আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফোনালাপ প্রকাশ হওয়ায় এত চুলকানী কেন !



বিচারপতির স্কাইপি আলোচনা ফাঁস হবার জন্য যারা অভিনন্দনের জোয়ার বইয়ে দিয়ে বাকস্বাধীনতার বড় সমর্থকে পরিণত হয়েছিলেন, এমনকি বিচারাধীন বিষয় নিয়ে একজন বিচারপতির আইনি আলোচনাকে সর্বসম্মুখে পেপারে (যদিও 'আমার দেশ' নিউজপেপারের সংগায় পড়ে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ আছে) ছাপিয়ে দিয়ে 'মাহমুদুর রহমান' 'বংগের বীর সেনানী' টাইটেল পেয়েছেন (ভাগ্যিস সাংবাদিকতায় 'নোবেল' পুরষ্কার নাই, থাকলে মাহমুদুর রহমানকে ঐটা দেয়ার জন্য ইউনুস সাহেব উনার বান্ধবী হিলারী'র কাছে আব্দার জানাতেন, আর 'মীর কাসেম আলী' কয়েকশ' কোটি টাকা দিয়া লবিষ্ট নিয়োগ করতেন); আজকে হাসিনা-খালেদা'র টেলিসংলাপ ফাঁসের ঘটনায় এত মর্মাহত হচ্ছেন কেন ঠিক বুঝতে পারছি না ! আমার তো মনে হয় যে দুইজন ব্যক্তি আমাদের এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভাগ্যবিধাতারূপে দায়ী তাঁদের কথোপকথন জানা আমাদের নাগরিক অধিকার ! এটা তো নিশ্চয়ই কোন ব্যক্তিগত আলাপচারিতা নয় যেটা গোপন থাকা সমিচীন। আসলে এই ফোনালাপে মাননীয় বিরোধীদলীয় নেত্রীর আসল রুপ প্রকাশিত হয়ে গেছে - যা দেখে বোঝা যায় সাজানো স্ক্রীপ্ট দেখে পাঠিকা হিসাবে উনি যতটা নমনীয়, ধীর-স্থির; আসল পরিচয়ে উনি কতটা জেদী, একগুঁয়ে, অভদ্র আর নুন্যতম শীষ্টাচার না জানা মহিলা - যিনি একাধারে শুধু গত শুক্রবার সোহরোয়ার্দী উদ্যানে দাঁড়িয়ে হাজার-হাজার মানুষের সামনে শুধু মিথ্যা অংগীকারই করেন নি, বরং দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছেন - যার ফলশ্রুতিতে গত ৩ দিনে ১৭ জন মানুষ লাশ হয়েছে, অসংখ্য মানুষ হয়েছে আহত-পংগু । এই ফোনালাপ প্রকাশিত হওয়ায় বিএনপি-জামাতের এত চুলকানির কারণ এখন সারা দেশের মানুষ বুঝে গেছে যে ম্যাডাম আসলে কী চায়, সমস্যার শান্তিপূ্র্ণ সমাধানে উনি আসলে কতটা আগ্রহী । সংবিধিবদ্ধ সতর্তীকরণ: জানি এই লেখা পড়ে অনেকেরই আবার চুলকানী শুরু হবে এবং ম্যাডামের উপযুক্ত অনুসারী হিসাবে গালাগালী শুরু করবেন; তবে তাদের জন্য একটা কথাই আগেই বলে রাখছি যে আমি তাদের গালাগালীর কোন উত্তর দিব না এবং কমেন্ট মুছে দিব; কারন ব্রেইনওয়াশড ক্রিয়েচারদের সাথে গালাগালি করে নিজেকে তাদের কাতারে নামিয়ে আনার মত রূচি আমার নাই - আফটার অল, আমি একজন মানুষ, বিন্পী-জামাত না ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।