আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাতিস্মরের আত্মতৃপ্তি ( পর্ব--তিন )

সাহিত্য লেখক কিশোরী-- তব বাক্য বুঝিতেনা পারি এ তো নহে ভিখারীর ভাষা, এ যে বিরহীর ব্যথার গান শত জনমের প্রেম-সাধকের হৃদয় নিংড়ানো অভিলাস। কেন যেন মনে হয় ছায়া সম মোর কোথা যেন শুনেছি আমি হেন কাব্য গাঁথা। ওগো সাধক,তব কনঠয়স্বর ক্ষণে ক্ষণে কর্ণ কুহরে মোর বেজে ওঠে সঙ্গীতের মত। মন হয় আনমোনা চিত্ত বিগলিত। বিচ্ছিন্ন স্মৃতির ছায়া ক্ষণে ক্ষণে মূর্ত হয়ে লুপ্ত হয়ে যায়।

কি যেন হেরিছি আমি স্বপরে মত। কি অদ্ভুত রহস্য স্মৃতি ! কোথা যেন দেখেছি তোমারে শুনে তব কন্ঠস্বর যেন মনে হয জন্ম জন্মান্তরে ছিলে তুমি কারো প্রতিক্ষায়। না পেয়ে তাহার দেখা স্বর্গ মর্ত চরাচরে খুঁজিতেছ তুমি । তুমি এক প্রেমের সাধক। তারে পাবেকি কখনও যারে খুঁজিছে তোমার আখি ? সাধক-- আমি দেখেছি তাহারে কিন্তু হায় মহাকালের ব্যবধানে তোমা হতে দূরে, বহু দূরে ঠেলে দিল মোরে চাতক সম যেন দেখেছি মেঘেরে, অবোধ শিশু যথ ডাকিছে চাঁদেরে দিতে টিপ কপালে তাহার।

কিশোরী-- বিমূর্ত স্মৃতির রাহু ধীরে ধীরে গ্রাসিছে আমারে। স্মৃতির রুদ্ধ দ্বার বারে বারে খুলে যায়। ক্ষণে ক্ষণে দেখি কাহার মূরতি ? আমি যেন নব বধু রূপে, সাত পাক ঘুড়ে ( প্রনমি তাহারে) দিতেছি পুস্পানঞ্জলি চরণে তাহার। সে নিষ্ঠুর নিলনা পূজা, পেরালো না সিঁথিতে সিঁদুর আমি যেন বাসি ফুল ঝর পড়ে আছি মন্দিরের দ্বারে। না না বৃথা বাক্য ব্যূয়ে মোর ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।