আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘রাম-লীলা’য় কী আছে!

‘খামোশি’ থেকে শুরু ‘হাম দিল দে চুকে সোনম’, ‘দেবদাস’ কিংবা ‘গুজারেশ’—প্রতিটি ছবিতেই নিজস্ব ঢঙের নির্মাণশৈলী নিয়ে হাজির হয়েছেন বলিউডের প্রখ্যাত নির্মাতা সঞ্জয় লীলা বানশালী। সদ্য মুক্তি পাওয়া ‘গোলিও কি রাসলীলা: রাম-লীলা’ ছবিতেও তার প্রমাণ রেখেছেন তিনি। তবে ছবিটি নির্মাণের ক্ষেত্রে পুরোনো নির্মাণশৈলীর সঙ্গে নতুন কিছু বিষয়ও যোগ করেছেন সঞ্জয়, যা আগে কখনোই তাঁর ছবিতে দেখা যায়নি।
‘গোলিও কি রাসলীলা: রাম-লীলা’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছে ১৫ নভেম্বর। মুক্তির পরপরই ছবিটির মাধ্যমে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভের ঝড় উঠেছে।

তার পরও মাত্র তিন দিনে ৩৫ কোটি রুপি বাজেটের ছবিটির ঝুলিতে জমা পড়েছে ৫২ কোটি ৫০ লাখ রুপি। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
‘রাম-লীলা’ ছবিতে সঞ্জয় নতুন কিছু উপাদান যেমন যোগ করেছেন, তেমনি তাঁর আগের ছবিগুলো থেকে কিছু উপাদান ধারও করেছেন। এখন পর্যন্ত সঞ্জয়ের সব ছবিতে রোমান্টিক মুহূর্তগুলো প্রেমিক-প্রেমিকার আলিঙ্গনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু ‘রাম-লীলা’ ছবিতে অনেক বেশি সাহসী দৃশ্য অন্তর্ভুক্ত করেছেন সঞ্জয়।

অসংখ্য চুমুর দৃশ্যে অভিনয় করেছেন ছবির নায়ক-নায়িকা রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোন। এমনকি ছবিটির বিরুদ্ধে যৌনতা ও অশ্লীলতার অভিযোগে মামলাও ঠুকে দিয়েছে প্রভু সমাজ ধার্মিক রাম-লীলা কমিটি।
অন্যদিকে, ‘রাম-লীলা’ ছবিতে প্রেমের ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে ‘হাম দিল দে চুকে সোনম’ ছবির মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ‘রাম-লীলা’য় রণবীর-দীপিকার প্রেম যেভাবে এগিয়েছে, ঠিক সেভাবেই এগিয়েছিল ‘হাম দিল দে চুকে সোনম’ ছবিতে সালমান-ঐশ্বরিয়ার প্রেম।  

সাধারণত সঞ্জয়ের ছবিগুলোর কাহিনি বেশ ধীর গতিতে এগোয়।

কিন্তু ‘রাম-লীলা’য় তা ঘটেনি। এর কাহিনি এতটাই দ্রুত এগিয়েছে যে ছবির চমত্কার আবহ সংগীত বা দৃশ্যপটে মুগ্ধ হওয়ার ফুরসতই পাচ্ছেন না দর্শক। তবে ছবিটির বেশ কয়েকটি দৃশ্যপট সঞ্জয় ধার করেছেন ‘হাম দিল দে চুকে সোনম’, ‘দেবদাস’সহ নিজের পরিচালিত আগের কয়েকটি ছবি থেকে।

‘রাম-লীলা’ ছবির সংলাপেও নতুনত্ব এনেছেন সঞ্জয়। ছবিতে আপত্তিকর শব্দের পাশাপাশি যৌনতানির্ভর শব্দও ব্যবহার করা হয়েছে।

অবশ্য ছবির কাহিনির প্রয়োজনেই এমনটা করেছেন সঞ্জয়। ছবিটি মুক্তির পর ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়ের দাবির মুখে ছবির সংলাপে ব্যবহূত উসকানিমূলক কয়েকটি শব্দ পরিবর্তনেরও অঙ্গীকার করতে হয়েছে তাঁকে। অবশ্য আগের ছবিগুলোর মতো ‘রাম-লীলা’ ছবিতেও সঞ্জয় তাঁর স্বভাবসুলভ কাব্যিক ভঙ্গিতেই সংলাপ সাজিয়েছেন।

‘রাম-লীলা’ ছবির মাধ্যমেই প্রথমবারের মতো সঞ্জয়ের কোনো ছবির নায়িকাকে আগ্নেয়াস্ত্রের গুলি ছুড়তে দেখা গেছে। দীপিকার গুলি ছোড়ার দৃশ্যটি নতুন হলেও, ‘রাম-লীলা’ ছবিতে যে ধরনের গয়না তিনি পরেছেন, তা অনেকটাই মিলে যায় ‘হাম দিল দে চুকে সোনম’ ছবির নায়িকা ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের গয়নার সঙ্গে।

সাধারণত চিত্রকর্মের মতো নিপাট সুন্দর দৃশ্যপটের জন্য সুপরিচিত সঞ্জয়ের ছবিগুলো। খুব বেশি মারকুটে দৃশ্য কিংবা সহিংসতা দেখা যায়নি তাঁর আগের ছবিগুলোতে। কিন্তু ‘রাম-লীলা’ ছবিতে দুর্দান্ত সব অ্যাকশন দৃশ্য সংযোজন করেছেন তিনি। সহিংস দৃশ্য সংযোজনের অভিযোগে মামলাও হয়েছে ছবিটির বিরুদ্ধে। অবশ্য শৈল্পিক মান বজায় রেখেই অ্যাকশন দৃশ্যগুলোর শুটিং করেছেন সঞ্জয়।

ছবির একটি দৃশ্যে দেখা যায়, দীপিকার আঙুল কেটে ফেললে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এ ধরনের দৃশ্য ‘হাম দিল দে চুকে সোনম’ ছবিতেও ছিল। দৃশ্যটিতে ঐশ্বরিয়া কবজির রগ কেটে রক্তাক্ত হয়েছেন এমন দৃশ্য ছিল।

শেকসপিয়ারের ‘রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’ অবলম্বনে ‘গোলিও কি রাসলীলা: রাম-লীলা’ ছবিটি তৈরি করেছেন সঞ্জয় লীলা বানশালী। এতে ‘রাম’ ও ‘লীলা’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন রণবীর সিং ও দীপিকা।

ছবিটিতে আরও অভিনয় করেছেন রিচা চাদ্ধা, সুপ্রিয়া পাঠক, গুলশান দেবিয়া প্রমুখ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।