আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লুল গদ্য

জিনিয়াস কিংবা এক্সট্রা-অর্ডিনারি না হতে পারার দূ:খ কখনই আমাকে কষ্ট দেবার সুযোগ পায়নি আর আমি সাধারনের মাঝে একজন একজন অতিসাধারন, আমার মেধাবি গাধা হবার কোন ইচ্ছা নাই। আর এভাবেই আমি কাটিয়ে দিতে চাই আমার জিবন্টা, আমি নীল আমার এই আমাকে নিয়ে অনেক সুখি।

একটা ছোট্ট মজার কাহিনী বলি , যেটা স্কুলে থাকার সময়কার । বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা তে আমাদের অনেক খেলার ইভেন্টের সাথে একটা ইভেন্ট ছিলো “যেমন খুশি তেমন সাজো” । এখন আর স্কুল কলেজে চোখে পড়ে এসব ।

এখন তো ডিজিটাল খেলা চলে সবজায়গায় । ... ফেফে । .. আসল কথায় ফিরে আসি- তো যেমন খুশি তেমন সাজো ইভেন্ট এ কেউ সাজলো ম্যাকগাইভার,কেউ সাজলো কবি, সাপুড়ে ইত্যাদি । আর উল্লেখ্যযোগ্য ভাবে এক মেয়ে সেজেছিলো “বীরঙ্গানা” (ক্লাস সেভেনে পড়ত ঐ মেয়ে, কিন্তু গায়ে গোতরে মনে হবে না কেলা গাছ ৭ এ পড়ে... ফেফে... পাঠান টাইপ) । আর যার জন্য এই লুল গদ্য ,যার উছিলায় এই লুল গদ্য শেয়ার করা তিনি হলেন আমার দোস্ত (নাম জানানো নিষেধ আছে... ফেফে) ।

সে সেজেছিলো “রাখাল বালক”। যেহেতু রাখাল বালক তাই সাথে গরু থাকাটা সুর্য পুব দিকে উঠার মতই ইউনিভার্সাল ট্রুথ ... ফেফে । .... ... তো আমরা গরু ও একটা জোগাড় করে দিছি- তয় গাই গরু । যাতে শান্ত থাকে (মেয়েরা তো শান্ত জাতি... ইউ নো হোয়াট),যাতে গুতা-মুতা না মারে । গরু গাই হলে কি হবে, সেয়ানী আছিলো শালী ।

যে আকামডা করছে এইটা শেষেই বলব । আমরা বলে দিলাম দড়ি শক্ত করে বেধে রাখতে যাতে কোথাও দৌড় না দেয়,কারন মাঠের পাশেই অনেক বরেন্য লোক থাকবে,ঢুসা মুসা দিয়া দিলে কাম সাড়া ,এক্কেরে । ... যখনি গেইম টিচার (স্যার-কে অনেক মিস করি। । প্রচুর মাইর খাইছি কিন্তু ওগুলো আশির্বাদ ছিলো) বাশি দিলো যেমন খুশি তেমন সাজো নামক সার্কাস শুরু হয়ে গেলো ।

আর সাথে সাথে মাঠে পার্টিসিপেন্ট রা যার যার ভেল্কি বাজি দেখাতে ব্যাস্ত হয়ে গেলো । যে ম্যাকগাইভার সেজেছে-সে স্ক্রু দিয়া কি যেন খোলার চেষ্টা করছে (আইজ পর্যন্ত খুলতে পারছে কিনা কে জানে??...ফেফে),সাপূরে ভাই ভেপু একটা নিয়া মাঝখানে বাক্স একটা রাইখ্যা বাশি বাজাইতাছে-যদিও সাপ টাপ আসার নাম গন্ধ ও নাই। আর সাপুড়ে ভাই সাপ খেলা দেখাইতাছে নাকি সাপ বিক্রি করছে আল্লাহ মালুম... ফেফে । আর মেইন দুই ক্যারেক্টার এর কথা তো বলাই হয় নাই ... “রাখাল বয় ও বীরাঙ্গানা” । মনে হয় যেন “মিঃ এন্ড মিসেস স্মিথ” ... ফেফে .... যেহেতু ঐ মেয়েটা বীরাঙ্গানা সেজেছে সো তাকে ঐভাবেই শো-আপ করতে হবে-ধর্ষীতা নারীর মতন ।

