আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাপুংশুক. কাপুরুষ, মানুষরুপি জানোয়ার বা প্রতিবন্ধী, তোমাকে কোন নাম ডাকব ধর্ষক? আদৌ কি কোনো নামের প্রয়োজন রয়েছে তোমার? মৃত্যুর পরে এই মাটিও কি তোমাকে গ্রহণ করতে পারবে?

যা বিশ্বাস করি না, তা লিখতে-বলতে চাই না, পারবোও না। কিন্তু যা বিশ্বাস করি, তা মুখ চেপে ধরলেও বলবো, কলম কেড়ে নিলেও লিখবো, মারলেও বলবো, কাটলেও বলবো, রক্তাক্ত করলেও বলবো। আমার রক্ত বরং ঝরিয়েই দাও, ওদের প্রতিটি বিন্দুর চিৎকার আরও প্রবল শূনতে পাবে। ঢাকার আশুলিয়ায় এক আদিবাসী শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর কি কোনো শেষ নেই? আর কত শুনতে হবে এমন, কত? তুমি নিজেকে প্রশ্ন করেছ, না পুরুষ, না নারী, না মধ্যবর্তী কিছু, তুমি কি ধর্ষক? এটিকি একটি হিংস্র পশুর নাম নয়!!? তোমাকে সমাজে আমাদের মাঝে চাইনা, তুমি জঙ্গলে চলে যাও..... ঢাকার আশুলিয়ায় এক আদিবাসী শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

অপহরণের পর অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করা হয়। অপহরণের তিন দিন পর গত মঙ্গলবার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গতকাল বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগে তৌহিদ ইসলাম (২৭) নামে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তৌহিদের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায়। থাকতেন আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকায়।

শিশুটির বাড়ি খাগড়াছড়িতে। সে আশুলিয়ার বুড়িবাজারে এক পোশাকশ্রমিকের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করে। আশুলিয়া থানার পুলিশ ও শিশুটি জানায়, শনিবার রাত সাতটার দিকে শিশুটি কাপড় আনার জন্য বাসার ছাদে যায়। তখন বাসায় কেউ ছিল না। এই সুযোগে তৌহিদ অন্যদের সহযোগিতায় তাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

রাতে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে গৃহকর্তা শিশুটিকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে তিনি আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। মঙ্গলবার বিকেলে গাজীরচট এলাকা থেকে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে। রাত সাড়ে তিনটার দিকে পুলিশ তৌহিদকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল তাকে সাত দিনের পুলিশি রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

শিশুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শিশুটির গৃহকর্তা বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন। গৃহকর্তার এক আত্মীয় বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে তৌহিদ শিশুটির পিছু নেন। বিষয়টি আমরা আঁচ করতে পারলেও প্রত্যক্ষ কোনো প্রমাণ ছিল না। শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার পর সন্দেহভাজন হিসেবে তৌহিদের মুঠোফোনে চেষ্টা করে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

মঙ্গলবার বিকেলে মুঠোফোন খোলা পেয়ে শিশুটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে এড়িয়ে যান। অভয় দেওয়ার পর শিশুটি তাঁর কাছে আছে বলে স্বীকার করেন। কয়েক ঘণ্টা পর তিনি শিশুটিকে বাড়ির পাশে রেখে যান। বিষয়টি আশুলিয়া থানার পুলিশকে জানালে ওই দিন রাতে তৌহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তৌহিদ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।

View this link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।