আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবশেষে ফারজানা পেলেন প্রবেশপত্র

অবশেষে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ফারজানা আক্তার চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে যাচ্ছেন। অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃপক্ষ চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার বেলা তিনটায় এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে ফারজানা প্রবেশপত্র হাতে পান। এর আগে প্রতিবন্ধী হওয়ায় বা অন্য যে কারণেই হোক, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য ফারজানাকে প্রবেশপত্র দিচ্ছিল না।

এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার পর চোখে সমস্যা থেকে ফারজানা এখন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী।
গতকাল বুধবার প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে ‘চোখের আলো নেই বলে...’ শিরোনামে ফারজানার প্রবেশপত্র হাতে না-পাওয়া সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়। এ খবরের সূত্র ধরে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অবৈতনিক পরিচালক সারা হোসেন বিষয়টি নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি লেখেন।
সারা হোসেন প্রথম আলো ডটকমকে জানান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে যোগাযোগের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠন নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবীরের সঙ্গেও কথা বলা হয়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে অগ্রণী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

নিজেরা করির পক্ষ থেকেও যোগাযোগ চলতে থাকে। অবশেষে অগ্রণী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ফারজানাকে পরীক্ষার প্রবেশপত্র দিয়েছে।
ফারজানা আক্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে এমএ পাস করেছেন। তিনি অগ্রণী ব্যাংকে অফিসার (ক্যাশ) পদের জন্য আবেদন করেন।
অগ্রণী ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ফারজানা আক্তার যেখানে থাকেন।

তার আশপাশের সেন্টারে তাঁর পরীক্ষা নেওয়া হবে।
ফারজানা গতকাল বুধবার প্রথম আলো ডটকমকে বলেছিলেন, ‘ব্যাংকের এ পদের জন্য যা যা চাওয়া হয়েছে সব যোগ্যতাই আমার আছে। চাকরির বিজ্ঞাপনে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা নাতি-নাতনিদের জন্য বয়স ৩২ বছর নির্দিষ্ট করা থাকলেও প্রতিবন্ধীদের জন্য এ বিষয়ে কিছু বলা ছিল না। আমার বয়স ৩১ চলছে। সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী প্রতিবন্ধীরাও ৩২ বছর পর্যন্ত চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

সে অনুযায়ী আমি আবেদন করি। তবে বয়সের কথা বলে আমাকে প্রবেশপত্র দেওয়া হচ্ছে না। ’।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে ১৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।