আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিজেআরআই উদ্ভাবিত পাটের জাতসমূহ

দেশী পাটের জাত সমূহ বিজেআরআই দেশী পাট -১ (ডি-১৫৪) এ জাতের পাট অন্যান্য দেশী পাট জাতের তুলনায় প্রতিকূল পরিবেশ ও অপেক্ষাকৃত কম পরিচর্যায় বেড়ে উঠতে পারে। সেজন্য কোন কোন অঞ্চলে এর বেশ কদর আছে। চৈত্র মাসের মাঝামাঝি থেকে সারা চৈত্র মাস এ জাতের উপযুক্ত বপন সময়। এ জাতের গাছের কান্ড ও পাতা ঘন সবুজ, পাতার আকার ডিম্বাকৃতি, দৈর্ঘ্য-প্রস্থের অনুপাত ২ঃ১। কান্ডের আগায় ও ডালে তামাটে রং দেখা দেয়।

সাধারণতঃ ১২০-১২৫ দিনের মধ্যে গাছে ফুল আসে। আঁশের জন্য প্রয়োজনবোধে তার আগেও কেটে ঐ জমিতে আমন ধান করা সম্ভব। কৃষকের জমিতে এ জাতের গড় ফলন হেক্টর প্রতি ২.২৪ টন পাওয়া যায়। বিজেআরআই দেশী পাট-২ (সিভিএল-১) বিজেআরআই উদ্ভাবিত এ জাতটি দেশী পাটের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল প্রচলিত উন্নত জাত। বিশুদ্ধ সারি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কিশোরগঞ্জ কেন্দ্রে লালিত দেশী পাটের কৌলিক সম্পদ থেকে এ জাতটি উদ্ভাবন করা হয় এবং ১৯৭৭ সালে অবমুক্তি পেয়েছে।

এ জাতের গাছ সম্পূর্ণ সবুজ। পাতা আকর্ষণীয় সবুজ, চওড়া ও ডিম্ব-বর্শাফলকাকৃতি। এ জাতের বীজ চৈত্র মাসের মাঝামাঝি (৩০ মার্চ) থেকে বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি পর্যমত বপন করলে ১২২-১৩০ দিনে ফুল হয় এবং ১২০ দিনে কেটেও ভাল ফলন পাওয়া যায়। এ জাতটি অলোক সংবেদনশীল এবং নির্ধারিত সময়ের পূর্বে বপন করা হলে আগাম ফুল এসে যেতে পারে। কৃষকের জমিতে এ জাতের গড় ফলন হেক্টর প্রতি ২.৪৬ টন।

বিজেআরআই দেশী পাট -৩ (সিভিই-৩) থাইল্যান্ড থেকে সংগৃহীত কৌলিক সম্পদ থেকে বিশুদ্ধ সারি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এ জাতটি উদ্ভাবন করা হয় এবং ১৯৭৭ সালে কৃষকদের চাষাবাদের জন্য অবমুক্ত করা হয়েছে। এ জাতের কান্ড সম্পূর্ণ সবুজ কিন্তু পাতার বোঁটার উপর উজ্জল তামাটে রঙ দেখা যায়। পরিণত বয়সে গাছের ডগা এবং ডালের গোড়ায়ও তামাটে রঙ দেখা যায়। পাতা হাল্কা সবুজ, সিভিএল-১ এর চেয়ে সরু ও ছোট বর্শাফলকাকৃতি। সঠিক সময়ে (চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শেষ দিন) বপন করা হলে ১০৫-১১০ দিনে গাছে ফুল আসে।

কৃষকের জমিতে এ জাতের গড় ফলন হেক্টর প্রতি ১.৯৭ টন পাওয়া যায়। এটি একটি আলোক সংবেদনশীল জাত এবং নির্ধারিত সময়ের পূর্বে বপন করা হলে আগাম ফুল আসতে পারে। বিজেআরআই দেশী পাট - ৪ (সিসি-৪৫) মিশর থেকে সংগৃহীত কৌলিক সম্পদ থেকে বিশুদ্ধ সারি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এই জাতটি উদ্ভাবন করা হয় এবং ১৯৭৯ সালে কৃষকের জন্য অবমুক্ত করা হয়। এ জাতটি প্রথম আলোক সহিষ্ণু দেশী পাট জাত এবং জমিতে জো-থাকলে মাঘ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু করে বৈশাখের প্রথম সপ্তাহ পর্যমত বপন করা যায়। অকালে ফুল হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

