আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গানটা আমার ক্লান্তি দূর করার ওষুধ

নতুন অ্যালবামটির ফিডব্যাগ কেমন?

দর্শক-শ্রোতারা সব সময় আমার গান পছন্দ করে এ অ্যালবামটির কাটতি তা আবারও প্রমাণ করে। পাইরেসির এ সময়ে আমার অ্যালবামটি এত ভালো বিক্রি হবে আমার জানা ছিল না।

 

অ্যালবাম নিয়ে কিছু বলুন?

এ অ্যালবামে মোট নয়টি গান রয়েছে। গানগুলো হলো- 'আর তোমাকে', 'এখানে এভাবে', 'যদি এমন হতো', 'ফিরে আয়', 'স্বার্থপর', 'একই শব্দ বাজে', 'ঝলসানো মুখ', 'এই কি বেশি না-২'। এর মধ্যে আটটি গানের সুর ও সংগীত করেছি আমি নিজে এবং 'ঝলসানো মুখ' শিরোনামের গানটি লিখেছেন রবিউল ইসলাম জীবন।

প্রথমবারের মতো আমি অ্যালবামের সব গানের সুর ও সংগীত করেছি। আর এবারের গানগুলোতে ইলেকট্রনিক গিটারের ব্যবহার কম। গানের কথা ও সুরে চমক রয়েছে।

 

এ অ্যালবামের কোনো বিশেষত্ব ছিল?

আমার আগের অ্যালবামগুলোর ইলেকট্রনিক সাউন্ড একটু বেশি প্রাধান্য পেয়েছিল। কিন্তু এবার অ্যালবামের বেশির ভাগ গানে অ্যাকুস্টিক বাদ্যযন্ত্রের ওপর জোর দিয়েছি বেশি।

এবার অ্যালবামের গানগুলোর অর্ধেক ভালোবাসার এবং বাকি অর্ধেক মানুষের অবস্থা নিয়ে। রয়েছে অ্যাসিড- সন্ত্রাসের শিকারদের নিয়েও গান। এ গানটি লিখেছেন রবিউল ইসলাম। বাকিগুলো আমার নিজেরই লেখা।

 

প্রথম গান করেছিলেন কোথায়?

আমি ছিলাম বরিশাল ক্যাডেট কলেজের ছাত্র।

তখন গান করেছিলাম। ওই সময় কয়েকজন বন্ধু মিলে একটি ব্যান্ড গড়ে তুলি। কলেজের বার্ষিক প্রতিযোগিতায় আমার নিজের লেখা এবং সুর করা গানটি গেয়ে প্রথম হয়েছিলাম।

 

আপনার আলোচিত গান কোনটি বলে আপনি মনে করেন?

আমি অনেক গান করেছি কিন্তু আমার কাছে মনে হয় ২০০৪ সালে প্রকাশিত হওয়া 'এক পায়ে নূপুর' শিরোনামের গানটি শ্রোতাদের কাছে অনেক জনপ্রিয় হয়। অন্য আর আট-দশটা গানের মতোই মনে করেছিলাম।

কিন্তু গানটি যে এতটা জনপ্রিয়তা পাবে, ভাবিনি। আর এ গানটিই আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

 

সারা দিন এত কাজ করেন, তারপর গান করেন কীভাবে?

সারা দিন কাজের পর ক্লান্তি ভর করে। বাসায় ফিরে যখন হাতে গিটার তুলে নিই, তখন এক নিমিষে সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। গানটা আমার কাছে ক্লান্তি দূর করার ওষুধ।

 

আপনার ব্যান্ডের কি খবর?

আমাদের ব্যান্ডটি যাত্রা শুরু করে ২০০৬ সালে। এরপর সবাই বিভিন্ন স্টেজ শো এবং টিভির লাইভ শো নিয়ে ব্যস্ত। এ মাসের শেষের দিকে আরটিভি ও বাংলাভিশনে দুটি গানের অনুষ্ঠানে আমরা আসছি।

*শোবিজ প্রতিবেদক

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।