আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পোশাকশ্রমিকেরা ৫৩০০ টাকাই মজুরি পাচ্ছেন

পোশাকশিল্পের মালিকদের উৎসে কর হ্রাসসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিয়ে শ্রমিকদের মজুরি পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা নির্ধারণের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রস্তাবিত মজুরিকাঠামোতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হতে পারে। একই সঙ্গে শ্রমিকদের বার্ষিক প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাও বাড়বে।

এসব বিষয় নিয়ে গতকাল বুধবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শ্রম মন্ত্রণালয়, পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পোশাক কারখানার মালিকেরা ন্যূনতম মজুরি পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা দিতে রাজি হয়েছেন।

অন্যদিকে মালিকেরা যেসব দাবি করেছেন, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিদেশ থেকে ফিরে এসে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে বৈঠকে জানানো হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতারা মজুরি বোর্ডের প্রস্তাব মেনে নিয়েছেন। বিষয়টি শ্রমসচিব মিকাইল শিপারও নিশ্চিত করেছেন।

শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এর আগে বিজিএমইএ শ্রম মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছিল যে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের প্রস্তাবিত পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা মজুরি দিতে রাজি আছে, যদি তাদের তিনটি সুবিধা দেওয়া হয়। এর একটি হচ্ছে উৎসে কর হ্রাস।

বর্তমানে শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ হারে উৎসে কর দিলেও এখন মালিকপক্ষ দিতে চাইছে মাত্র শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ। এ ছাড়া ব্যাংকঋণের সুদের হার কমানো এবং ইউরোপ, আমেরিকা ও কানাডার বাজারে পোশাক রপ্তানিতে ২ শতাংশ নগদ সহায়তার দাবি জানানো হয়েছে।

পুরো বিষয়টি জানাতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ৫৫টি শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক ডেকেছে শ্রম মন্ত্রণালয়। মজুরি নিয়ে আশুলিয়া ও গাজীপুর এলাকায় কয়েক দিন ধরে শ্রমিক অসন্তোষ হচ্ছে।

জানা গেছে, নতুন মজুরিকাঠামো মেনে নেওয়ার বিষয়টি পোশাক খাতের নেতারা আজ সংবাদ সম্মেলন করে জানাবেন।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নিম্নতম মজুরি বোর্ড শ্রমিকদের যে মজুরি প্রস্তাব করেছে, তাতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হতে পারে। মাসিক মূল মজুরি কমিয়ে খাদ্য ভর্তুকি বাড়ানো হবে। এ ক্ষেত্রে একজন শ্রমিক যাতে কমপক্ষে ২৫ টাকা খাদ্যভাতা পান, সে হিসেবে খাদ্য ভর্তুকি ৩০০ টাকা বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা করা হবে। তবে সর্বনিম্ন মূল মজুরি তিন হাজার ২০০ টাকা থেকে কমিয়ে তিন হাজার টাকা করা হতে পারে। এ ছাড়া ওপরের ছয় গ্রেডের মূল মজুরি কমানো হতে পারে।

জানতে চাইলে মজুরি বোর্ডের শ্রমিক প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, শ্রমিকেরা প্রতিদিন দুই থেকে চার ঘণ্টা ওভারটাইম করেন। এখন মূল মজুরি কমিয়ে দিলে শ্রমিকেরা ওভারটাইমের জন্য কম টাকা পাবেন। শ্রমিকদের ঠকাতে এটা মালিকপক্ষের পুরোনো কৌশল।

নিম্নতম মজুরি বোর্ড যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা থেকে সরে এলে আন্তর্জাতিকভাবে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন হতে পারে বিবেচনায় মালিকদের সুবিধা দিয়ে হলেও শ্রমিকদের পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা মজুরি নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শ্রম মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।

 



সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।