আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাতিসংঘকেই কি পদক্ষেপ নিতে হবে?

জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটে সব রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার সাম্প্রতিক উদ্বেগটি মূলত তিনটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। প্রথমটি হলো- 'একটি বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান। ' দ্বিতীয়টি হলো- 'সংশ্লিষ্ট সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে পরমতসহিষ্ণুতার চর্চা ও শান্তিপূর্ণভাবে মত প্রকাশের আহ্বান' এবং তৃতীয়টি হলো- 'সংলাপ আয়োজনে সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো অব্যাহত রাখা। '

জাতিসংঘ একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যার এক সক্রিয় সদস্য বাংলাদেশ।

জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ কারণে যদি ওই দেশে জনগণের শান্তি বিঘি্নত হয় তাহলে সে দেশে সরাসরি ভূমিকা রাখার অধিকার এবং ক্ষমতা এ বিশ্ব সংস্থাটি সংরক্ষণ করে। বান কি মুন শুধু বক্তব্য বা আহ্বান জানিয়েই তার সে দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। বাংলাদেশের নির্বাচন সামনে রেখে চলমান রাজনৈতিক সহিষ্ণুতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেই তার দায়-দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সমস্যা বা সংঘাত সব রাজনৈতিক দল নিয়ে নয়। কাজেই সব দলের কাছে বিশ্বাসযোগ্য শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করার যে আহ্বান বান কি মুন করেছেন তা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত এবং সঠিক তা বিবেচনা করাও উচিত ছিল।

অনেক দল আছে যাদের নির্বাচন করার ক্ষমতাও নেই। এখন এমন কোনো দল যদি ঘটা করে নির্বাচন বয়কটের হুমকি দেয় তাহলে জাতিসংঘের কাছে তা বিবেচ্য হতে পারে না। এখানে মূলত সমস্যা দুটি বড় দল বা জোটের মধ্যে। এখানে যে কোনো বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রধান দুটি দল বা জোটের ইতিবাচক মনোভাব থাকতে হবে। বর্তমান সংঘাত বা সহিংসতাই সৃষ্টি হয়েছে এ দুটি দল বা জোটের পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণেই।

এখানে বিরোধী দল চাচ্ছে- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। তাদের এই দাবির পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। সে অর্থে দাবি মানতে সরকারকে বাধ্য করার জন্য যে ক্ষমতার দরকার বিরোধী দলের বিশ্বাস তাদের সেই ক্ষমতাও আছে।

অন্যদিকে সরকারি দল বা জোট প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি সর্বদলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষ নিয়েছে। জনগণের একটি অংশের কাছে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা আছে এবং তারা মনে করে বিরোধী দল সরকারের অবস্থানকে মেনে নির্বাচনে আসবে।

এই যখন পরস্পরবিরোধী যৌক্তিক, জনমত ও জনসমর্থন নিয়ে উভয় দলই জনগণের সার্বিক অংশগ্রহণে তাদের ইপ্সিত জয় অর্জন করতে চায় তখন বান কি মুনের আহ্বান- 'একটি বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করা সব রাজনৈতিক দলের পক্ষে কতটুকু বাস্তবসম্মত বা বাস্তবায়নযোগ্য তা একটি প্রশ্নের বিষয়। '

বান কি মুনের দ্বিতীয় আহ্বানের ব্যাপারে বলা যায়, 'সংশ্লিষ্ট সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে পরমতসহিষ্ণুতা চর্চা ও শান্তিপূর্ণ মত প্রকাশ' করার মানসিকতা যদি এই দুটি বড় দলের শীর্ষ নেতাদের থাকত তাহলে তো আমরা সবাই নির্দ্বিধায় বলতে পারতাম, বর্তমানের সংঘাত ও সহিংসতার অবস্থা কখনোই সৃষ্টি হতো না। বান কি মুনের এই আহ্বানে জনগণের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, বাংলাদেশে রাজনীতি, মননশীলতা এবং শীর্ষনেতাদের রাজনৈতিক চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জাতিসংঘের তেমন কোনো ধারণা নেই।

