আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তথ্য মন্ত্রনালয়ের সফলতার রহস্য আর হানিফের বলী হওয়া

বিক্ষিপ্ত ভাবনা

অনেকেই বলেন দলে নিজের ক্ষমতাকে নিরংকুশ করতেই বংগবন্ধুর অজাত শত্রু বামদেরকে শেখ হাসিনা আওয়ামীলিগ ইজারা দিচ্ছেন। বামরা সবকিছুতেই কুটকৌশলে বিশ্বাসী। তাদের এই কুট কৌশলই তাদেরকে জনবিচ্ছিন্ন করেছে। আর আজ আওয়ামীলীগের জনপ্রিয় নেতারা নেত্রী বিচ্ছিন্ন। ফলে নেত্রী জনগন বিচ্ছিন্ন।

শুধু জিদ দিয়ে দেশ আর দল পরিচালনা করলে যা হবে তার বাস্তব প্রতিচ্ছবি আজকের বাংলাদেশ। এই অবস্হার সর্বশেষ বলী হানিফ, আর গড়ে দৈনিক ১০ জন বাংলাদেশীর অস্বাভাবিক মৃত্যু। শেখ হাসিনা সরকারের মাথা ব্যাথা ছিল এই তথ্য মন্ত্রনালয়। মিডিয়া ছিল পুরোপুরি সরকার বিরোধী। কি পত্রিকার পাতা, কি টিভি নিউজ, টক শো সব জায়গাতেই সরকারকে তুলোধুনা করা হত।

শেখ হাসিনা আবুল কালাম আজাদকে সরিয়ে ইনুকে দায়িত্ব দেয়ার পর সব কিছু একে একে পাল্টে যেতে থাকে। মূলত ইনুর কাঁধে ভর করেই বিরোধী মিডিয়ার গলা টিপে ধরা হয়। কিন্তু এতে সরকারের সমালোচনা ছিল রুটিন মাপিক। বলতে গেলে তেমন সমালোচনাতেই সরকার পড়েনি। এর মূল কারণ বাম সিন্ডিকেট।

বামরা যেহেতু মিডিয়া সর্বস্ব, আর বর্তমানে মিডিয়াই হচ্ছে ফোর্থ স্টেট, তাই প্রধানমন্ত্রী তাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। এর অন্যতম কারণ সুশীল সমাজের অধিকাংশই বামু। সুলতানা কামাল, শাহরিয়ার কবির, মামুনুর রশীদ থেকে শুরু করে মোটামুটি ভাবে ৮০% ই বাম। শেখ হাসিনা যেহেতু আওয়ামীলীগারদেরকে ঝুকিপূর্ন মনে করেন তার নিরংকুশ ক্ষমতার জন্যে, ফলে সে এই বামদের উপর দিনে দিনে নির্ভরশীল হয়ে উঠে। আবার বামরাও মিডিয়ার কল্যানে তাদের মন্ত্রনালয়ের সাফল্যের অনেক বেশী প্রচারনা পায়।

যা বংগবন্ধুর আওয়ামীলীগে বিশ্বাসীরা পায়নি। বরং তাদের ক্ষেত্রে ঘটেছে উল্টোটা। সরকার পরিচালনায় বামদের উপর এই অতি নির্ভরতার সর্বশেষ বলী হলেন জনাব হানিফ। হানিফ নিজের এলাকার আসনটি ছেড়ে দিতে রাজী না হওয়ায় তাকে শেখ হাসিনার জেদের বলী হতে হয়। সে শুধু নিজের আসনের প্রার্থীতাই হারায়নি হারিয়েছে নিজের পদও।

শেখ হাসিনার জিদের বলী শুধু আওয়ামীলীগ নয়, তার জিদের বলী আজ বাংলাদেশ। তিনি মনে করেন তিনি যা ভাবেন তাই শুদ্ধ এবং এর বিরোধিতা করা মানে তার শত্রুতা করা। এই ধরনের ধংসাত্নাক মানষিকতা দিয়ে তিনি শুধু আজ আওয়ামীলীগকে একটি অস্র নির্ভর, কর্মী নির্ভর, জনসমর্থন বিহীন দলে পরিনত করেননি; তিনি প্রতিদিন গড়ে ১০ জন বাংলাদেশীকে ধ্বংসাত্নক রাজনীতির বলী করেছেন। তার এই জিদের শেষ কোথায় আল্লাহই ভাল বলতে পারবেন। আল্লাহই ভাল বলতে পারবেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে আর কত জনবিচ্ছিন্ন হতে হবে, আর বাংলাদেশকে আর কত বলী দিতে হবে।

তিনি এক রাসেলের শোক সামলাতে পারেননা, আর আমরা কি করে এত মৃত্যু শোক সামলাবো?? রাজনৈতিক হত্যায় মৃত্যুর মিছিল বাড়ছেই..........। মৃত লাশের পরিচয় সকল রাজনৈতিক পরিচয়ের উর্ধ্বে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.