পত্রিকা খুব একটা পড়া হয়না । আজকে তালাশ
অনুষ্ঠানটার পুনঃপ্রচার দেখলাম কিছুক্ষন
আগে। পান্না মাস্টারকে দেখলাম,,সেই
সাথে তার সহযোগীদের। সহযোগীদের প্রত্যেকেই ইঞ্জিনিয়ার।
এরা স্কুলছাত্রীদেরকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষন
করত।
পান্না মাস্টারের দ্বারা ধর্ষিত এক
স্কুলছাত্রীকেও দেখলাম। তার একটা দু
বছরের সন্তান আছে। এরপর দেখানো হল-
চাঁদপুরের একটি স্কুলের ঘটনা। সেখানকার
এক গনিতশিক্ষকও দীর্ঘকাল
ধরে ছাত্রীদেরকে প্রাইভেট পড়ানোর নাম
করে ফাঁদে ফেলে ধর্ষন করেছেন অনেক
ছাত্রী। এর একটি ধর্ষনের ভিডিওচিত্র
এখন চাঁদপুরের অনেক মোবাইল
সার্ভিসিং এর দোকানের
কম্পিউটারে পাওয়া যায়!!তারপর ও
এখনো ঐ শিক্ষকের
বিরুদ্ধে "উপযুক্ত" প্রমানের
অভাবে কোন পদক্ষেপ নেয়নি স্কুল
কর্তৃপক্ষ।
ঐ ভিডিওচিত্রটিকেও
স্কুলকর্তৃপক্ষের কাছে প্রমান
হিসেবে উপযুক্ত বলে মনে করেননি। এক
শিক্ষককে বলতে দেখলাম,"মেয়েটার মান
সম্মানের
কথা চিন্তা করে ব্যাপারটা ধামা চাপা দিয়েছি"!!!ভালই নারীর সম্মান চেনেন এসব শিক্ষক। এজন্যই সহকর্মীর অপকর্মকে ধামা চাপা দেন,,যাতে নিজেও ঐ কর্ম স্বদম্ভে সম্পন্ন করতে পারে।
হয়ত ধর্ষিত ছাত্রীদের
কাহিনীগুলো এভাবে চাপা পড়তে থাকবে,,,,আর
নতুন কেউ ধর্ষিত হলে সেটাও হয়ত ওভাবে ই
ধামা চাপা দেওয়া হবে। আর চলতে থাকবে ঐ
শিক্ষক নামক কুত্তাগুলোর পশুবৃত্তি!!
কিন্তু না,,"তালাশ" অনুষ্ঠানটি যেভাবে ঐ
ঘটনাগুলো আমাদের চোখের
সামনে তুলে ধরছে,,,ঠিক সেভাবেই আমাদের
প্রত্যেকের ই উচিত্ এই অভিশাপ দূর করার
জন্য সচেতনতা তৈরী করা।
আর ঐ
কুত্তাগুলোর অপকর্ম সবার সামনে প্রকাশ করে তাদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত
করতে প্রশাসনকে বাধ্য করা। যাতে আর কোন শিক্ষক ই এরুপ পশুর ন্যায় আচরন করার সাহস না পায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।