আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডোমারে বিদ্যুতের কার্যালয়ে ভাঙচুর ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট

নীলফামারীর ডোমার উপজেলা শহরে গতকাল শুক্রবার সকালে বিদ্যুতের ১১ কেভি সরবরাহ লাইনের তার ছিঁড়ে পড়ে তিনটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভস্মীভূত হয়েছে।
বারবার দুর্ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষ তা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ তুলে দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ লোকজন বিদ্যুতের কার্যালয়ে ভাঙচুর করেন। শহরের ব্যবসায়ীরা তাঁদের প্রতিষ্ঠান সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্ধ রাখেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সকাল সাড়ে সাতটার দিকে শহরের স্টেশন সড়কে পিডিবির ১১ কেভি সরবরাহ লাইনের একটি তার ছিঁড়ে পড়ে। এতে অগ্নিকাণ্ডে ডোমার বাজারের হাবিব গার্মেন্টস, আনসারী গার্মেন্টস ও আরিফুল পান স্টোর ভসঞ্চীভূত হয়।

অগ্নিকাণ্ডের পর শহরের ব্যবসায়ীরা তাঁদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সমাবেশ করেন। তাঁরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলা সড়কে অবস্থিত বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ডোমার-ডিমলার আবাসিক প্রকৌশলীর কার্যালয় ঘেরাও করে সেখানে ভাঙচুর চালান। বিক্ষুব্ধ লোকজন কার্যালয়ের একটি গাড়িও ভাঙচুর করেন।
চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর স্টেশন সড়কের একই স্থানে ১১ কেভি বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সুমন চন্দ্র দাশ (২৫) নামের এক ব্যক্তি মারা যান। এ ছাড়া ওই ঘটনায় ১১ জন আহত হন।


এলাকাবাসীর অভিযোগ, সরবরাহ লাইনের সংস্কারকাজ না হওয়া, ক্ষমতার অতিরিক্ত সংযোগ প্রদান এবং অবৈধ সংযোগ নেওয়ার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীদের সমাবেশে উপজেলা সেচপাম্প মালিক সমিতির সভাপতি আইয়ুব আলী অভিযোগ করেন, ডোমারে পিডিবির লাইন স্থাপনের পর থেকে আর মেরামত করা হয়নি। গোটা উপজেলায় অবৈধ সংযোগের ছড়াছড়ি।
আবাসিক প্রকৌশলী মনোরঞ্জন রায় বলেন, শর্টসার্কিট অথবা ওভারলোডের কারণে তারটি ছিঁড়ে পড়তে পারে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ লোকজন পিডিবির কার্যালয়ের আসবাব ও একটি গাড়ি ভাঙচুর করেছেন।

তিনি আরও বলেন, শর্টসার্কিট অথবা ওভার ভোল্টেজ হলে সাবস্টেশনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হওয়ার কথা, কিন্তু পুরোনো লক্কড়ঝক্কড় যন্ত্রপাতির কারণে সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়নি। কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা করা হবে।
ডোমার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহিনুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। বিক্ষুব্ধ লোকজন বিদ্যুতের কার্যালয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছেন।

 



সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।