আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফের হামলার ভয়ে ভিটে ছাড়া পরিবার

জেলার ভাঙ্গা উপজেলার কাউলীবেড়া ইউনিয়নের মুগডোবা গ্রামের একটি অসহায় পরিবারের সদস্যদের মারধর এবং আগুন দিয়ে বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার পর উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে একটি গোষ্ঠী। এ চক্রটির কবলে পড়ে দিনের পর দিন বাড়ি-ঘর ফেলে পালিয়ে বেড়াতে বাধ্য হচ্ছে পরিবারটি। বর্তমানে এ পরিবারটির দুই সদস্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও বাকিরা পলাতক।

প্রাপ্ত অভিযোগ ও সরেজমিনে জানা যায়, মুগডোবা গ্রামের দরিদ্র মজিবর শেখের সঙ্গে পাশর্্ববর্তী প্রভাবশালী মান্নান শেখ গংদের দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে বেশ কয়েকবার মজিবর শেখের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় মাতব্বরদের সহায়তায় কয়েকবার সালিশ বৈঠকও হয়। গত ৩০ অক্টোবর সকালে মান্নান গংয়েরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় মজিবর শেখের বাড়িতে। এ সময় সন্ত্রাসীরা মজিবর শেখ, তার স্ত্রী লাইলী বেগম, মেয়ে শিমুলী বেগম ও ছেলে শাহাবুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হাত-পা, দাঁত ভেঙে দেয়। সন্ত্রাসীরা বাড়ির মহিলাদের শ্লীলতাহানি করে লুটে নেয় স্বর্ণালঙ্কার। বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং একটি ঘর আগুন দিয়ে সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দেয়।

মারাত্দক আহত লাইলী বেগম ও শিমুলী বেগমকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সন্ত্রাসীরা হাসপাতালে গিয়েও মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিমুলী বেগম জানান, তাকে ও তার মা-বাবা, ভাইকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। বাবা মজিবর শেখ ও মা লাইলী বেগমের হাত, পা ভেঙে দিয়েছে। তাকে পিটিয়ে বিভিন্ন স্থানে জখম ছাড়াও কয়েকটি দাঁত ভেঙে দিয়েছে।

শিমুলী বেগমের অভিযোগ, মামলা তুলে নেওয়া না হলে সব বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। এ ঘটনার পর থেকেই অসহায় এ পরিবারটি গত এক সপ্তাহ ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। মজিবর শেখ জানান, সন্ত্রাসীরা পুরো পরিবারটির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। ফের হামলার হুমকি দেওয়ায় তারা বাড়ি ছাড়া রয়েছেন। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে থানা পুলিশ অ্যাকশনে যাচ্ছে না।

তাছাড়া গুরুতর আহত হাসপাতালে ভর্তি তার স্ত্রী ও মেয়েকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে দিতে ডাক্তারদের ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী অফিসার মো. রাসেল মোল্যা জানান, মজিবর শেখ একটি মামলা করেছে। সেই মামলায় মোট ২২ জন আসামি। এরমধ্যে ২১ জন বর্তমানে জামিনে রয়েছে। বাকি একজন পলাতক রয়েছে।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।