মতো এবারো ঈদের দিন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া।
বেলা সাড়ে ১১ টায় কূটনীতিক এবং বেলা সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বিশিষ্ট নাগরিকসহ সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন তিনি।


ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানসহ রাজধানীজুড়ে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার বেনজির আহমেদ।  
ঈদ উপলক্ষে বুধবার সরকারি ও বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। বিভিন্ন সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ইতোমধ্যে সাজানো হয়েছে মনোরম সাজে। রাতে থাকছে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা।
সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, ঈদের দিন দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশু সদন, ছোটমনি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, আশ্রয়কেন্দ্র, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে।


সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন সব শিশু পার্কে ঈদে বিনা টিকিটে প্রবেশ করতে পারবে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা। এছাড়া সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিনা টিকিটে ঢাকা জাদুঘর দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঈদ উপলক্ষ সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন চ্যালেনগুলো কয়েকদিন ধরে প্রচার করছে বিশেষ অনুষ্ঠান। সংবাদপত্রগুলোও এ উপলক্ষে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করেছে।  


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।