বান কি মুনের তৃতীয় আহ্বান- 'সংলাপ আয়োজনে সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো অব্যাহত থাকবে' বক্তব্যটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বান কি মুন আশা করেছেন, চলমান সংলাপের পদক্ষেপগুলো অব্যাহত থাকবে কিন্তু এখন পর্যন্ত উভয় দল কোনো সংলাপে বসতে পারেনি।

সবাই জানেন, এই সংসদের মেয়াদের শেষ তিন মাস তথা ৯০ দিন ইতোমধ্যেই গোনা শুরু হয়ে গেছে, যার সমাপ্তি আগামী ২৪ জানুয়ারি। এখন যদি ওই পর্যন্ত বান কি মুনের আহ্বান অনুযায়ী সংলাপ আয়োজনের পদক্ষেপ অব্যাহত থাকে তাহলে জাতিসংঘের কোনো আপত্তি বা আইনবহির্ভূত কোনো কাজ না হলেও বর্তমান সরকারের জন্য একটি বিরাট সমস্যা হয়ে দেখা দেবে। কারণ বর্তমান সরকারের অবস্থান হলো, বর্তমান সংবিধান মোতাবেক মেয়াদ শেষের ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। ৯০ দিন তথা ২৩ জানুয়ারি-২০১৪ সালের মধ্যে নির্বাচন না করতে পারলে সংসদ মেয়াদ অন্তে আপনাআপনি ভেঙে যাবে। তখন সরকারের অবস্থা আরও বেশি নাজুক হয়ে যাবে।

কাজেই এরকম একটি অবস্থায় সরকারের পক্ষে কালবিলম্ব করে বান কি মুনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ২৩ জানুয়ারি-২০১৪ সাল পর্যন্ত সংলাপ আয়োজনের পদক্ষেপগুলো অব্যাহত রাখা অসম্ভব হয়ে পড়বে। এখন যদি সরকার তার অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ জানুয়ারি-২০১৪ সালের আগে বান কি মুনের আহ্বানকে পাশ কাটিয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক অবস্থান নেয় তখন বিরোধী দল এবং জাতিসংঘ আইন ও সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সে প্রক্রিয়াকে সমর্থন করবে তা কেউই বিশ্বাস করে না।

বান কি মুনের আহ্বান থেকে এই ধারণা পাওয়া অমূলক নয় যে, তিনি ২৩ জানুয়ারি-২০১৪ সালের পরও সংলাপ আয়োজনের পদক্ষেপগুলো অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। কারণ বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদের শেষ ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন না হলে সংসদ ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী ৯০ দিন তথা আগামী ২৩ এপ্রিল-২০১৪ সালের মধ্যে অবশ্যই নির্বাচন করতে হবে এবং বর্তমান সংবিধান ও দেশের আইন অনুযায়ী ওই তারিখ পর্যন্ত বর্তমান সরকার বৈধ থাকবে। বান কি মুনের আহ্বান অনুযায়ী সংলাপ আয়োজনের পদক্ষেপগুলো ২৩ এপ্রিল-২০১৪ পর্যন্ত অব্যাহত থাকলে এবং সে পর্যন্ত উভয়পক্ষ কোনো সমাধানে পেঁৗছতে না পারলে ওই তারিখের পরে দেশে আইনগত কোনো সরকার থাকবে না।

ফলে তখন আর আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না। আমার কেন যেন মনে হচ্ছে, বান কি মুনের গা-ছাড়া আহ্বানের মাধ্যমে তিনি আমাদের সবাইকে একটি সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করছেন এবং অত্যন্ত সচেতন ও পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের বর্তমান সহিংস রাজনীতির সুযোগে ধীরে ধীরে সেদিকে নিয়ে যাচ্ছেন, যার দায়-দায়িত্ব সুকৌশলে রাজনৈতিক দলগুলোর কাঁধে চাপিয়ে দিচ্ছেন।

সরকার ও বিরোধী দলের অবস্থান সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী। এখন পর্যন্ত কোনো একটি বিষয়েই তাদের মধ্যে ঐকমত্য নেই। বর্তমান রাজনৈতিক সংঘাত ও সহিংসতা থেকে কোনো একটি পক্ষকেই নিজের মতো বেরিয়ে আসার কোনো সুযোগ নেই।

