আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নৈশভোজের সৌন্দর্য উপভোগের প্রতিক্ষায় আমরা ১৬কোটি



ভাগ্যবান জাতি আমরা ! অবশেষে সর্বসাধারণের দীর্ঘ সময়ের মুখিয়ে থাকা চাওয়া এবং উপচে পড়া তীব্র উৎকন্ঠার অবসান ঘটলো বুঝি। আমাদের অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যতের প্রাণপ্রিয় অভিভাবকদ্বয় পরষ্পরের সাথে দুটো আলাপ করলেন! হোক সে যন্ত্রের যোগাযোগ, হোক সে লাল কিংবা কালো যন্ত্রে; অপেক্ষা-প্রতিক্ষার কঠিন দেয়াল ভেঙে দিয়ে অন্তত অপেক্ষাকৃত নরম একটি 'আশা'র 'যোগ' যুগিয়েছেন আমাদের যান-মালের ইতিহাসে। সুদীর্ঘ সেই যন্ত্রালাপ ইতিহাস হলো। পরষ্পর কুশল বিনিময় হলো, একজন আরেকজনকে হাসিমুখে নিমম্ত্রণ করলেন। হোক সে গ্রহণ-প্রত্যাখানের দোটানা, হোক সে স্বেচ্ছায় তৈরী অচলাবস্থার বাহানা, হোক সে মান-অভিমানের ভিন্ন সংস্করণ।

একটি নাটকীয় উৎকন্ঠাতো মোচন হলো। একজন আরেকজনের অতিথী হওয়ার অমূল্য সম্ভাবনাটি অন্তত প্রায় (!) তৈরী হলো। সেতো কম পাওয়া নয়! আমরা ১৬ কোটি ভাগ্যবানেরা এখন মৃদু আনন্দে দুলছি বৈকি 'আশা'র দোলনায়। নাটকের শেষ দৃশ্যটির যেন শুভ পরিণাম ঘটে। 'নিমন্ত্রণ' বা 'দাওয়াত' শব্দটি আমাদের বাঙালীর জীবনে,মননে একটি আন্তরিক, আনন্দময় এবং সুবাসময় আবহ মনে করিয়ে দেয়।

অন্তরের সুবাস, স্পর্শের সুবাস, আলোর সুবাস। তার সাথে যুক্ত থাকে বাঙালীর ঐতিহ্য অনুযায়ী অবশ্যই দুটো ভাল-মন্দ খাবার-দাবার। হোক সে ঝিঙে, পটল, সজনে ডাটা, সরষে ইলিশের বাহারী কিংবা পোলাও, কোর্মা, কোপ্তা, কালিয়ার মোগলাই দাপট। নিমন্ত্রণ বলে কথা। ঐতিহাসিক সেই নেমনতন্নের গল্পে কেবল একটি শ্বাসযোগ্য-বিশ্বাসযোগ্য সুবাতাসই আমাদের স্বস্তি ফিরিয়ে দিতে পারে।

নিমন্ত্রণকারীর আন্তরিকতা আর নিমন্ত্রিতের সততাই একত্রে বসে সেই নৈশভোজের সুস্বাদ নিশ্চিত করতে পারে। এই নেমন্তন্নে আমরা তন্ন তন্ন করে কোন স্বার্থপর/স্বার্থান্বেষী অমঙ্গলের আভাস যেন খুঁজে না পাই। মঙ্গলই আমাদের আলোময় আবাস হোক। বিশ্বাস করতে চাই, আমাদের অভিভাবকদ্বয় ১৬ কোটি মানুষের কথা ভেবে সেই শঙ্কাহীন মঙ্গলকর আলোময় আবাসটুকু নিশ্চিত করবেন আসন্ন নৈশভোজের পর।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।