আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শতবছরের সম্প্রীতি ও ঐতিহ্যের গির্জা

শতবর্ষ আগে যুক্তরাজ্যের ওয়েলস থেকে খ্রিস্টধর্মের প্রচারে রওয়ানা হয়েছিলেন থমাস জোনস। খ্রিস্টধর্মের বার্তা নিয়ে মিশনারি হিসেবে তিনিই প্রথম পা রাখেন ভারতবর্ষে। ধর্ম প্রচারে খাসিয়া পাহাড়ের দিকে যাত্রা পথে থেমেছিলেন সিলেটে। কিছুদিন এখানে চালান খ্রিস্ট ধর্ম প্রচার। আর সে সময়ই সিলেট নগরীর নয়াসড়কে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রেসবিটারিয়ান চার্চ।

১৯১৩ সালের ১৯ এপ্রিল থমাস জোনসই সিলেটের নয়াসড়কে সে চার্চের উদ্বোধন করেন। কালের পরিক্রমায় সে চার্চ পেরিয়ে এসেছে শত বছরের পথ। স্বাক্ষী হয়েছে অনেক ইতিহাসের, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে।

এ অঞ্চলের মাতৃমণ্ডলী হিসেবে পরিচিত সিলেটের প্রেসবিটারিয়ান চার্চটির পথ বেয়ে সিলেটে আরও অনেক চার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই চার্চের অনুপ্রেরণায় দক্ষিণে হবিগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল,মৌলভীবাজার, পশ্চিমে সুনামগঞ্জ ও পূর্বে করিমগঞ্জ (বর্তমানে ভারতে অবস্থিত) এলাকায় মিশনারী খ্রিস্টধর্ম প্রচার এবং চার্চ প্রতিষ্ঠা করেন।

সিলেট নগরীর নয়াসড়ক প্রেসবিটারিয়ান চার্চের বয়স শত হলেও এ অঞ্চলে খ্রিস্টধর্ম চর্চার ইতিহাস অনেক পুরনো। ১৮৪৯ সালে রেভারেন্ড উইলিয়াম প্রাইসির হাত ধরে সিলেটে খ্রিস্ট ধর্মের প্রচারের শুরু। তবে সিলেটে খ্রিস্ট ধর্মের উপস্থিতি ছিল আরও আগে থেকেই। অনেকেরই ধারণা পর্তুগীজ ক্যাথলিক মিশনারিদের মাধ্যমে আর শতবর্ষ আগে থেকে সিলেটে খ্রিস্ট ধর্মের গোড়াপত্তন ঘটে। মূলত হিন্দু ধর্মাবলম্বিরাই মিশনারিদের প্রভাবে খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষিত হন।

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।