আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জিমিদের আত্মপক্ষ সমর্থন

প্রথমে চেয়েছিলেন মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামের মাঠে ঢুকে সংবাদ সম্মেলন করবেন। কিন্তু মাঠে ঢুকতেই পারেননি জাতীয় দল ও ঘরোয়া হকি থেকে বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞার শাস্তি পাওয়া চার খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমি, জাহিদ হোসেন, ইমরান হাসান ও কামরুজ্জামান রানা।
মাঠের প্রধান ফটকে ঝোলানো ছিল তালা। খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির কক্ষ ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সেটিও ছিল বন্ধ। শেষ পর্যন্ত ফেডারেশনের নিচতলার করিডরেই সারতে হলো অনানুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন।


নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জিমি বললেন, ‘এশিয়া কাপে ব্যর্থতার জন্য যে ১১টা কারণ দেখিয়ে শোকজ করা হয়েছে, সেখানে কোথাও লেখা নেই আমি লিগে উচ্ছৃঙ্খল কোনো কাজ করেছি। তাহলে আমাকে ঘরোয়া হকিতেও কেন শাস্তি দেওয়া হলো?’ পরে যোগ করেন, ‘জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণে বিরত থাকতে আমি নাকি টাকাপয়সা দিয়েছি। তাহলে তখন কেন আমাকে সাসপেন্ড করেনি ফেডারেশন? অভিযোগ উঠেছে, এশিয়া কাপে প্র্যাকটিসে ও ম্যাচে আমি ভুল পাস দিয়েছি, বাজে খেলেছি। কিন্তু কোচ আমাকে ম্যাচের পর এসবের কিছুই বলেননি। ’ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে শুধু চারজন খেলোয়াড়কেই শাস্তি দেওয়া হয়েছে দাবি জাহিদের, ‘আমরা মালয়েশিয়ায় যাওয়ার আগে যখন দলবদলের জন্য কথা বলেছিলাম, তখনো অনেকে শাস্তি পেয়েছিল।

যারা দলবদলের জন্য বেশি কথা বলেছি, তাদেরই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এশিয়া কাপের দলের ১৮ জনের কেউই পারফর্ম করতে পারিনি। একটা দলের বাজে পারফরম্যান্সের জন্য শুধু চারজন খেলোয়াড় দায়ী থাকে না। আক্রোশের বশবর্তী হয়ে এমন শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এটা আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।


সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে একটি লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সমিতির কোষাধ্যক্ষ তাবিব-এ-নূর। খেলোয়াড়দের এমন কঠিন শাস্তির প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযোগের পুনঃ তদন্তেরও দাবি করা হয়।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.