আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাসিনার কূটচাল ও জেদ দীর্ঘতম দুর্ভোগের পথে ঠেলে দিচ্ছে আওয়ামীলীগ ও তার হাজার কর্মীসমর্থককে!

নৌকা আর ধানের শীষে ভোট দিয়ে সোনার বাংলার খোয়াব দেখা আর মান্দার গাছ লাগিয়ে জলপাইর আশা করা একই! বিস্ময়ের ব্যাপার হল দিনের পর দিন আমরা তাই করছি!!

রাস্ট্র, দল ও সমর্থকরা স্থায়ী। সরকার, নেতা ও সিজনাল পদলেহীরা অস্থায়ী। বাংলাদেশ নামক রাস্ট্র, দল আওয়ামীলীগ ও তার হাজারো সমর্থক খেয়ে না খেয়ে এখানেই থাকে, থাকবে। এমন কোনো কম্ম হাসিনার করা ঠিক নয়, যাতে নিরপরাধ আওয়ামীলীগমনা নাগরিকদের এদেশে বসবাস ঝুঁকিপূর্ণ হয়। অথচ সে ঝুঁকিই এখন হাসিনা নিচ্ছেন।

খুবই তাজ্জবের ব্যাপার এতবড় দলে 'সত্য' কথাটা হাসিনার সামনে কেউ বলছেননা। অবশ্য এ ধরনের সত্যকথা শুনার ইচ্ছা হাসিনা ও তার বাবা কারোরই ছিলনা। আর 'অজ্ঞাত' কারণে একবার আওয়ামীলীগ সমর্থন করেছেন এমন লোক হাজারো কুকর্ম চর্মচক্ষে দেখার পরও লীগের পক্ষে সাফাই গাইতে থাকেন। এহেন মনোলিথিক দল আজকালকার যুগে বিরল। কিছু মানুষ নির্বোর্ধের মত জামাতে ইসলামীকে মৌলবাদি দল বলে লেখালেখি করে।

তাদের জ্ঞাতার্থে বলছি- এদেশের প্রধান মৌলবাদি দল আওয়ামীলীগ! অন্তত: মৌলবাদ শব্দটার মানে যদি আমরা বুঝে থাকি। ভারত, র‌্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, একাত্তর টিভি, মুন্নিসাহা ইত্যাদি ধরনের কিছু চরম গণবিবর্জিত ও গণভিত্তিহীন শক্তির জোরে হাসিনা আওয়ামীলীগকে কোটি-কোটি নিরস্ত্র মানুষের মুখোমুখি দাড় করিয়ে দিয়েছেন। আমি বলছিনা যে, বিএনপি ও জামাতের মুখোমুখি! বরং জনগণের মুখোমুখি। করুণা হয় যে, এই সে আওয়ামীলীগ যারা ১৯৭০ সালে এ ভুখন্ডের প্রায় শতভাগ মানুষের প্রাণভোমরা ছিল। মুজিব ও তার সহচররা নির্ভয়ে বাংলার মাটি চষে বেড়িয়েছেন।

অজানা গাঁয়ের লোক, বধুরা তাদের আত্নার আত্নীয় মনে করেছে। চিড়া, মুড়ি, নাড়ু দিয়ে আপ্যায়িত করেছে। আজ সে আ'লীগ র‌্যাব, পুলিশের বেস্টনি পেরিয়ে আসুনতো দেখি খোলা ময়দানে? কথা পরিস্কার। এদেশের মানুষ রাস্ট্রের কাছে বড় বড় রসগোল্লা চায়না, পায়ওনা! পাচঁ বছর পরপর তাদের যৎসামান্য কদর বাড়ে। একটা "ভোট" দিতে পারে।

এ ভোট হাসিনার ও ১টা, খালেদারও ১ টা, আব্দুল আউয়াল মিন্টুরও ১টা, রিকশাচালক আইজুদ্দিনেরও ১টা। অন্তত: এ একটা ইভেন্টে সবাই সমান! তাছাড়াতো কত আইন, বিধি, নীতি, ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স! এ স্বাধীন ও সমান শক্তির "ভোট" জনতার বিরাট অধিকার। কিছু দেশদ্রোহী জারজ উপদেস্টা বা নিজের কূটচাল/জেদ বা ভারতের পরামর্শে হাসিনা সম্পূর্ন নিজের ক্ষমতায় সংবিধানের একটি পরিবর্তন করেছেন যার অপর অর্থহল "পাবলিকের আর ভোট দেয়ার দরকার নাই। আমিই আজীবন ক্ষমতায় থাকব। তারপরে আমার পোলা, নাতি ইত্যাদি ইত্যাদি।

" তার বাবা এ একই কাজ সরাসরি করেছিল। এখন এ কথা বলা বাড়াবাড়ি হবেনা যে- আ'লীগকে ভোট দেয়া খুবই রিস্কি। কারণ ক্ষমতায় গিয়েই সে আপনার ভোটাধিকার হরণ করবে!! তাই নীতিবান নাগরিকরা আওয়াজতুলুন- মিস হাসিনা। প্লিজ গেট লস্ট।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.