আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডান-বাম সবাইকে নিয়ে বৃহত্তর ঐক্যের উদ্যোগ 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে একতরফা জাতীয় নির্বাচন রুখতে বাম-ডান সব বিরোধী দলকে নিয়ে এক বৃহত্তর ঐক্য গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। ইতোমধ্যেই এ প্রক্রিয়া অনেক দূর এগিয়েছে। প্রয়োজনে সরকারবিরোধী আন্দোলনের যুগপৎ কর্মসূচি পালন করবে দলগুলো। নিজেদের নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের বাইরেও মহাজোটের শরিক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি, অধ্যাপক ড. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারা, ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম, আ স ম আবদুর রবের জেএসডি, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাসদ, সিপিবি ও মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্যসহ বিভিন্ন ইসলামী দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষাসহ জোর তৎপরতা চালাচ্ছে দলটি। এসব দলকে ক্ষমতাসীন মহাজোটের অধীনে একতরফা নির্বাচন বর্জনসহ তা প্রতিরোধে অংশগ্রহণ করানোরও প্রচেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যেই এ প্রক্রিয়া অনেক দূর এগিয়েছে। '১৫ নভেম্বর টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতির' প্রতিবাদে প্রতিবছর এ দিন কর্মসূচি হয়। টাঙ্গাইলে এবার এ দিন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মহাসমাবেশ উপলক্ষে প্রথমবারের মতো এইচ এম এরশাদ, ড. কামাল হোসেন, অধ্যাপক বি. চৌধুরী, আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ উলি্লখিত দলগুলোর শীর্ষ নেতারা একই মঞ্চে উঠবেন বলেও আশা করা হচ্ছে। এ সমাবেশে বিএনপির পক্ষ থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের গণদাবি আদায়ের পর অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও পরবর্তীতে সবাই মিলে জাতীয় সরকার গঠনের লক্ষ্যে প্রয়োজনে নির্বাচনী জোটও গ্রহণ করতে প্রস্তুত বিএনপি। বর্তমানে আত্দগোপনে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগের একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে উলি্লখিত দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে একই প্লাটফর্মে আনার প্রক্রিয়ায় দলীয় চেয়ারপারসনের ইতিপূর্বে দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করছেন বলে জানা যায়। এ সম্পর্কে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভাষ্য হলো, দেশের গণতন্ত্র, জাতীয় ও জনস্বার্থবিরোধী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার অধীনে এই একতরফা নির্বাচন ঠেকাতে যা যা করা দরকার, জনগণ তার সবই করবে। এ ধরনের নির্বাচনে বিএনপি তো দূরের কথা, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী কোনো দলই অংশ নেবে বলে আমি বিশ্বাস করি না। শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো দলই ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে এই একতরফা ও অগ্রহণযোগ্য নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে আশা করেন তিনি। বরং সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে তা প্রতিরোধের চেষ্টা করবে। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম ১৫ নভেম্বর টাঙ্গাইলে অনুষ্ঠেয় তার দলের সমাবেশের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সবাইকেই দাওয়াত দিয়েছি। আশা করি তারা আসবেন। এদিকে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সর্বদলীয় অন্তর্বর্তী সরকারে যোগদানসহ একতরফা নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে গতকাল পরিষ্কার ভাষায় বলেছেন, এ ধরনের নির্বাচনে অংশ নিলে মানুষ আমাকে দালাল হিসেবে থুথু দেবে। জনগণ ভাববে যে, আমি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানোর জন্যই এ নির্বাচনে যাচ্ছি। কাজেই প্রয়োজনে জেলে যাব, তবুও শেষ বয়সে আর দালাল হতে চাই না। সংশ্লিষ্ট অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় পার্টিসহ উলি্লখিত দলগুলোকে নিয়ে একতরফা নির্বাচন বিরোধী প্লাটফর্ম গড়ার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই অনেক দূর এগিয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে দফায় দফায় যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে জাতীয় পার্টির সঙ্গে বিএনপির পক্ষ থেকে যোগাযোগের মূল কাজটি বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরী করছেন বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে মাহী বি. চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এ দুই জোটের বাইরেও আরেকটি আলাদা জোট তারা গঠনের প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন। তবে আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো একতরফা নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না কিছুতেই। এ জন্য প্রয়োজনে বিএনপিসহ সব বিরোধী দলের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে তা প্রতিরোধ করা হবে। বিরোধী দলের বৃহত্তর এই ঐক্য প্রক্রিয়াও ইতোমধ্যেই অনেক দূর এগিয়েছে বলে জানান তিনি।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.