তে-ফসলী জমির জন্য খুব উপযোগী। এর কান্ড সবুজ, পাতা চওড়া, উজ্জল সবুজ, ডিম্বাকৃতি, বোঁটার উপরিভাগে হাল্কা তামাটে রঙ থাকে। এ জাতের গাছে ফুল আসতে ১৫০ দিনের অধিক সময় লাগে। ১২০ দিনে পাট কেটে কৃষক পর্যায়ে এ জাতের গড় ফলন হেক্টর প্রতি ২.৪৯ টন পাওয়া যায়। বিজেআরআই দেশী পাট - ৫ (বিজেসি-৭৩৭০) বিজেআরআই কর্তৃক উদ্ভাবিত দেশী পাটের একটি উন্নত জাত।

এ জাতটি উন্নত এবং প্রতিকুল পরিবেশ সহিষ্ণু, ব্যাপক এগ্রো-ইকোলজিক্যাল অঞ্চলে অভিযোজিত জাত ডি-১৫৪ এর সঙ্গে অকাল ফুল মুক্ত আগাম বপনোপযোগী জাত সিসি-৪৫ এর সংকরায়ণের মাধ্যমে উদ্ভাবন করা হয়। জাতীয় বীজ বোর্ড কর্তৃক ১৯৯৫ সালে এ জাতটি কৃষকের আবাদের জন্য অবমুক্ত করা হয়। গাছের কান্ড সবুজ, পাতার বোঁটার উপরিভাগে হাল্কা তামাটে রঙ আছে। পাতা আকারে সিভিএল-১ এর মতো তবে তার চেয়ে ছোট এবং তত চওড়া নয়। সঠিক সময়ে (১লা চৈত্র থেকে ১লা বৈশাখ) বপন করা হলে এ জাতের গাছে ১০৫-১১৫ দিনে ফুল আসে ।

তে-ফসলী শস্যক্রমে উপযোগী। কৃষকের জমিতে এ জাতের আঁশের গড় ফলন হেক্টর প্রতি ২.৪৫ টন। বিজেআরআই দেশী পাট-৬ (বিজেসি-৮৩) বিজেআরআই কর্তৃক উদ্ভাবিত উন্নত দেশী পাটের জাতটি প্রচলিত জাত সিভিএল-১ এবং আশু পরিপক্ক হওয়া একটি লোকাল রেস-ফুলেশ্বরী এর মধ্যে সংকরায়ণের মাধ্যমে উদ্ভাবন করা হয় এবং জাতীয় বীজ বোর্ড কর্তৃক ১৯৯৫ সালে ছাড়করণের অনুমোদন দেয়া হয়। চৈত্রের মধ্য ভাগ থেকে বৈশাখের মাঝামাঝি পর্যমত এ জাতটির বীজ বপন করা যায়। এ জাতের গাছ সম্পূর্ণ সবুজ।

পাতা সিভিএল-১ জাতের চেয়ে সরু, পাতার ফলকের কিনারা ঢেউ খেলানো (৪৫-৬০ দিন বয়সী গাছে সুস্পষ্ট ভাবে বোঝা যায়, পরিণত পাতায় এ ঢেউ খেলানো ভাবটা বোঝা যায় না)। এ জাতটি ৯০-৯৫ দিনে পরিণত হয় অর্থাৎ ফুল আসে। তে-ফসলী শস্যক্রমের জন্য খুব উপযোগী। সঠিক সময়ে বপন এবং সুষ্ঠ পরিচর্যা করলে কৃষকের জমিতে হেক্টর প্রতি ২.১২ টন শুকনো আশঁ পাওয়া যায়। বিজেআরআই দেশী পাট -৭ (বিজেসি-২১৪২) বিজেআরআই কর্তৃক উদ্ভাবিত আশু বপনোপযোগী উন্নত দেশী পাটের এই জাতটি স্বল্প দৈর্ঘ্য দিবস সহনশীল।

বাদামী রংএর বীজ সম্বলিত দেশী জাত সিসি-৪৫ এর সাথে বিলম্ব বপনোপযোগী ও নীল রং এর বীজ সম্বলিত প্রজনন লাইন বিজেসি-৭১৮ এর সংকরায়ণের মাধ্যমে উদ্ভাবন করা হয়। জাতীয় বীজ বোর্ড কর্তৃক ২০০৮ সালে এ জাতটি কৃষক পর্যায় আবাদের জন্য অবমুক্ত করা হয়। এ জাতটি বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে (সোলানেসী পরিবারভুক্ত ফসল বিহীন জমি) বপন উপযোগী। এ জাতের গাছ সম্পূর্ণ সবুজ, পাতা বল্লমাকৃতি, বীজের রং নীল এবং অাঁশ উজ্জল সাদা বর্ণের। প্রচলিত অন্যান্য আশু বপনোপযোগী জাতের চেয়ে এ জাতের অাঁশ উজ্জল সাদা যা বিনা ব্লিচিং বা স্বল্প মাত্রায় ব্লিচিং করে পাট পণ্য তৈরীর কাজে ব্যবহার করা যায়।

