আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সূশীল সমাজ এবং টকশো



☆☆সূশীল সমাজ এবং টকশো ☆☆ টেলিভিশন খুললেই দেখা যায় টকশো আর টকশো । সংবাদ ছাড়া টেলিভিশনে নাটক নাচ গানের অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে প্রায় সব চ্যানেল দেখা যাখা যায় টকশো । টকশোতে টক চলে শুধু মাত্র রাজনীতি নিয়ে । দেশের কত কত সমস্যা আছে সব বাদ দিয়ে শুধু রাজনীতি নিয়ে ব্যাস্ত থাকলে চলবে ? রাজনীতিকে এত গুরুত্ব দিয়ে টকশো করে কি লাভ হলো যদি রাজনীতির সামান্যতম গুনগত মানের কোন উন্নয়ন না হলো । এখন যারা রাজনীতি করতেছে তারা আগুন দিয়ে মানুষ পুড়ে মেরে, ককটেল মেরে মানুষদের আহত করে তাদের আন্দোলনের সফলতার দাবী করে ।

রাজনীতিকে ঘোলা করাই যেন সকল টকশোয়ের একমাত্র উদ্দ্যেশ্য । কোন টকশোতে বলতে শুনিনা অমুক দল বোমা মেরে পথচারী আহত করেছে তারা কাজটা ভাল করে নাই । জনগনের ক্ষতি করে রাজনীতি করা উচিৎ না । আমরা জনগণের মঙ্গলের জন্য রাজনীতি করি । টেলিভিশন চ্যানেলগুলি রাজনীতিকে কেন এত গুরুত্ব দেয় বুঝিনা ।

পৃথিবীর অন্য কোন দেশে রাজনীতিকে এত গুরুত্ব দেয়া হয় না যতটা বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলি দেয় । তারা ভাল করতে গিয়ে খারাপ করতেছে । টকশোতে মানুষ পুড়াইয়া মারার জন্য কোন দল বা গোষ্ঠির সমালোচনা কেউ করে না বিধায় তারা যেন মানুষ পুড়ে মারা একটা সাধারণ ব্যাপর মনে করতেছে । টকশোতে বিবেক জাগ্রত করতে হবে । বিবেক জাগ্রত করলে সকলেই বাঁচতে পারবে ।

টকশোতে অনেক সময় আলোচনা করতে দেখি যুদ্বাপরাধ নিয়ে এক দল আরেক দলকে অভিযুক্ত করে । কিন্তু এখন আন্দোলনের নমে বর্তমানে দেশে যা করা হচ্ছে তা যে যুদ্ধাপরাধীদের অপরাধকে খাটো করে দিচ্ছে । বাংলাদেশে এতো আন্দোলন হয়েছে কখনো কোন রাজনৈতিক দল এমন ভাবে পেট্রোল ঢেলে গায়ে আগুন দিয়ে হরতাল অবরোধ করেনি । যখন আন্দোলনের সফলতার দাবী করে সন্ধায় প্রেস কন্ফারেন্স করা হয় তখনো বলা হয় না যে আগুনে পুড়ে যাওয়া দূঃখজনক এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন না ঘটে তার জন্য কৌশলে দলের নেতা কর্মিদের সতর্ক থাকার জন্য আহব্বান জানানো হয় না। উপরন্ত বলা হয়, "দু-একটা বাস-গাড়ি ভাঙলে হবে না রাস্তায় নামতে হবে" ।

দেশ জ্বলতেছে ! মানুষ মরতেছে !! তা'রা ভাবতেছে ‘সুশীল বিশিষ্ট' হওয়ার এইতো সুযোগ ! মজার ব্যাপার হলো যাদেরকে আমারা সুশীল বিশিষ্ট ভাবি উনারা সবসময় রাজনীতিবিদদের ভিষন ভাবে ঘৃণার চোঁখে দেখেন এবং পারতোপক্ষে উনাারা কখনোই রাজনীতিবিদদের ধারে কাছে যান না । তাদেরকেই নিয়ে গিয়ে টকশোতে সেলিব্রেটি বানানো হয়, যদিও উনাদের নির্দিষ্ট একটা ইনভিজিবল এ্যাজেন্ডা থাকে যা সাধারণ নাগরিকগন বুঝতে পারেন না তবে রাজনীতিবিদগন ঠিকই অনুধাবন করতে পারেন । যার ফলে রাজনিতীবিদদের সাথে তাদের একটা দূরত্ব থাকে । যখন রাজনীতি বেকায়দায় পরে তখনই আমরা উনাদের ক্রীয়াকলাপ শুরু করেতে দেখতে পাই যা দেশের জন্য মঙ্গলময় হয় না বরং চরমতম অমঙ্গল বয়ে আনে । উদাহরন দিতে গেলে অনেক দেওয়া যাবে ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.