আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুসলমানগণকে বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যে সবসময় ইহুদী-মুশরিকরা অর্থ, ক্ষমতা, নারী এই তিন উপাদান ব্যবহার করে থাকে ।

হক কথা, হকের কথা এবং হক কথা

কারবালার ইতিহাস থেকে শেখা - (১) ইতিহাস সাক্ষী দেয় যে,ইয়াযদি খ্রিস্টান কোনো কোনো মতে ইহুদী উপদেষ্টার পরামর্শ অনুযায়ী ইবনে যিয়াদকে কূফার গভর্নর নিযুক্ত করা হয়। যদি ইয়াযীদ খ্রিস্টান বা ইহুদী উপদেষ্টার পরামর্শ গ্রহণ না করা হতো তাহলে ইবনে যিয়াদ গভর্নর হতো না এবং এই চরম ঘৃণ্য, মুনাফিকী কার্যক্রমও সংঘটিত হতো না। প্রথমদিকে ইয়াযীদ সে ভালো থাকলেও ইহুদী খ্রিস্টানদের প্ররোচনায় সে নারী এবং শরাবে আসক্ত হয় এবং এই হারাম বিষয়গুলো তার অন্তর থেকে ঈমান উনার নূর নষ্ট করে ফেলে। (২) ইয়াযীদ তার কাছে যখন তার রাজত্ব হুমকির সম্মুখীন মনে হলো অর্থাৎ মুসলমানগণ ইয়াযীদকে ক্ষমতায় না দেখে, পবিত্র আহলে বাইত শরীফ উনাদের দেখতে চাইলো তখন ইয়াযীদ কুফায় নিযুক্ত গভর্নর ‘হযরত নোমান বিন বশীর রদ্বয়িাল্লাহু তায়ালা আনহু ’ উনাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বললেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। তিনি হযরত ইমাম মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিষয়েও নীরব থাকেন।

তখন ইয়াযীদ উনাকে পদচ্যুত করে উনার স্থলে ইবনে যিয়াদকে বসায়। ইবনে যিয়াদকে খুশি করার লক্ষ্যে বলা হয় ‘তুমি বসরার গভর্নর থাকবে, পাশাপাশি কুফারও গভর্নরের দায়িত্ব পালন করবে। ’ এভাবে ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে এবং দায়িত্ব দিয়ে মুসলমানগনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়। (৩) আবার ইবনে যিয়াদও মুসলমানগণকে নির্যাতন করার লক্ষ্যে ইহুদীদের শেখানোর নিয়ম চালু করে। হযরত মুসলিম বিন আক্বীল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য সে এক হাজার দিরহাম পুরস্কার ঘোষণা করেছিলো।

(৪) আবার ইয়াযীদ সে হযরত হোসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, উনার মস্তক এর জন্য বিশেষ পুরস্কার ঘোষণা করেছিলো। তাহলে আমরা দেখতে পেলাম ইহুদী-খ্রিস্টান, মুশরিকরা নারী, ক্ষমতা, অর্থ এই তিন উপাদান প্রয়োগ করে মুসলমানগণকে পূর্বেও বিভ্রান্ত করেছে এবং এখনো করে যাচ্ছে।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।