আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্রিটেনের ইরাক ও আফগানযুদ্ধে জড়ানো অসংগতিপূর্ণ

ইরাক ও আফগানিস্তানের যুদ্ধে যুক্তরাজ্যের অংশগ্রহণ ছিল অস্বচ্ছ, অন্যায্য ও অসংগতিপূর্ণ। যুক্তরাজ্যের গবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাটহাম হাউসের গবেষণায় বলা হয়েছে, ইরাক ও আফগানিস্তানযুদ্ধে রাজনৈতিক নেতারা সামরিক বাহিনীকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ ব্যর্থতার জন্য টনি ব্লেয়ার ও গর্ডন ব্রাউনকে দায়ী করা হয়েছে। জ্যেষ্ঠ সামরিক ও সরকারি কর্মকর্তারা এ ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারেন না বলে জানায় গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।

গবেষণাপত্রটির লেখক জেমস ডি ওয়ালের বরাত দিয়ে ‘দ্য গার্ডিয়ান’ জানায়, যুক্তরাজ্যের পুরো প্রক্রিয়াটি ছিল অবিন্যস্ত, অস্বচ্ছ ও অনানুষ্ঠানিক।

ব্রিটিশ সরকারের নীতিগুলো ইরাক ও আফগানিস্তানযুদ্ধের প্রচণ্ড চাপ নিতে সক্ষম ছিল না। ডিপেন্ডিং অন দি রাইট পিপল: ব্রিটিশ পলিটিক্যাল-মিলিটারি রিলেশন ২০০১-১০ নামক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মন্ত্রী, জ্যেষ্ঠ সামরিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের নিজ দায়িত্ব নিয়ে সঠিক ধারণা ছিল না। সবাই তাঁদের কাজগুলো ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে সম্পন্ন করেছেন।

চ্যাটহাম হাউসের বরাত দিয়ে ‘দ্য গার্ডিয়ান’ জানায়, ব্রিটেন ইরাকযুদ্ধে বিমান বাহিনী বা স্পেশাল ফোর্সের পরিবর্তে হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন করে, যার কারণে মন্ত্রীরা সেনাবাহিনীর চাপের মুখে পড়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ব্রাউন আফগানিস্তানে সেনাবাহিনীর পুনঃমোতায়েনের বিরোধিতা করেছিলেন।

ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তারা ‘দ্য গার্ডিয়ান’কে জানান, মূল সমস্যা ছিল সেনা সর্বাধিনায়কদের তাঁদের শক্তি সম্পর্কে সঠিক তথ্য না দেওয়া। সামরিক প্রধান ও ব্রিগেডিয়াররা সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের সময় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দেওয়ার ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করেছেন।

এ ছাড়া ন্যাটোর ডেপুটি সুপ্রিম কমান্ডার স্যার রিচার্ড শেরিফ ও জেনারেল নিক হওটনসহ আরও অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা মিলে ‘লেসন লার্নড’ শিরোনামের যে প্রবন্ধটি লিখেছিলেন তা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রকাশ করতে দেয়নি ।    

মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে সরকারের সেনা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সংসদ থেকে অনুমোদন সাপেক্ষে আনুষ্ঠানিক নীতিমালা তৈরির প্রতি জোর দেওয়া হয়।



সোর্স: http://www.prothom-alo.com

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.