আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তত্ত্বাবধায়কে আবারো ‘না’ জানালেন শেখ হাসিনা

তিনি বলেছেন, “আগামীতে যে ইলেকশন করবো, অন্তত বাংলাদেশের ডেমোক্রেটিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য। ”
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠায় বিরোধী দলের দাবির মধ্যেই বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের এই কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনের ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বিলুপ্ত হওয়ায় এখন নির্বাচিত সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে।
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না বলে দাবি করে আসছে বিরোধী দল। তবে সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে একটি নির্বাচিত সরকার থেকে আরেকটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী।


“কোনো না কোনো জায়গা থেকে তো শুরু করতে হবে,” বৃহস্পতিবার গণভবনে মাদারীপুরের আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা তার প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক বক্তৃতায় বলে আসছেন, অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়। বাংলাদেশেও সেভাবে নির্বাচন হবে।
বৃহস্পতিবারের সভায়ও তিনি বলেন, “একটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যেন অব্যাহত থাকে- সেটা শুরু করতে হবে। সেখানে অনির্বাচিত কোনো ব্যক্তিকে নিয়ে এসে কোনো লাভ হবে না।


বর্তমান সরকারের সময়ে জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচন থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকার পর্যায়ের নির্বাচনগুলোর কথাও উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ওই নির্বাচনগুলো নিয়ে কোনো অভিযোগ কেউ উত্থাপন করতে পারেনি।
বিএনপিকে সংসদে যোগ দিতে ‍পুনরায় আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “বিরোধীদলীয় নেতাকে বলবো, সংসদে আসেন। সংসদে না আসলে তো উপায় নেই, না আসলে সিট হারাবেন। উনি ভালো করেই জানেন, সিট হারালে কী হয়?”
আগামী নির্বাচন নিয়ে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের বিপরীত অবস্থানে দেশে রাজনৈতিক সঙ্কটের আশঙ্কার মধ্যে বিভিন্ন মহলে থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নানা প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে।
এর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, “এখনো অনেকে আছেন- যারা কথা বলেন।

এদের আবার অনেকেই উপদেষ্টা ছিলেন। ”
১/১১ পূর্ববর্তী রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “এই ব্যর্থ লোকদের কাছ থেকে এখন সবক নিতে হবে?
“এই ব্যর্থ লোকদের পরামর্শ নিলে দেশ ব্যর্থতার দিকে চলে যাবে। ”
বেসরকারি টেলিভিশনের বিভিন্ন আলোচনা অনুষ্ঠানে সরকারের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এতই যখন পারেন- তখন আপনারা আসেন নাই কেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়?
“জনগণের কাছে যান না কেন? ভোট চান না কেন? ম্যান্ডেট নিয়ে আসেন। ”
তৃণমূল পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিএনপি ও জামায়াত পরিকল্পিতভাবে হত্যা করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “তাদের(যাদের হত্যা করা হচ্ছে) কিছু কিছু পত্রিকা অতিরঞ্জিত করে গডফাদার-সন্ত্রাসী বানাচ্ছে। ”
শেখ হাসিনার বক্তব্যের শেষে গণভবনের ব্যাংকোয়েট হলে উপস্থিত মাদারীপুরের তৃণমূল নেতারা ‘মাদারীপুরের মাটি, আওয়ামী লীগের ঘাঁটি’ এই স্লোগান দিতে থাকেন।


তখন সবাইকে চুপ করতে বলে শেখ হাসিনা নিজেই হাসতে হাসতে বলেন, “মাদারীপুরের মাটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি, নেই কোনো কমিটি। ”
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ ছাড়াও মাদারীপুরের সংসদ সদস্য নৌ-পরিবহণমন্ত্রী শাহজাহান খান এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম উপস্থিত ছিলেন।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।