আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের ১০টি কারখানায় শ্রমিক নিরাপত্তায় ত্রুটি

মার্কিন খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্ট বলছে, তাদের গঠিত একটি কমিশনের প্রতিবেদনে দেখা গেছে বাংলাদেশের ৭৫টি পোশাক কারখানার মধ্যে ১০টিতে শ্রমিকদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ত্রুটি পাওয়া গেছে। তবে প্রতিবেদনে এটাও বলা হয়েছে যে, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ওই ১০টি পোশাক কারখানা ধীরে ধীরে উন্নতি করছে।
পোশাক কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণের পরই তারা এই প্রতিবেদন প্রকাশ করল। বিশ্বের অন্যতম নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান ব্যুরো ভ্যারিটাসকে দিয়ে ওয়ালমার্ট এই নিরীক্ষা করিয়েছে। আজ সোমবার এপির খবরে এ কথা বলা হয়েছে।


ওয়ালমার্ট যাদের কাছ থেকে পোশাক কিনে থাকে এমন ২০০ বাংলাদেশি পোশাক কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষা করেছে ব্যুর্যো ভ্যারিটাস। এপ্রিলে রানা প্লাজায় ধসে ১১০০ জন নিহত হওয়ার পর ওয়ালমার্ট এই কাজ শুরু করে। সাভারের রানা প্লাজা ধসের পরে পোশাক কারখানার পরিদর্শন করে শ্রমিক ও শ্রমিকদের নিয়ে যারা কাজ করে তাদের সমন্বয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করে ইউরোপের খুচরা ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
উত্তর আমেরিকার খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের পোশাক কারখানার শ্রমিকদের জন্য একটি জোট গঠন করে তহবিল সংগ্রহ করে। তাদের উদ্দেশ্য হল কারখানার নিরাপত্তার উন্নতি করা।


পোশাক খাতে কম শ্রম মূল্যের কারণে বিশ্বে বাংলাদেশ অন্যতম একটি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোতে কয়েক লাখ শ্রমিক কাজ করে। এদের বেশির ভাগই নারী। কিন্তু শ্রম অধিকার ও ভবনে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দুর্নীতি এবং সরকারের অপর্যাপ্ত সম্পদের কারণে কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে।
চারদিন ধরে আন্দোলনের পরে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে গত সপ্তাহে ৭৭ শতাংশ মজুরি বাড়িয়ে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি ৫৩০০ টাকা করা হয়েছে।

 

 

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.