আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গনতন্ত্র কি জানবেন কোথায় দেখুন



থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিক্ষোভকারীদের বাধা নয় ইংলাক সিনাওয়াত্রাথাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার পদত্যাগের দাবিতে চলা গণ-আন্দোলন নাটকীয় মোড় নিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সামনের বাধা সরিয়ে বিক্ষোভকারীদের ভেতরে প্রবেশের আহ্বান জানায় পুলিশ। অবরুদ্ধ সরকারি দপ্তরগুলো থেকেও পুলিশের বাধা সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে বিরোধী নেতা সুথেপ থাগসুবান বলেছেন, সরকার উৎখাতে তাঁদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তা চলবে।

গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী ইংলাক বলেন, এ সংকট মোচনে তিনি বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। তবে পদত্যাগ করবেন না। কয়েক দিন ধরে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের পর গতকাল হঠাৎ পুলিশ জানায়, তারা আর বল প্রয়োগ করবে না। বিক্ষোভকারীদের বাধা দেবে না। প্রধানমন্ত্রী ইংলাকের কার্যালয়ের বাইরে পাহারা ও পুলিশের সদর দপ্তরের বাইরে কাঁটাতারের বেড়া তুলে নেওয়া হয়।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে কোলাকুলি করে। পুলিশের এই আচরণে এমনকি বিক্ষোভকারীরাও বিস্মিত হয়। পরে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসের আঙিনায় ঢোকে। প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থানের পর তারা ওই স্থান ত্যাগ করে। হঠাৎ পুলিশের এই কৌশল পরিবর্তনের কারণ স্পষ্ট নয়।

যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংঘাতসহ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতেই তাদের পক্ষ থেকে এই কৌশল নেওয়া হয়েছে। নগর পুলিশের প্রধান কামরোনউইট থুপক্রাজাং বলেন, ‘আজ কাঁদানে গ্যাসের কোনো শেল নিক্ষেপ করবে না পুলিশ। যদি আমরা প্রতিরোধ করি, তাহলে আরও অনেকে হতাহত হবে। ’ কাল বৃহস্পতিবার রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদেজের ৮৬তম জন্মদিন। দিনটি সারা দেশে আনন্দের সঙ্গে উদ্যাপন করা হয়।

সাধারণত নাগরিকেরা শান্তি ও রাজতন্ত্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে দিনটি উদ্যাপন করে। ইংলাকের সরকার পদত্যাগ করে অনির্বাচিত ‘পিপলস কাউন্সিলের’ কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে গণ-আন্দোলনের ডাক দেয় বিরোধীরা। সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দল ডেমোক্র্যাট পার্টির নেতা সুথেপ গত শুক্রবার রাতে ব্যাংককে এক সমাবেশে সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণা দেন। সুথেপের আহ্বানে সাড়া দিয়ে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী সেনা সদর দপ্তর, প্রধানমন্ত্রীর দলীয় কার্যালয় ও রাষ্ট্রীয় টেলিকম কোম্পানির কার্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তর অবরোধ করে। গণ-আন্দোলন রাজধানীর বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে।

সেখানে স্থানীয় সরকারি কার্যালয়গুলো অবরোধ করে রেখেছে বিক্ষোভকারীরা। গতকাল প্রধানমন্ত্রী ইংলাক হুয়া হিন অবকাশযাপন কেন্দ্রে যান। রাজার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে সেখানে অনুশীলন করতে গেছেন তিনি। ২০১০ সালে রক্তাক্ত বিক্ষোভের পর থাইল্যান্ডে এখন সবচেয়ে বড় ধরনের গণবিক্ষোভ চলছে। ২০০৬ সালে সেনা অভ্যুত্থানে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা ক্ষমতাচ্যুত হন।

পরে স্বেচ্ছানির্বাসিত থাকসিনের অনুপস্থিতিতে সর্বোচ্চ আদালত তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। সম্প্রতি তাঁর বোন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইংলাক একটি বিল পাসের চেষ্টা করেন। ওই বিল পাস করা হলে থাকসিন আবার স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করবেন—এমন আশঙ্কা থেকে ২৪ নভেম্বর বিক্ষোভ শুরু হয়। এএফপি ও বিবিসি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।