রাজনৈতিক জটিল অবস্থার কারণে এই সংঘাতে উভয়পক্ষকে একসঙ্গে জয়লাভ করা সম্ভব নয়, তবে একসঙ্গে উভয়পক্ষকে হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা অবাস্তব বা অসম্ভব নয়। যদি এই সংঘাত বা সহিংসতা নিরসনে দেশের অভ্যন্তরীণ কোনো শক্তি বা জাগ্রত জনগণ এগিয়ে না আসে তাহলে এই বিবদমান দুই রাজনৈতিক শক্তির সংঘাত বা সহিংসতা কোনো দিনই বন্ধ হবে না এবং কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেও ইতিবাচক কোনো সমাধানে পেঁৗছা সম্ভব হবে না। রাজনৈতিক শক্তি কখনোই কোনো আপস-মীমাংসা অন্যের সিদ্ধান্তে মেনে নেয় না। রাজনীতিতে ড্রয়ের কোনো সুযোগ নেই। এখানে সবাই জয়লাভ করতে চায়।

গণতান্ত্রিক দেশে বা পরিবেশে এই জয়-পরাজয় নির্ধারণ করে দেয় ভোটের মাধ্যমে জনগণ। কিন্তু স্বৈরাচার বা একনায়কতন্ত্রী রাষ্ট্রে এ কাজটি করে বন্দুকের নল। বর্তমানে আমাদের রাষ্ট্রে চলছে স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা। মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও গণতন্ত্র এখনো আকাশের চাঁদ হয়ে আমাদের মাঝে বিরাজ করছে। এখানে দুই পক্ষের দুই নেত্রীর কথাই একমাত্র এবং শেষ কথা।

তারা কখনোই অন্যের কথা শুনতে অভ্যস্ত নয়। দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় তারা দুজনই অন্যের কথা শোনেন না বা মানেন না। তাদের উভয়কেই শুনাতে বা মানাতে বাধ্য করতে হয়। এই মুহূর্তে এই দুই দলের বাইরে তাদের শুনাতে বা বাধ্য করার কোনো রাজনৈতিক শক্তি বা অভিভাবক নেই। যত ক্ষমতাশালী হোক বাইরের কোনো রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপও স্বাধীনচেতা জনগণ কখনোই মেনে নেবে না।

কোনো অসাংবিধানিক শাসনও এ দেশের জনগণ এখন বা ২৪ এপ্রিল-২০১৪ সালের পরও মেনে নেবে না। বর্তমান অবস্থায় বিএনপি ছাড়া নির্বাচন দিয়েও যেমন সহিংসতা এড়ানো যাবে না তেমন এ ধরনের নির্বাচনে জয়ী হয়েও সরকারি দল সহিংসতা ছাড়া ক্ষমতায় থাকতে পারবে না তেমনি এখন বা পরবর্তীতে অসাংবিধানিক শাসন দিয়েও জীবনহানি ও সহিংসতা ছাড়া বেশি দিন অন্য কোনো শক্তিও টিকে থাকতে পারবে না। দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী তথা জনগণের ৭০ ভাগ তারুণ্য শক্তির কারণে অসাংবিধানিক সরকারের শাসন টিকিয়ে রাখা অনেক বেশি কঠিন ও দুষ্কর হবে। কোনো আপস-মীমাংসা এবং সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাই সর্বোচ্চ গ্রহণযাগ্য এবং টেকসই। এর বাইরে যখনই কেউ যাওয়ার চেষ্টা করেছেন তখন তার ফলাফল কখনোই মধুর হয়নি।