ফলে পাট পণ্যের উৎপাদন খরচ কমার পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ কম হয়। সঠিক সময়ে (চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে বৈশাখের ১ম সপ্তাহ) বপন করা হলে ১০৫-১১৫ দিনে ফুল আসে। অনুকুল আবহাওয়ায় কৃষকের জমিতে তাদের পরিচার্যায় ১১০ দিনে পাট কেটে অনায়াসে প্রতি হেক্টরে প্রায় ২.৫ টন আশঁ পাওয়া যায়। তোষা পাটের জাত সমূহ বিজেআরআই তোষা-১ (ও-৪) বিজেআরআই কর্তৃক উদ্ভাবিত তোষা পাটের উন্নত জাত এবং ১৯৬৭ সালে কৃষকদের চাষাবাদের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়। এ জাতের বীজ ১লা বৈশাখ বা ১৫ এপ্রিলের পুর্বে বপন করা যায় না, আগাম বপনে অকালে ফুল এসে যায়।

এ জন্য একে বৈশাখী জাতও বলা হয়। কান্ড সম্পূর্ণ হাল্কা সবুজ। পাতা সরু, বর্শাফলকাকৃতি, হাল্কা সবুজ। এ জাতের প্রতিটি গাছই নলাকৃতি, ডগার ব্যাস থেকে গোড়ার ব্যাস কম পার্থক্য সম্পন্ন এবং ১১৮-১২০ দিনে ফুল হয়। কৃষকের জমিতে এ জাতের অাঁশের গড় ফলন হেক্টর প্রতি ২.৩২ টন।

বিজেআরআই তোষা পাট-২ (ও-৯৮৯৭) বিজেআরআই কর্তৃক ১৯৮৭ সালে উদ্ভাবিত প্রথম আগাম বপনোপযোগী তোষা পাটের একটি জাত। স্থানীয় তোষা পাট জাত ও-৫ এর সঙ্গে বিদেশ থেকে সংগৃহীত জার্মপ্লাজম বিজেড-৫ এর মধ্যে সংকরায়ণের মাধ্যমে এ জাতটি উদ্ভাবন করা হয়েছে। এ জাতের গাছ সুঠাম, দ্রুত বাড়মত, পূর্ণ সবুজ। পাতা লম্বা, চওড়া, বর্শাফলকাকৃতি গোড়ার দিক থেকে হঠাৎ মাথার দিক সরু হয়ে থাকে। ফল বেশ লম্বা এবং ফলের মাথা আধা ইঞ্চির (১ সেমি) মত সরু শীর্ষের মত হয়ে থাকে, ফলে অন্যান্য তোষা পাট জাতের মত পাকলেই ফেটে বীজ ঝরে পড়ে না।

বীজ আকারে ছোট, হাল্কা সবুজাভ। এ জাতের বীজ ১ চৈত্র (১৫ মার্চ) থেকে বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি (৩০ এপ্রিল) পর্যমত বপন করা যায়। এ জাতের গাছে নির্ধারিত সময় বপন করা হলে ১৫০ দিনের পর ফুল আসে। তাই এ জাতের আশঁ ফসলের জন্য ফুল আসা পর্যমত অপেক্ষা করা দরকার নেই। ১২০ দিনে পাট কেটে কৃষকের জমিতে এ জাতের গড় ফলন হেক্টর প্রতি ২.৭৩ টন পাওয়া যায়।

এ জাতের বীজ উৎপাদনের জন্য নাবী বীজ উৎপাদন পদ্ধতি অনুসরণ করা আবশ্যক। বিজেআরআই তোষা পাট - ৩ (ওএম-১) প্রকৃতিতে স্বতঃস্ফুর্তভাবে সৃষ্ট মিউটেন্ট। উগান্ডা থেকে সংগৃহীত কৌলিক সম্পদ থেকে বিশুদ্ধ গাছ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এ জাতটি উদ্ভাবন করা হয়। আগাম বপনযোগ্য এ জাতটি ১৯৯৫ সালে জাতীয় বীজ বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত হয়। এ জাতের গাছ লম্বা, সুঠাম, গাছের কান্ড ঘন সবুজ।

