আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বের কয়েকটি বিস্ময়কর সংরক্ষিত জায়গা

একা পাখি বসে আছে, দূর নীলিমার পানে তাকিয়ে...
কোকাকোলার রেসিপি সম্ভবত ইতিহাসের সবচেয়ে গোপন রেসিপি! আজ পর্যন্ত কেউ কোকাকোলার রেসিপি বের করতে পারেনি, এজন্যে কোকাকোলার স্বাদটাও হয় অন্যরকম। যুগ যুগ ধরেই কোম্পানীর অতি বিশ্বস্ত কয়েকজন ছাড়া এই রেসিপি কেউ জানতে পারে না। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে ৬.৬ ফুট মোটা ধাতব ভল্ট বানানো হয় যেখানে কোকাকোলার রেসিপি নিয়ে কাজ করা হয়। এখানে সেই ব্যক্তিবর্গ ছাড়া আর কেউই যেতে পারেন না। কঠোর নজরদারীর ওপর রাখা হয় এই ভল্টটিকে।

আমেরিকার নেভাদা অঙ্গরাজ্যের সামরিকঘাটি এরিয়া ৫১ বিশ্বে বহুল আলোচিত স্থানগুলোর একটি। এ স্থাপনাটি লাসভেগাস থেকে ৯৫ কিমি দুরে “গ্রুম” লেকের পাশে অবস্থিত। দুর্ভেদ্য বেষ্টনীতে ঘেরা এ ঘাটির প্রবেশপথে লেখা আছে অনধিকার প্রবেশকারীকে গুলি করা হতে পারে। আজপর্যন্ত বেসামরিক কেউ দাবী করেনি তিনি এরিয়া ৫১ এ ঢুকেছেন। তবে স্থাপনাটিকে বিতর্কিত ও রহস্যময় করে তোলার পিছনে আশপাশের বাসিন্দারাই দায়ী।

তাদের অনেকের দাবী এরিয়া ৫১ এর আকাশে ফ্লাইং সসারের মত মত কিছু উড়তে তারা দেখেছেন। আবার অনেকেই নাকি এমন দ্রুতগতির বিমান উড়তে দেখেছেন যার গতি সাধারন বিমান বা যুদ্ধবিমান কোনোটার সাথেই মিলে না। ডিজনীল্যাণ্ডে অবস্থিত এই ক্লাবটি শুধু গোপনীয়তার জন্যই যে বিখ্যাত তা নয়, এখানে ঢুকতে হলে আপনাকে এন্ট্রি ফি দিতে গুণতে হবে ১০ থেকে ৩০ হাজার ডলার! এটি ফ্রান্সেস্কো বিয়াঙ্কো নামক একজন ইটালিয়ান ভদ্রলোক কতৃক ১৬৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্লাব। এই ক্লাবের সদস্য হতে হলে আপনাকে অবশ্যই সাদা ইংরেজ হতে হবে! শুধু তাই নয়, কমপক্ষে দুজন পরিচিত সদস্য থাকলেই কেবল এই ক্লাবের সদস্য হওয়া যাবে। অবশ্য কারা এই ক্লাবের সদস্য এটা কখনই জানা যায় না! এসব জায়গা যে দূর্গম এলাকায় অবস্থিত এমন নয়, তবুও যে কেউ চাইলেই সেখানে যেতে পারবেন না! কারণ জায়গাগুলোতে সবার প্রবেশাধিকার নেই! আসুন ঘুরে আসি এমন কিছু জায়গা থেকে, আপাতত ছবি দেখেই স্বাদ মিটিয়ে নিই! এটি ১৯৫০ সালের পর শীতল যুদ্ধের সময়কালের স্থাপিত মার্কিন আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এটি খুবই গোপনীয় এবং এখানে ঠিক কি করা হয় সে সম্পর্কে কোনো তথ্যই কোথাও নেই। কথিত আছে এই অঞ্চলকে last hope বা সর্বশেষ আশা বলেও ডাকা হয়! ১৭৩৪ সালে অবস্থিত এই ব্যাঙ্কের ভল্টটি লন্ডনের একদম মাঝখানে অবস্থিত। অগণিত সোনা দিয়ে পরিপূর্ণ এই ব্যাঙ্ক। ভল্টের ঢুকতে হলে যে প্রবেশ পথের দরজাটি রয়েছে সেটি খুলতে ৩ ফুট লম্বা একটি চাবি ব্যবহার করা হয়! এতে করেই বোঝা যায় কি নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় রয়েছে এই ভল্টটি! এটি বিশ্বের বিখ্যাত একটি দ্বীপ যা কীনা বিষাক্ত সাপের জন্য বিখ্যাত! প্রায় ৫ হাজারেরও বেশী সাপ এই ছোট্ট দ্বীপটিতে গিজগিজ করছে! ব্রাজিল সরকার জনসাধারণের জন্য এই দ্বীপটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। অল্প কিছু বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ছাড়া এই দ্বীপে কারও প্রবেশাধিকার নেই এটি আসলে পুরোটাই গোপন নয়, এখানে যে কেউ যেতে পারে, যেকোনো ডকুমেন্ট নিতে পারে, তবে এগুলোর মাঝে একটি গোপন ভল্ট থেকে কেউ কোনো ডকুমেন্ট নিতে পারেনি গত ৭৫ বছর ধরে! সেই গোপন ভল্টে কি আছে কেউ জানেও না এখন! ৬০০ মিলিয়ন ডলার ব্যায়ে নির্মিত ডালাসে অবস্থিত এই গুগল ডাটা সেন্টারটি সর্বোচ্চ গোপনীয়তা বজায় রাখে।

এখানে কারোর প্রবেশাধিকার নেই, এমনকি খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টেরও! গুগলের এই ডাটা সেন্টারের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য তাদের নিজেদের প্রশিক্ষিত বাহিনী রয়েছে! এই লিংক থেকে নেওয়া ***আমার যত ছবি ব্লগ*** (আপেডট)
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.