আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উড়ালসড়কটি হলো না যে কারণে

ঢাকায় দেশের প্রথম উড়ালসড়ক (এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার এ উড়াল সড়কটি নির্মাণ হয়নি। তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন তার পছন্দের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতালি ও থাইল্যান্ডের যৌথ মালিকানাধীন ইতাল-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানিকে কাজটি দিয়েছিলেন ব্যক্তিগত উদ্যোগে। কিন্তু সৈয়দ আবুল হোসেন মন্ত্রী থাকাকালেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি সটকে পড়ে। এ কারণে আলোর মুখ দেখেনি দেশের প্রথম বহুল আলোচিত এ উড়ালসড়ক প্রকল্প।

জানা গেছে, ৪২ মাসের মধ্যে এ সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাজ শেষ দূরে থাকুক, শুরুই করতে পারেনি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ। ঢাকার যানজট নিরসনে বিমানবন্দর থেকে শুরু হয়ে কুড়িল, বনানি, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, গোলাপবাগ হয়ে উড়ালসড়কটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত বিস্তৃতি ছিল। এয়ারপোর্ট প্রান্তে রেলের জমিতে মাটি ভরাট ছাড়াও কমলাপুর থেকে যাত্রাবাড়ী কুতুবখালীতে জমি অধিগ্রহণের কাজও শুরু হয়। এর মধ্যে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে মামলা-মোকদ্দমাও চলে।

অন্যদিকে উন্নয়নের নামে মন্ত্রণালয় থেকে বিল তোলা শুরু করে ইতাল-থাই কোম্পানি। শুরু না হলেও এ প্রকল্পে মোট কত টাকা ব্যয় হয়েছে, তার পরিপূর্ণ হিসাব এখনো কারও জানা নেই। তবে শুরুর দিকে উড়ালসড়ক নিয়ে সব মহলে আশাবাদ ছিল। মানুষের ধারণা ছিল সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে ৮ হাজার ৭০৩ কোটি টাকার প্রকল্পটি দ্রুত শেষ হবে। মোট অর্থের ৭৩ শতাংশ বিনিয়োগ ইতাল-থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির করার কথা ছিল।

বাকি ২৭ শতাংশ বাংলাদেশ সরকার বহন করবে। কিন্তু অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় কাজ দেওয়ার খেসারত এখন সরকারকে বইতে হচ্ছে। এর বিপরীতে বাংলাদেশে শিকদার গ্রুপ উড়ালসড়কের কাজের প্রতিপক্ষ ঠিকাদার ছিল। কিন্তু তাদের কাজ দেওয়া হয়নি। কারণ তৎকালীন মন্ত্রীর ব্যক্তিগত আগ্রহ ছিল ইতাল-থাইকে ঘিরে।

আর্থিকভাবে ইতাল-থাই যখন দেউলিয়া অবস্থায় ছিল, তখনই এ কোম্পানিকে কাজ দেওয়া ছিল রহস্যজনক, যার সততা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল দেশ-বিদেশে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এলিভেটেড এঙ্প্রেসওয়ে নিয়ে সরকারের বাস্তব সিদ্ধান্তে আসা উচিত। আগের চুক্তি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বর্তমান বাস্তবতার আঙ্গিকে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। কারণ উড়ালসড়ক প্রকল্প বর্তমান সরকারের অন্যতম নির্বাচনী অঙ্গীকার। তাই যে কোনোভাবে কাজ শুরু করতে পারলে বিষয়টি সরকারের জন্য ইতিবাচক হতো বলে মনে করছেন তারা।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.