পাতার আকার তুলনামূলকভাবে বেশ বড় এবং ডিম্বাকৃতি, পাতার উপরিপৃষ্ঠ উজ্জল চকচকে, দেখলেই চেনা যায় এবং এটি এ জাতের বৈশিষ্ট্য। ফল পাকার পরে বীজ ঝরে পড়ে না। বীজের রং গাঢ় খয়েরী যা অন্যান্য তোষা জাত হতে ভিন্ন। এ জাতের বীজ ফাল্গুনের শেষ সপ্তাহ (১০ মার্চ) থেকে সমগ্র বৈশাখ মাস পর্যমত বপন করা যায়। সঠিক সময়ে বপন করা হলে এ জাতে ১৪০-১৫০ দিনে ফুল আসে।

কাজেই আশঁ ফসল হিসাবে ১২০ দিন বয়স হলেই বা প্রয়োজন হলে তার পূর্বে ফসল কেটে আশঁ নেয়া যায়। কৃষকের জমিতে গড় ফলন হেক্টর প্রতি ২.৪৯ টন পাওয়া যায়। এ জাতের বীজ উৎপাদনের জন্য নাবী বীজ উৎপাদন পদ্ধতি অনুসরণ করা প্রয়োজন। বিজেআরআই তোষা - ৪ (ও-৭২) অধিক ফলনশীল এবং আগাম বপনোপযোগী জাত ও-৯৮৯৭ এর সঙ্গে একটি উন্নত অগ্রবর্তী প্রজনন সারির (ও-২০১২) সংকরায়ণ এবং পশ্চাৎ সংকরায়ণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ জাতটি উদ্ভাবন করা হয়। এ জাতটি ২০০২ সালে জাতীয় বীজ বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত হয়।

এ জাতটি ১লা চৈত্র (১৫ মার্চ) থেকে বৈশাখের মাঝামাঝি পর্যমত (৩০ এপ্রিল) বপন করা যায়। গাছ লম্বা, মসৃণ, ও-৯৮৯৭ এর চেয়ে আগা-গোড়া অধিক সুষম, সম্পূর্ণ সবুজ। এ জাতের গাছের পাতা ডিম্বাকৃতি, বড়, ওএম-১ জাতের মতো, তবে পাতা চকচকে নয় বরং গাঢ় সবুজ, বীজের রং নীলাভ সবুজ। কৃষকের জমিতে এ জাতের গড় ফলন হেক্টর প্রতি ২.৯২ টন। নাবী বীজ উৎপাদন পদ্ধতিতে এ জাতের অধিক বীজ উৎপাদিত হয়।

বিজেআরআই তোষা পাট - ৫ (ও-৭৯৫) বিজেআরআই কর্তৃক ২০০৮ সালে উদ্ভাবিত আশু বপন উপযোগী তোষা পাটের জাত। এ জাতটি আফ্রিকান জার্মপ্লাজম উগান্ডা রেড ও তোষা পাটের উন্নত জাত বিজেআরআই তোষা-১ (ও-৪) এর মধ্যে সংকরায়ণের মাধ্যমে উদ্ভাবন করা হয়েছে। এ জাতের বীজ ১লা চৈত্র (১৫ই মার্চ) থেকে বপন করা যায়, তবে ফাল্গুনের শেষ সপ্তাহে বপন করলেও আগাম ফুল আসার সম্ভাবনা থাকে না। এ জাতের কান্ড লাল বা লালচে, কান্ডের রং সূর্য্যের আলোর তীব্রতার উপর নির্ভর করে। পাতা সবুজ কিন্তু uঁবাটার উপরের অংশ তামাটে লাল।

উপপত্র গাঢ় লাল, পাতা লম্বা ও চওড়া কোন কোন সময় পাতার শিরা উপশিরায় লালচে রং দেখা যায়। বীজের বর্ণ নীলাভ সবুজ। অন্যান্য উন্নত তোষা জাতের চেয়ে রোগ, পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম হয়। আঁশের রং উজ্জ্বল সোনালী। সঠিক সময়ে বপন করলে ১৪০-১৬০ দিনে ফুল আসে।

১২০ দিনে পাট কেটে কৃষকের জমিতে গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৩.০ টন পাওয়া যায়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.