আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আওয়ামীলীগ এখন অনেক এগিয়ে বিএনপির কোন পাত্তা নেই।


রাষ্ট্রের সার্বিক অবকাঠামো রক্ষায় যেকোন দেশের সরকার প্রধানের দায়িত্ব অসীম ও সিমাহীন পরিকল্পনার মধ্যে কিছু না কিছু ভূল থাকতে পারে এটা পৃথিবীর যে কোন দেশের সরকার প্রধানের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট। তেমিন আমাদের সরকার প্রধানের ইহার ব্যতিক্রমের বাইরে নয়। এখন আমাদের স্বীকার করা উচিত চল্লিশ বছরের ইতিহাসে এরকম পরিবর্তন আদৌ হয়েছে কিনা বা দেখতে পাব কিনা জানি না। সরকারের যে সব সেক্টর সমূহ চরম উন্নতির দিকে এগিয়ে গেছ তার মধ্যে অন্যতম হলঃ বিদ্যূত: অতিতে বিদ্যূত ছিল আলাউদ্দিনের চেরাগ আর বর্তমান সরকারের এ+ এর মধ্যে কোন সন্দেহ নেই। বিগত সরকারের এ সেক্টরের লুটপাট থেকে সরকার রাষ্ট্র অবকাঠামোয় বিদ্যূত সেক্টরকে একটি চমকপ্রদ রূপ দিতে পেরেছে যা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল।

মাথা পিছু আয়ঃ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে জনগণের ভুমিকা মুখ্য। এক সময় এ দরিদ্র দেশের মানুষের খাবারের বেশ হাহাকার ছিল মাথা পিছু ছিল খুবই নগন্ন। কিন্তু বর্তমানে মাথা পিছু ৫৭৬ মার্কিন ডলার থেকে এখন ১০৪৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশ এখন কারো উপর নির্ভরশীল নয়। এছাড়া সার্বিক উন্নয়নের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাচ্ছে যে, সাক্ষরতার হার এখন ৫১.৯ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭১.১ শতাংশ যা বিগত সরকারের থেকে বর্তমান সরকারের সাফল্যের বিরল দৃষ্টান্ত।

এছাড়া আরো বেশি চমকপ্রদ যে রেমিটেন্সে বিগত সরকারের থেকে ১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বর্তমান ৪৮ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে, দারিদ্র হার ৪১.৫১ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ২৬ শতাংশ, কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে ২৪ লাখ থেকে ৭৫ লাখ। এছাড়া দেশের এ অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধনের জন্য বৈদেশিক বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রেখেছে। এখন বৈদেশিক বিনিয়োগ ১৮৭ কোটি মার্কিন ডলার থেকে ৩৮২ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে যা সামাজিক নিরাপত্তা সহ দেশের জীবনযাত্রা ও সার্বিক অবকাঠামোর মান চরম উন্নতীতে পেীছে গেছে। সরকারের ডিজিটাল দেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সবচেয়ে বড় দরকার ইন্টারনেট সেবা আজ সেই ইন্টার নেট সেবা প্রতিটি জেলা উপজেলার দ্বারপ্রান্তে পৌছে গেছে যা ছিল অকল্পনীয়। বর্তমান ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫৭ লাখ থেকে ৪ কোটিতে দাঁড়িয়েছে।

এরকম বহু তত্ত¡-উপাত্ত¡ রয়েছে সরকারের উন্নয়ন অবকাঠামোর চিত্র, তবে অন্য প্রসঙ্গে আসি আমাদের স্বীকার করতে হবে আধুনিক ঢাকার রূপকার বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে। এখানে কোন ডাউট নেই তিনি ৫ বছরের ঢাকা শহরকে আধুনিক ঢাকা শহরে রূপান্তর করেছেন যেমন গুরুত্বপূর্ণ উড়ালসেতু-যে উড়ালসেতুর কথা আমরা কোন দিন চিন্তা করতে পারেনি। অতি অল্প সময়ে আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌছাতে পারি। এছাড়া আমরা যখন হাতির ঝিল যায় তখন মনে হয় নিউইয়র্কের কোন এক পার্কে আছি। এটি আধুনিক ঢাকার মডেল হিসাবে বলা চলে।

কিন্তু এত উন্নয়ন সত্তে¡ও আমরা কি বলতে পারি এ সরকার স্বৈরাচারি রূপ ধারণ করেছে, দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে?????? সুতরাং আমরা এক কথায় বলতে পারি যে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে এ সরকারের আবার দরকার-তাহলে আমাদের দেশ একদিন আধুনিক বিশ্বে পরিণত হবে-ইনশাল্লাহ। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেখা যাচ্ছে যে, সরকারের সুনাম কে ধূলিস্যাত করার জন্য এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মানুষ ক্ষমতার মোহকে পাওয়ার জন্য অনেক অপবাদ লুটাচ্ছে আমরা এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব কারণ এরা দেশের জন্য ক্ষতিকর এবং আবার এরা ক্ষমতায় এলে দেশকে ধ্বংস করে ফেলবে ফলে দেশ অনেক পিছিয়ে পড়বে। আজ জনগণ বুঝতে পারছে যে দেশের উন্নয়নের জন্য এ সরকারেরই দরকার। এক সময় অপপ্রচারের কারণে এ সরকারের প্রতি জনগণের একটা রোষ বা ক্ষোভের সৃষ্টি হয় কিন্তু সে সব ক্ষোভ থেকে আওয়ামীলীগ এখন অনেক মুক্ত। জনগণ তাদের ভুল বুঝতে পারছে।

তারা আবার এ সরকারের ক্ষমতায় দেখতে চাই। সুতরাং আবার ক্ষমতায় আসবে এ সরকার। এখন দেশ ও জাতির কাছে বিএনপি-জামাতের আর কোন পাত্তা নেই। তারা যতই আন্দোলন করুক না কেন কোন লাভ নেই, কারণ জনগণ এখন তাদের সাথে নেই। সুতরাং বিএনপির এখন লেজে গোবর, অতএব, ধিক শত ধিক হে, বিএনপি-জামাত।


 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.