আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্বাস্থ্যে রওশন, মেনন টেলিযোগাযোগে

নতুন আট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠান শেষে তিন দিন ধরে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনার পর বৃহস্পতিবার নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভার দপ্তর বণ্টনের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
গত সোমবার রওশন ও মেননের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির আরো ছয় নেতা শপথ নিয়েছিলেন। পুরনো ৩০ জন বাদ পড়ায় এখন শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রিসভায় সদস্য সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ জন।
সব দলের সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের এই উদ্যোগ শেখ হাসিনার। এতে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপিকে যোগ দিতে আহ্বান জানানো হলেও তারা সাড়া দেয়নি।


নতুন মন্ত্রীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আমু পেয়েছেন ভূমি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। শিশ্প এবং  গৃহায়ন ও পূর্ত মন্ত্রণালয় পেয়েছেন আরেক প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ।
জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ পানিসম্পদ এবং মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমীন হাওলাদার বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।
নতুন প্রতিমন্ত্রী জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নুকে যুব ও ক্রীড়া এবং সালমা ইসলামকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আগের মন্ত্রীদের মধ্যে যে ২১ জন থেকে গেছেন, তাদের দপ্তরে খুব একটা রদবদল হয়নি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বাদ পড়ায় তার স্থলে এসেছেন এ এইচ মাহমুদ আলী।
সাবেক সচিব মাহমুদ আলী গত বছর মন্ত্রিসভায় যুক্ত হয়েছিলেন। তিনি দিনাজপুরের সংসদ সদস্য।
মো. শাহজাহান মিয়া বাদ পড়ায় মুজিবুল হক রেলপথের পাশাপাশি ধর্মমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করবেন। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর দায়িত্বের মধ্যে নতুন করে এসেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।


খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বাদ গড়ায় তার স্থলে এসেছেন রমেশ চন্দ্র সেন। রমেশ আগে পানিসম্পদে ছিলেন, যা এখন পেয়েছেন জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ আগের মতোই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে থাকছে।
আবুল মাল আবদুল মুহিত ও মতিয়া চৌধুরী আগের মতো অর্থ ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়েরও থাকছেন আগের মন্ত্রী এ কে খন্দকার।


খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রবাসী কল্যাণ ও  বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি শ্রমমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই আত্মীয় আগেও এই দুটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব একসঙ্গে পালন করেছিলেন। গত বছর দপ্তর পুনর্বণ্টনের সময় রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু শ্রমমন্ত্রীর দায়িত্বে আসেন। রাজু এবার বাদ পড়েছেন।
হাসানুল হক ইনু তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও সামলাবেন।

যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে থাকছেন আগের ওবায়দুল কাদেরই। জি এম কাদেরও থাকছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ আগের মতো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বে থাকছেন। শাজাহান খান নৌ মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে হাছান মাহমুদই নির্বাচনের সময় পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যাবেন।


প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে শামসুল হক টুকু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েই থাকছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বাদ পড়লেও এই দপ্তরে মন্ত্রী হিসেবে কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি।
কামরুল ইসলাম আইন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে যাবেন। এই দপ্তরেও মন্ত্রী নেই। শফিক আহমেদকে মন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে  প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা করা হয়েছে।


মন্নুজান সুফিয়ান শ্রমে এবং দীপংকর তালুকদার পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়েই থাকছেন।
প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে শুধু প্রমোদ মানকিনের দপ্তর বদল হয়েছে। তিনি আগে ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে। এখন তিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন। সমাজ কল্যাণমন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ বাদ পড়াদের তালিকায় রয়েছেন।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।