আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তারকাদের ধর্মান্তরণ বা ধর্মপ্রাণতা

এটুকু সময় তাই কেটে যাক রূপ আর কামনার গানে

সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে দামী কনভার্টেড মুসলিম ছিলেন মোহাম্মাদ আলী- নিগ্রো 'ক্যাসিয়াস ক্লে' থেকে মোহাম্মাদ আলী। মুসলিম বিশ্ব তাকে বহুভাবে কাজে লাগিয়েছে, বিক্রিও করেছে বলা যায়। অত্যন্ত ব্যায়বহুল সরাসরি সম্প্রচারের আমলেও মোহাম্মাদ আলীর বক্সিং টিভিতে সরাসরি দেখেছি। অনুভুতির কী বাণিজ্যিক ব্যবহার !! সেই ধারাবাহিকতায় এখনো ভিন্ন ধর্মের নামিদামী তারকার মুসলমান হওয়ার কেচ্ছা প্রায়ই শোনা যায়। যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রে এগুলো পরিকল্পিত গুজবই হয়।

তো আলীর মুসলমান হওয়ার কাহিনীর সূত্র ধরে আমেরিকাতে ইসলাম প্রচারের নানা তৎপরতার খবর জানা যায়। এতে দেখা গেল, জেলখানা হল এই প্রচারের বড় টার্গেট কারণ কারাগারে প্রিচিং ব্যবস্থা থাকে সব দেশেই। সে সুযোগ বেশ কিছুকাল ধরে আমাদের দেশের কারাগারেও নিচ্ছে একটা মতলববাজ গোষ্ঠী। খুব ভালো । তাও দাগী অপরাধীরা শান্তির ধর্মে দীক্ষা লাভ করুক।

ভালো হয়ে যাক । বহুকাল ধরে এই প্রচার ভিন্ন ধর্মের তারকাদের টার্গেট করে হলেও এটি এখন স্বধর্মের তারকাদের টার্গেট করছে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্য যে, এসব পরিকল্পিত প্রচার একটা ছক ধরে এগোয়। নিজের ধর্মের মানুষের মধ্যে ধর্মপ্রচার (আসলে ফতোয়া আর শরিয়ত প্রচার) কারা করে আমরা জানি। শুধু তাই নয় তাদের সহযোগিতা করার জন্যও একটা গোষ্ঠী দাঁড়িয়ে যায়, যারা ধর্মের চেয়ে লেবাসটাই আসল মনে করে।

ফলে আমরা দেখি, পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সবাই ধার্মিক হলেও দাড়ি-টুপি না হলে চলছে না কিংবা গায়ক-গায়িকা বা নায়ক-নায়িকারা হজ্জ্ব করে, হিজাব পরে কেউ কেউ ধর্মীয় আবেগে গদগদ হয়ে ওয়াজ-নসিহতও করছেন। খেলোয়াড়দের মধ্যে কুসংস্কার অনেক বেশি। ব্যাট-বল নিয়ে, জার্সি নিয়ে, মাঠে কপাল ঠোকা নিয়ে, গলায় তাবিজ ঝোলানো নিয়ে তাদের ব্যক্তিগত কুসংস্কারের শেষ নেই। ফলে তাদেরকে পড়া পানি দিয়ে মাঠে পাঠানো সহজ। বাংলাদেশের ফুটবলের রমরমা সময়ে আমরা কখনো মাঠে এমন কোন ফুটবলার দেখিনি যে নিজেকে মুসলমান প্রমাণ করতে মাঠে নামতো, কিন্তু ক্রিকেটের এই বহুজাতিক বাণিজ্যের আসরে দেখছি এমন অনেক দৃশ্য!! ্রাজনীতিকদের মধ্যে তো বেশ জোরেশোরে এই প্রবণতা ছড়িয়ে পড়ে, ৯৬ এর নির্বাচনের সময় থেকেই।

এই পদ্ধতির একটা বড় সুবিধা হল--প্রচার। এক হাশিম আমলাই দক্ষিণ আফ্রিকার মুসলমানদের প্রতিনিধি হয়ে যে প্রচার এনে দিয়েছে তা অন্য যে কোনভাবে কঠিন ছিলো। কিন্তু প্রশ্ন হল, ইসলামের এমন প্রচারধর্মিতা বা এমন ধরণের আনুকূল্য দরকার হবে কেনো? এটা কী ইসলাম ধর্মের প্রচার কে উৎসাহিত করে নাকি ধর্মের মধ্যে আরো গোঁড়ামিকে প্রশ্রয় দেয় ? উদ্দেশ্যই বলে দেবে, কাজটা কতখানি পুণ্যের। মোহাম্মাদ আলীর উদাহরণে ফিরে আসি- টিভি দেখা তখন 'নাজায়েজ', এই গুনাহর মাফ নাই। তবু খ্রিস্টান থেকে মুসলমান হয়েছে এমন দিগ্বিজয়ী বীরকে না দেখলে জীবন স্বার্থক হবে না, এমন বিবেচনায় কেউ কেউ আল্লাহর কাছে তওবা করার অঙ্গীকারে অমন গুনাহ করতেও দ্বিধা করেনি।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।