আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ নির্মাণ প্রকল্পে ó

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পে ২৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও জমি অধিগ্রহণ বাবদ ১৮ কোটি টাকা ছাড়া এই প্রকল্পে আর কোনো টাকা খরচ করা হয়নি। চলতি অর্থবছরে এই প্রকল্পে ২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেলেও আজ পর্যন্ত এ টাকা কোনো কাজে লাগানো হয়নি। প্রকল্পের টাকা ব্যয় না করে একই প্রকল্পের মধ্যে প্রায় ৮৪ কোটি টাকার আরো একটি প্রকল্প খাঁড়া করে নির্মাণ করা করা হচ্ছে সাতক্ষীরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ ।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১১ সালে মন্ত্রণালয় থেকে ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট প্ল্যান্টের (ডিপিপি) আওতায় 'সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মান প্রকল্পে' ২৬৮ কোটি টাকা পাস হয়। ২০১২ সালে এই প্রকল্পে ৪০ কোটি টাকা ছাড় করা হয়। এই টাকা থেকে সাতক্ষীরা বাঁকাল ব্রিজ এলাকায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণের জন্য ৪০ একর জমি অধিগ্রহণ বাবদ ১৮ কোটি টাকা এবং অন্যান্য (কনসালটেন্ট ) কাজে আরো প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয় দেখানো হয়। প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয় সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. এস জেড আতীককে। বাকি প্রায় ২১ কোটি কোট টাকা গত অর্থবছরে কোনো কাজে লাগানো হয়নি। বিষয়টি জানাজানির পর প্রকল্পের ওই টাকা মন্ত্রণালয়ে ফেরত দেওয়া হয়। এরই মধ্যে ২০১২ সালে একই প্রকল্পের মধ্যে অপারেশন প্ল্যান্টের (ওপি) আওতায় প্রায় ৮৪ কোটি টাকার আরো একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। নাম দেওয়া হয় সাতক্ষীরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ নির্মাণ প্রকল্প'। এই কাজেরও প্রকল্প পরিচালক (পিডি) করা হয় ডা. এস জেড আতীককে। ডিপিপির আওতায় নেওয়া মূল প্রকল্পের টাকা খরচ না করে একই প্রকল্পের আওতায় ভিন্ন একটি প্রকল্প (ওপির আওতায় ) দেখিয়ে ২০১২ সালের জুলাই মাসে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। এই প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের একাডেমিক ভবন নির্মাণ। ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ ইউনিটের পৃথক ৬টি চারতলা ডাক্তার ও স্টাফ কোয়াটার ভবন নির্মাণ। ইতোমধ্যে স্টাফ কোয়ার্টার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজ এখনও শেষ হয়নি। এদিকে এই প্রকল্পের কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্টাফ কোয়ার্টার ও একাডেমিক ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে শিডিউল মেতাবেক কাজ করা হয়নি। প্রায় ৪ লাখ বর্গফুটের ছাদের সেন্টারিং করার ক্ষেত্রে স্টিলের পাত ব্যবহারের কথা থাকলেও সেখানে ব্যবহার করা হয়েছে কাঠ। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী ফারুক আহম্মেদ জানান, ওপি প্রকল্পের আওতায় চলতি অর্থবছরে আরও ২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তবে নির্মাণ কাজে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে তা সঠিক নয়। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. এস জেড আতীক জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে আমাকে নির্মাণ প্রকল্পের পিডি করা হয়েছে। তবে পৃথক দু'টি নির্মাণ প্রকল্প বিষয়ে তিনি জানান, কি ভাবে প্রকল্প দুটি পাস হয়েছে তা আমার জানা নেই। এটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.