ঐ মেয়েও কম কি ?? হেলে দুলে,শরীরে বল নাই(রবীন্দ্রনাথ রে কইলেই তো একটা বল বানায়া দিত...),চেহাড়ার মাঝে নিপীড়িত নারীর ছাপ,আর সবচেয়ে বড় কথা হল শাড়ীটাও একটু খুললাম খুল্লা ভাবেই পরছে,চুল ও আউলানো । মনে হয় যেন এইমাত্র পাক হানাদার বাহিনীর ক্যাম্প থেইকা বের হইছে... ফেফেফে ... ঘটনার শুরু হল এখানেই, আমার বন্ধু গরু নিয়া অন্যত্র শো-ডাউন দেয়ার বদলে ঐ মেয়ের পিছন পিছন শো-ডাউন দিচ্ছে ... ফেফে । উদ্দেশ্য মেয়েটাকে আগা টূ গোড়া পরখ করা (এক কথা লুলামি... ফেফে ) । আমরা বন্ধুরা ততক্ষনে ব্যাপারটা বুঝতে পেরে বাইরে থেকে চিল্লা ফাল্লা ,আর হাসতে হাসতে এক জনের গায়ের উপর আরেকজন নিউটনের সুত্রের মত পতিত হওয়া শুরু করে দিছি । আমার বন্ধু মেয়েটার পিছুই ছাড়ছে না ।

মেয়েটা হেলে দুলে যেখানেই যাচ্ছে আমার বন্ধুও গরু নিয়া সেখানেই যাচ্ছে ... ফেফে । মেয়েটাও ব্যাপারটা বুঝতে একটু ভয়ে আছে-ভয়ে আছে গরুর গুতা খাওয়ার । তক্ষনাৎ মেয়েটা (কমন সেন্স প্রখর আছে বলতে হবে) একটা কাঠের সাথে(কাঠ বলতে, যেখানে বিজয়িরা দাড়ায়, ১ম হলে ১ নম্বর এ,মানে উপরে,পর্যায়ক্রমে ২য় ও ৩য় হলে বাম-ডান করে যেখানে দাড়ায়) হেলান দিয়া বসে পড়ল । ... কিন্তু আমার লুলা রাখাল বন্ধুরে কি আর বেধে রাখা যায় ??? সেও ঐ মেয়ের পাশে একটু দূরত্ব বজায় রেখে দাড়িয়ে আছে-মেয়েটার দিকে তাকিয়ে । ... ফেফে ।

বিধিবাম সেও মুহুর্তে ঘটে গেল ইতিহাসের(আমার স্কুল লাইফের) আরেক ন্যাক্কার জনক ঘটনা । দোস্তের গাই গরু দিল দুই লাদা হাগু করে... ফেফে (হা হা পগে... ) । মাঠের মধ্যে থাকা পারটিসিপেন্ট আর মাঠের বাইরে থাকা চারপাশে যত মানুষ ছিলো সবার হাসির আওয়াজ ছাড়া আর কিছুই শোনা গেল না । আর বন্ধুর পাশে বসে থাকা “বীরাঙ্গানা” ম্যাডাম ছিঃ বলে উঠে গেল । গেইম টিচার আসল তেড়ে, আর বলেদিল অতিসত্বর যাতে এই লাদা ছাফ করতে ... ফেফে ।

... তখন আশেপাশে সিটি কর্পোরেশনের গাড়ী ছিলো না যে-ইনস্ট্যান্ট পরিস্কার করে দিবে । কি করা বেচারা!!! সবার সামনে তার দুই হস্ত দিয়া অপমানজনক ভঙ্গিতে গরুর গোবর গুলান ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে আসতে হল । মার্ক তো সে পেলই না উল্টো লুলামির খেসারত দিলে হল চ্রমভাবে... ফেফে ফেফে বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ঐ মেয়েও কিছুই হয় নাই................. ............। হেল বয়

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।