চিকিৎসকের ভুলেই মৃত্যু হয়েছে মমশাদের!! যশোরের অভয়নগর-নওয়াপাড়ার অদম্য মেধাবী IBA (DU)১ম বর্ষের ছাত্র মমশাদ কিছু দিন যাবৎ ডাইরিয়ায় আক্রান্ত ছিল। স্কয়ার হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে ছিল ঈদের পর। ডাক্তার ওকে কিছু টেস্টও দিয়েছিল। 29 October-ই রিপোর্ট দেখানোর কথা ছিল। কিন্তু ঐ দিনই সে সকাল থেকে তিনবারের মত বাথরুমে যায়।
দুপুর ১২টা ৭/৮ মিনিটের দিকে বাথরুমে পড়ে যায়। রুমমেট ঠিক পেয়ে IBA (DU)হোস্টেল কর্তৃক্ষকে অবহিত করলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হোস্টেলের নিচে নামানো হলে মমশাদ রক্ত বমি করে। মমশাদের মামার সিদ্ধান্তে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হয় আনুমানিক ১২:৩০ মিনিটে। দুপুর ২:৩০ মিনিটের দিকে তাকে ICU তে নেওয়া হয়।
ডাক্তাররা তার রোগ নির্ণয়ে প্রাথমিকভাবে ব্যর্থ হয়। টেস্ট করে তারা দেখতে পায় পেটের ভেতর সম্ভাবত নাঁড়ি অথবা অ্যার্টারির বাহিরে রক্ত জমাট বাঁধা। তারা অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেয়। অপারেশন করতে গিয়ে ভুলবশত অ্যা্টারি কেটে ফেলে এবং মমশাদের মৃত্যু হয় (রাত ১১টার কিছু আগে) মমশাদের ছোট মামা স্কয়ারে চাকরি করার সুবাদে কর্তৃপক্ষ তাকে হুমকি দেয়। মমশাদের সহপাঠীরা ক্ষোভ প্রদর্শন করতে গেলে তার মামা চিকিৎসকের গাফিলতির বিষয়টি অস্বীকার করেন।
(সূত্র: মমশাদের বড় মামা ) ডেথ রিপোর্ট অনুযায়ী মমশাদকে ICU-তে নেওয়া হয় ডিহাইড্রেশন সম্পর্কিত সমস্যার জন্য। তার মৃত্যুর কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছে আর্টেরি ছিড়ে ইন্ট্যারন্যাল ব্লিডিং। স্কয়ার হাসপাতালের ভুলে মমশাদের মৃত্যু হলেও মমশাদের চিকিৎসা এবং মরচ্যুয়ারিতে সকাল ৮টা পর্যন্ত রাখা বাবদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খরচ দেখিয়েছে ১,৮৬,৩১০ টাকা!! আমরা ধিৎকার জানাই তাকে যে নিজের চাকরির কথা ভেবে এত বড় অন্যায় মেনে নিল। যে চলে গেল সে আর কখনো ফিরে আসবে না। কিন্তু থেকে যাচ্ছে স্কয়ারের মত হাসপাতাল আর তাদের বাণিজ্য।
কখনো স্কয়ার হাসপাতাল বা সেই দোষী চিকিৎসকের মরমে পৌছাঁবে না মমশাদের পিতা-মাতার হাহাকার। মমশাদের বাবা আর প্রতিবাদ করতে চাচ্ছেন না। মমশাদের মামার চাকরি, সাথে নূতন করে তদন্ত করতে গেলে লাশ উত্তোলনের ঝক্কি তিনি আর চাচ্ছেন না। আল্লাহ মমশাদকে বেহেস্ত নসিব করুন। আমিন।
। । (তথ্য সংগ্রহঃ @[1329563998:2048:Rakib Bappy] )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।