আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কী দরকার কচি মনে আঘাত দেয়া

লিখতে লাগে ভাল, তাই আমি লিখি। এটা আমার লেখা প্রথম Blog. পছন্দ/অনুসরন না করুন। অন্তত একবার পড়লেও ভাল লাগবে। আর যাদের নিয়ে লেখা হয়েছে। তারা একটু সহমর্মিতা পাবে।

আমি স্কুল পাশ করেছি ৫ বছর হল। সময়টা খুব বেশি না। কিন্তু এর মধ্যেই দেখলাম অনেক কিছুই পাল্টে গেছে। শুধু যে পড়ালেখা পাল্টেছে তাই নয়, পাল্টে গেছে পড়ানোর Systemও। এই পরিবর্তন ভালই লাগছিল।

কিন্তু কিছু শিক্ষকের টাকা কামানোর নষ্ট মন মানসিকতার পরিবর্তন হয় নি। । বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা আর বেড়েছে। । এর মধ্যে অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে SBA. SBA অর্থাৎ School Base Assessment. সম্ভবত ২০০৬ সালে বাংলাদেশের বিদ্যালয়গুলোতে SBA পদ্ধতি চালু হয়।

এই পদ্ধতি অনুযায়ী বিদ্যালয়গুলোতে ১০০ এর বদলে ৭০ এর পরীক্ষা হত। বাকি ৩০ নম্বর শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয় যেমন উপস্থিতি, বাড়ির কাজ, ক্লাস পরীক্ষা ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে দিত; বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেমন হয়। তখন চিন্তা করা হয়েছিল এ পদ্ধতির কারণে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের প্রতি আরও মনোযোগী হয়ে উঠবে। শিক্ষার্থীরাও ক্লাসের প্রতি মনোযোগী হবে। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই ধারণাটি ভুল প্রমাণিত হয়।

তাই পরের বছরই এটি বাতিলের ঘোষণা দেয়া হয়। এই পদ্ধতির সমস্যা ছিল যে শিক্ষার্থী বা শিক্ষক কেউই এ ব্যাপারে ঠিকভাবে জানতো না। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল যে কিছু কিছু শিক্ষক এই পদ্ধতিকে তাদের প্রাইভেট বাণিজ্যের মূলধন হিসেবে ব্যবহার করে। তারা উপস্থিতি, বাড়ির কাজ, ক্লাস পরীক্ষা এইসবের ওপর ভিত্তি করে নম্বর দিত না, দিত কে তার কাছে পড়ছে আর কে পড়ছে না; তার ওপর ভিত্তি করে। কিংবা কার বাবা মা তাদের কি পরিমান উপহার দিচ্ছে, তার ওপর।

জাফর ইকবাল স্যার তখন রসিকতা করে বলেছিলেন, SBA এর মানে হল স্যার এর বাসায় এসো। তাই এই পদ্ধতি বাতিল হওয়াতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষাবিদ এবং সাধারণ শিক্ষকরা খুশি হলেও খুশি হন নি ব্যবসায়ী শিক্ষকরা। ঢাকার বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে এখনও এই পদ্ধতি চালু আছে। এখানকার শিক্ষকরা এখন এই পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র তৈরি করেন এবং নম্বর দিয়ে থাকেন। যার কারণে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।

অধিকাংশ শিক্ষার্থী মধ্য আয়ের পরিবারের। তাদের পক্ষে এতগুলো শিক্ষকের কাছে আলাদা আলাদাভাবে পড়া সম্ভব না। তারা শিক্ষার্থীদের শেখান না, শুধু পরীক্ষায় যা দিবেন তা পড়ান। তাই কিছু শিখতে হলে শিক্ষার্থীদের আলাদা গৃহ-শিক্ষকের প্রয়োজন হয়। শিক্ষকেরা এখন ক্লাসেও তাদের কাছে পড়ার জন্য বলে।

এমনকি মাঝে মাঝে তারা বেতও ব্যবহার করেন। এ দুর্যোগে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকেরা দিশেহারা। কিন্তু এ থেকে নিস্তারের উপায় তাদের জানা নেই। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.