আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আ.লীগ, জামায়াত ও সুশীল সমাজ সমঝোতা চায় না

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, জামায়াত ও তথাকথিত সুশীল সমাজ নির্বাচন নিয়ে সমাঝোতা চায় না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি বলেন, সমাঝোতার সদিচ্ছা থাকলে জন্য ১ ঘণ্টা, ৬ ঘণ্টা বা ২৪ ঘণ্টাতেই সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব। সমাধানের অনেক ফর্মুলা আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  

আজ মঙ্গলবার সকালে মুক্তিভবনের প্রগতিশীল সম্মেলন কক্ষে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচন সর্ম্পকে দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে বাইরে রেখে একতরফতা নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ ফাকা মাঠে গোল দিতে চায়। তারা (আওয়ামী লীগ) মনে করে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে হেরে যাবে।

আর এই সুযোগ নিয়ে জামায়াত কৌশলে সমাঝোতার পথ থেকে বিএনপি'কে বিরত রেখে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে এনে যুদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করতে চায়।

অপরদিকে, তথাকথিত সুশীল সমাজ তারা গণতান্ত্রিক নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে সেনাসমর্থিত একটি অগণতান্ত্রিক সরকার আনার পায়তারা করছে তাই তারা সমাঝোতা চায় না।

সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, যখন মন্ত্রণালয়ে অনেক কাজ ছিলো সে সময়ে জাদরেল নেতাদের মন্ত্রীসভায় নেয়া হয়নি। যখন কাজ নেই তখন তাদের নেয়া হলো।

নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীদের কাজ সংবিধানে লিপিবদ্ধ করা উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীদের কি কাজ তা সংবিধানে লিপিবদ্ধ করা উচিত।

তারা শুধু নিয়মিত কাজগুলো করবে। অন্যকাজ তারা করবে না। টিকফা চুক্তি নিয়েও সমালোচনা করেন তিনি। সেলিম বলেন, এমন একটি সময়ে টিকফা চুক্তি হলো যে সরকারের মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, যিনি টিকফা চুক্তির বিরোধিতা করতেন।

দলের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক  সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ বলেন, কমিউনিস্ট পাটি দেশের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করার জন্য যথা সময়ে এবং  সব দলের অংশ গ্রহণে অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠ নির্বাচন চায়।

কোন ধরনের পাতানো নির্বাচনে সিপিবি অংশ নেবে না। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপি-জামায়াত চক্র আন্তর্জাতিক মদদে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে হায়দার আকবর খান রনো, সাজ্জাদ জহির খান চন্দন, আহসান হাবীব লাভলু, ফরিদুর রহমান, শাহীন রহমান, আব্দুর কাদের, মাহবুব আলম জলি তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।  

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.