আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

Maria Full of Grace(2004)-একটি ড্রাগ ডিলিং ড্রামা

অসীম ব্যাসার্ধের একটি বৃত্ত, যা এখনও সরলরেখায় পর্যবসিত হয় নি কাহিনী সংক্ষেপ: কলম্বিয়ান মেয়ে মারিয়া আলভারেজ একটি ফুল প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠানে কাজ করে। নিজের সীমিত আয়ে অনেক কষ্ট করে সংসার চালায়। পরিবারে রয়েছে মা,বোন আর বোনের বাচ্চা। অভাব-অনটনের মধ্যেই মারিয়া হঠাৎ উপলব্ধি করে যে সে প্রেগন্যান্ট। কিন্তু বয়ফ্রেন্ড তাকে ভালবাসে না বলে সে বয়ফ্রেন্ডকে ছেড়ে চলে আসে।

সিদ্ধান্ত নেয় বাচ্চাকে একাই বড় করবে। এসময় আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় তাকে। বসের ক্রমাগত অপমান সহ্য করতে না পেরে চাকরিটা ছেড়েই দেয় সে। মনক্ষুণ্ন হয় পরিবারের সদস্যরা। জোড়া আঘাতের ধাক্কা সামলে নতুন চাকরির সন্ধান করতে থাকে মারিয়া।

এসময় প্রস্তাব পায় মাদক পাচারের। অল্প সময়ে বড়লোক হবার লোভে ঝুঁকি আছে জেনেও রাজি হয় সে। শুরু করে পাকস্থলীর ভেতর হেরোইন জমা রাখার অনুশীলন যা কি না ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ। ১ম মিশন নিয়ে মারিয়া রওনা দেয় নিউ ইয়র্কের উদ্দেশ্যে। সঙ্গী হয় বান্ধবী বিয়াংকা এবং আরও কিছু পরিচিত মেয়ে।

কাস্টমস কর্মকর্তারা মারিয়াকে সন্দেহ করলেও প্রেগন্যান্ট হওয়ার কারণে তাকে এক্স-রে না করেই ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। নিউইয়র্কে পৌছে মারিয়া ও তার বান্ধবী সব গুলো হিরোইন ঠিকমত বুঝিয়ে দিতে পারলেও অপর সঙ্গী লুসি একটি হেরোইনের বল বের করতে ব্যর্থ হয়। অসন্তুষ্ট হয় পাচারকারীরা। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠলে মারিয়া আর বিয়াংকা আবিষ্কার করে যে লুসি নেই। পাচারকারীরা ও নেই।

রক্কাক্ত বাথটাব দেখে ভয় পেয়ে যায় তারা। তাহলে কি অবশিষ্ট হিরোইনের লোভে লুসিকে মেরেই ফেললো জানোয়ারগুলো? ভয়ে মোটেল রুম থেকে পালিয়ে গেল মারিয়া আর বিয়াংকা। সাথে তাদের নিজেদের আনা হেরোইনের প‌্যাকেট। কোথাও থাকার জায়গা নেই,পুলিশকে কিছু বলারও উপায় নেই। আবার তাদের পাচারকারীরাও তাদের হন্যে হয়ে খুঁজবে।

উপায়ান্তর না দেখে লুসির এক বোনের বাড়ির দিকে রওনা হয় তারা,যে কি না নিউ ইয়র্কেই থাকে। সঙ্গী হয় অনিশ্চিত ভবিষ্যত...... উত্তর-দক্ষিণ আমেরিকার অর্থনৈতিকভাবে অনুন্নত দেশগুলোতে মাদক পাচার এর বিস্তৃতি ব্যাপক। পাচারকারীদের প্রধান লক্ষ্য হল যুবসমাজ। তরুণরা তাদের আর্থিক দুরবস্থার কারণে অথবা শর্টকার্টে বড়লোক হবার লোভে পড়ে এই ফাঁদে পা দেয়। একটা পর্যায়ে এসে হয়তো উপলব্ধি হয়।

কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আর ফিরে আসার সুযোগ থাকে না। এই নির্মম সত্যগুলোই পরিচালক মারিয়া চরিত্রটির মধ্য দিয়ে তুলে আনতে চেয়েছেন। কাহিনীর বর্ণনা বেশ সাবলীল। একবার শুরু করলে এক বসায় আপনি মুভিটি দেখে শেষ করে ফেলবেন। আমার বেশি ভাল লেগেছে মাদক পাচারের কৌশলটা- পাকস্থলীর ভেতর হেরোইনের বল গিলে জমা করে রাখাটা।

খুব দারুণভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে-বলতেই হবে। মুভিটির পটভূমি কলম্বিয়া হলেও শুট করা হয়েছে ইকুয়েডরে। আর মারিয়া চরিত্রের অভিনেত্রী ক্যাটালিনা সানডিনো মোরেনো বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার আর অস্কারে সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন লাভ করেন। টরেন্ট ডাউনলোড লিংক সামহোয়্যারইন ব্লগে ৩ বছর ৪ মাসের যাত্রায় এটা আমার ৫০ তম পোস্ট। ক্ষুদ্র এ জীবনের উল্লেখযোগ্য অভিজ্ঞতাগুলোর মধ্যে ব্লগিং অন্যতম।

সাথে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা নিরন্তর।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।