আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফরমালিন দূর করার উপায়

এ জগতে মানুষ কারা

বিজ্ঞানের ছুরিটা দুদিকেই ধারালো। উপকার অপকার একসঙ্গেই করে। তেমনি এক আবিষ্কারের নাম ফরমালডিহাইড ওরফে ফরমালিন। আগের দিকে প্রাকৃতিক নানা উপায়ে খাবার সংরক্ষণ করা হলেও পরে সহজে সংরক্ষণের জন্যই আবিষ্কার হলো ফরমালিন ও কার্বাইড। কিন্তু কে জানতো এই সব রাসায়নিক আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অভিশাপ হয়ে দেখা দেবে।

লিভার, কিডনি, হৃৎপি-ের রোগ সহ কয়েক ধরনের ক্যান্সারের জন্য দায়ী ফরমালিন। বোন ম্যারো, অ্যানেমিয়া ও লিউকেমিয়াও (ব্লাড ক্যান্সার) ঘটাচ্ছে এই অদৃশ্য ঘাতক। তবে একটু সচেতন হলে ঝুঁকি কিছুটা হলেও এড়ানো যায়। ফলঃ ফলেই ফরমালিন প্রয়োগ করা হয় বেশি। তবে ঝুঁকি কমাতে চাইলে বাজার থেকে কিনে আনার পর কমপক্ষে এক ঘণ্টা (বা আরও বেশি) পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।

সবজিঃ রান্নার আগে লবণ পানিতে কমপক্ষে ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। এরপর রান্না করুন সময় নিয়ে। তাপমাত্রা যেন কমপক্ষে ৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। মাছঃ মাছের কারণেই ফরমালিন বেশি পরিচিত হয়েছে। প্রয়োগের মাত্রার বিচারেও মাছ সবার ওপরে।

তবে মাছের শরীর থেকে বেশিরভাগ (৯০ ভাগেরও বেশি) ফরমালিন দূর করা যায় সহজেই। পরীক্ষায় দেখা গেছে লবণ পানিতে ১ ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখলে মাছ থেকে ৯০ ভাগ ফরমালিনই চলে যায়, তবে ১০% পানি ও ৯০% ভিনেগারে ডুবালে প্রায় পুরোপুরিই নিশ্চিত্মে থাকা যায়। সেক্ষেত্রে মাছের পেছনে খরচ কিছুটা বেশিই পড়বে। আবার রান্নার সময়ও খেয়াল রাখতে হবে যেন আঁচটা বেশিই থাকে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।