শুরুতে বলার চেষ্টা করেছিলাম জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ সহিংসতা নিরসনে শুধু উদ্বেগ প্রকাশ না করে সরাসরি হস্তক্ষেপের অধিকার জাতিসংঘের আছে। বাংলাদেশের সৃষ্ট অহিংসতা দূর করার জন্য দুই দলকেই একসঙ্গে পরাজিত না করিয়ে যে কোনো একটি পক্ষকে জয়ী করে হলেও শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক যাত্রাকে নিরাপদ ও অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে জাতিসংঘের নেতৃত্বে অন্য পক্ষটিকে বিরত করে জাতীয় স্বার্থে যে কোনো অপ্রিয় সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। জাতিসংঘের দফতরে দুই পক্ষকে ডেকে স্পষ্টভাবে যে কোনো একটি পক্ষের অবস্থানকে মেনে নিতে অন্য পক্ষকে বাধ্য করানো উচিত। আবার অনেক জীবনহানির সুযোগ দিয়ে সহিংসতা অব্যাহত রেখে ২০১৪ সালের পরে সহিংসতা ও জীবনহানির অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশকে তথাকথিত ব্যর্থ রাষ্ট্রের অপবাদ থেকে বাঁচানোর মহান (!) লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদি অসাংবিধানিক শাসন দিয়ে রাজনীতিকে আরও জটিল, সংঘাত ও সহিংসতা বৃদ্ধি এবং জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ না করে এই মুহূর্তে যে কোনো একটি পক্ষকে সমর্থন করে অন্য পক্ষের অধিকার হরণ করা অনেক বেশি মঙ্গলময় হবে। আমরা সবাই জানি কোনো বিষয়েই দুই বিপরীত পক্ষের মতামত সঠিক হতে পারে না তেমন কোনো সংঘাতে উভয়পক্ষই জয়লাভ করতে পারে না।

এখন জাতিসংঘের শুধু উদ্বেগ প্রকাশ করার সময় নয়। জাতিসংঘের মধ্যপন্থা অবস্থান বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থাকে আরও বেশি জটিল ও সহিংস করে তুলবে এবং বান কি মুনের উদ্বেগ-অস্থিরতা আরও বেশি বৃদ্ধি করবে। তাই বান কি মুনের কাছে আমাদের সরাসরি আহ্বান যে, তাকে অথবা তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত উচ্চ পদের কোনো প্রতিনিধিকে দ্রুত বাংলাদেশে এসে দুই নেত্রীর সঙ্গে বসে আলোচনা করে অনতিবিলম্বে বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনকে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনের আওতায় নিয়োজিত করে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা এবং নির্বাচনের ফলাফল নিশ্চিত করবে। বর্তমান সরকার, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা স্বপদে বহাল থাকলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না অথবা নির্বাচন করলে তাদের নির্বাচনী এলাকার বাইরে যেতে পারবে না এবং সরকারি ক্ষমতা ও প্রটোকল ব্যবহার করতে পারবে না।

প্রয়োজনে নির্বাচনের শেষ সাত দিনে তারা সবাই ছুটিতে থাকবে। নির্বাচন ছাড়া সহিংসতা দূর হবে না। কাজেই সহিংসতা দূর করতে হলে অবশ্যই নির্বাচন করাতেই হবে। যে সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ নির্বাচন না হলে কঠোরভাবে নেওয়ার প্রয়োজন পড়বে সেই কঠিন সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নির্বাচন করানোর জন্যই নেওয়া সমীচীন হবে। শুধু উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ তার দায়িত্ব এড়াতে পারে না।

জাতিসংঘকে অবশ্যই সহিংসতা নিরসন তথা বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য যত কঠোর ও কঠিন হোক না কেন সেই সিদ্ধান্ত অবশ্যই আরও জীবনহানি ও সহিংসতার ব্যাপকতা বৃদ্ধি পাওয়ার আগেই নিতে হবে এবং জাতিসংঘের সেই সিদ্ধান্ত সবাইকে মানতে বাধ্য করতে হবে। দেশে সহিংসতা দূর না হলে এর দায়-দায়িত্ব এখন অবশ্যই খোদ জাতিসংঘকেই নিতে হবে। এখন বান কি মুনই এই দেশের মানুষের একমাত্র আশার স্থল এবং ত্রাণকর্তা।  He is the savior. 

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য।

ই-মেইল : rtlbddhaka¦yahoo.com

 

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.