আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিসিকে ক্ষতিকর অ্যাশফাল্ট মেশিন, হুমকিতে পরিবেশ

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে শরীয়তপুর বিসিক শিল্পনগরীতে বসানো হয়েছে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর অ্যাশফাল্ট (মিকচার) মেশিন। এই মেশিনে উচ্চ তাপমাত্রায় বিটুমিন (পিচ) পুড়িয়ে পাথর ও বালু মিশিয়ে বিসিক থেকে ২০-৩০ কিলোমিটার দূরে সড়ক মেরামতের কাজ করছে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। মেশিনের বিষাক্ত ধোঁয়া ও বালুতে খাদ্য উৎপাদন মারাত্দকভাবে ব্যাহত হচ্ছে শিল্পনগরীর খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে। হুমকির মুখে পড়েছে জনজীবন। মেশিনের কাজে ব্যবহৃত ভারী যান চলাচলের ফলে ভেঙে পড়েছে বিসিক নগরীর অভ্যন্তরীণ সড়ক ব্যবস্থা।

বিসিক ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জেলার শিল্পোন্নয়নে ১৯৮৮ সালে ৯৬টি প্লট নিয়ে শরীয়তপুরে প্রতিষ্ঠিত হয় বিসিক শিল্পনগরী। ২০০৯ সালে এখানে খাবার, গুঁড়া মসলা ও পানির কারখানা স্থাপনের জন্য চারটি প্লট বরাদ্দ নেন স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যান এবং তার দুই ভাই। নিয়ম অনুযায়ী বরাদ্দের ২২০ দিনের মধ্যে কারখানা স্থাপন না করে গত মার্চ থেকে ওই প্লটগুলো ভাড়া দেওয়া হয় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। প্রতিষ্ঠানটি বিসিকে অ্যাশফাল্ট প্লান্ট স্থাপন করে সড়ক মেরামত কাজে প্রয়োজনীয় বিটুমিন, পাথর ও অন্যান্য উপাদান মিশিয়ে গরম করে নিয়ে যাচ্ছে ২৫-৩০ কিলোমিটার দূরে। অ্যাশফাল্ট মেশিন থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া ও ক্ষতিকর উপাদানের প্রভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে আশপাশের পরিবেশ।

স্থানীয়রা জানান, 'মিকচার মেশিন চালু করলে আমাদের কাজ করতে সমস্যা হয়। খাদ্যসামগ্রীতে পড়ে বিষাক্ত কার্বন। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বরজের পান ও গাছের ফলফলাদি। বার বার আবেদন জানালেও বন্ধ হয়নি এই মেশিন। বিসিকের সহসভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, প্লান্টের চুলি্লর ধোঁয়া থেকে নির্গত ক্ষতিকর উপাদান দেখা না গেলেও তা নিয়মিত খাবারে মিশছে।

খাবারে পাওয়া যায় পিচের গন্ধ। অন্যায়ভাবে বসানো চুলি্লটি সরানোর জন্য একাধিকবার বিসিক কর্মকর্তাদের বললেও কর্ণপাত করেনি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম এম বিল্ডার্সের ম্যানেজার আক্তার হোসেন বলেন, আমরা প্লট মালিকদের কাছ থেকে জমি ভাড়া নিয়ে কাজ করছি। বিসিকের সম্মতি না থাকলে কাজ করা সম্ভব হতো না। প্লট মালিক আতাউর রহমান বলেন, 'আমাদের প্লটগুলো খালি পড়ে থাকায় নির্মাণসামগ্রী রাখার জন্য ঠিকাদারকে অনুমতি দিয়েছি মাত্র।

কিন্তু তাদের সঙ্গে ভাড়ার চুক্তি হয়নি। শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক রাম চন্দ্র দাস বলেন, বিসিকের অভ্যন্তরে এ প্লান্ট স্থাপন অসঙ্গতিপূর্ণ।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.