আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টেক সিটিতে বাড়ছে নারীর উপস্থিতি

কম্পিউটার প্রোগ্রামারদের দুনিয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই আধিপত্য বজায় রেখেছিলেন পুরুষরা। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। নারী উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ী নেতারা লন্ডনের টেক সিটিতে তাদের পা রাখছেন। লন্ডনের পূর্বাঞ্চলের যে জায়গা একসময় মুদ্রণ শিল্পের জন্য পরিচিত ছিল, সেটি এখন তথ্য-প্রযুক্তির প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। সিলিকন ভ্যালির ব্রিটিশ সংস্করণের অবস্থান এখানে।

ব্রিটেন সরকারের সহায়তায় পরিচালিত হয় এই 'টেক সিটি'। ব্রিটেনের এই 'ইস্ট এন্ড'-এ আবার সে দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী এক পাবের অবস্থান। 'দ্য স্লটার্ড ল্যাম্ব' নামের এই পাবটিতে সন্ধ্যায় তথ্য-প্রযুক্তি পেশাদারদের আড্ডা বসে। এই পাবটিতে সন্ধ্যায় তথ্য-প্রযুক্তি পেশাদারদের আড্ডা বসে লন্ডনের তরুণী তথ্য-প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের একজন ডিভোলডার। তার মতে, অধিকাংশ মানুষ যতটা মনে করেন, তার চেয়ে বেশি নারী এখন তথ্য-প্রযুক্তি অঙ্গনে বিচরণ করছেন।

তবে সংখ্যাটি এখনো পুরুষের সমান হয়নি। ডিভোলডার আরও বলেন, আমরা যদি নিখাদ প্রোগ্রামিং সম্পর্কিত একটি কোর্স পরিচালনা করি, সেখানে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সম্ভবত ৯৫ শতাংশই হবেন পুরুষ এবং বাকি পাঁচ শতাংশ নারী। আসলে বিজ্ঞানের প্রতি নারীদের উৎসাহী করতে উদ্যোগের অভাব থাকায় প্রযুক্তি দুনিয়ায় এখনো পুরুষের আধিপত্য রয়ে গেছে। সম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি অঙ্গনে মেয়েদের অংশগ্রহণ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তথ্য-প্রযুক্তিতে জেন্ডার বলে কিছু নেই।

মেয়েরা যখন একটি সিস্টেম বানায়, সফটওয়্যার ডেভেলপ করে বা কোড করে, তখন একটি ছেলের সঙ্গে তার কোনো পার্থক্য পাওয়া যায় না? তারা অত্যন্ত মেধাবী। এছাড়া ছেলে বা মেয়ে হিসেবে নয়, একজন ব্যক্তি প্রকৌশলী হিসেবে সবাই এখন প্রতিষ্ঠানে যোগ দেয় এবং তাদের সেভাবেই বেতন দেওয়া হয়। তথ্য-প্রযুক্তি অঙ্গনের পরিস্থিতি সত্যিই বদলাচ্ছে। অন্যদিকে বিশ্বের বিভিন্ন টেক সিটিতে বাড়ছে নারীর উপস্থিতি। বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও এ চিত্র পরিলক্ষিত হয়।

এ ধারা অব্যাহত থাকলে শীঘ্রই আইটি সেক্টরের শীর্ষ অবস্থানে দাপটের সঙ্গে এগিয়ে যাবে নারীরা। বিকশিত করবে তাদের মেধা ও মনন।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।