আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবরোধ, হরতাল আর ধর্মঘটের মধ্যে পার্থক্য কতটুকু ?

ভালো আছি

বিষয়টা আসলেই গোলেমেলে হয়ে গেছে বর্তমান পরিস্থিতির কারণে । হরতাল, অবরোধ আর ধর্মঘটের চেহারা এক ও অভিন্ন । এ নিয়ে তর্ক-বিতর্কও কম নেই । উপমহাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির চর্চা তো অনেক দিনের । শতাব্দি পেরিয়ে গেছে ।

অথচ এর স্বরূপটা মানুষের জানা হলো না । আমি নিজেও তেমন করে জানি না । তবু যেটুকু পেলাম.. হরতাল : বিক্ষোভ প্রকাশার্থে রাস্তাঘাট, কলকারখানা, দোকান, আদলত বন্ধ রাখা । গুজরাটি শব্দ (গুজরাটিতে હડતાળ বা હડતાલ হাড়্‌তাল্‌) মহাত্মা গান্ধি প্রথম ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে শব্দটি ব্যবহার করেন । ১৯ ৪৮ সালে তমদ্দুন মজলিস বাংলাদেশে প্রথম হরতাল ডাকে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ।

ভারত উপমহাদেশ অঞ্চলে ব্যবহার বেশি । তবে রূপভেদে বহুদেশেই চলছে । হরতাল কোনো দেশের জনগণের আইনি হাতিয়ার- লেখা হয়েছে উইকিপিডিয়াতে । কোনো তথ্যসূত্র নেই । এবং হরতালে পিকেটারদের শাস্তি দেয়ার বিষয়েও আইনজ্ঞরা একমত নন ।

অবরোধ : কোনো নির্দিষ্ট স্থানে যাতায়াতে সহিংস বাঁধা প্রদান- এই হলো সংজ্ঞা । গ্রিক উপাখ্যানে ইলিয়াড ও ওডিসিতে ট্রয় অবরোধের কথা আছে । ওই হেলেন কাহিনী আর কি ! ১১৮৭ খ্রিস্টাব্দে সালাউদ্দিন আইয়ূবি জেরুজালেম অবোরোধ করেন । পার্থক্য : হরতালকে বলা হয়েছে সর্বোচ্চ ধর্মঘটের প্রকাশ । সিপিবির মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, হর মানে সব, আর তাল মানে তালা ।

অর্থাৎ সব বন্ধ, সব জায়গায় তালা থাকবে । বেতাল, তেতাল, মাতাল, উম্মাতাল, উত্তাল- এরকম সব ধরনের তালই চলে । আর অবরোধ হলো, রাজপথ, রেলপথ আর নৌপথ রুদ্ধ করা । ধর্মঘট : এটিও গুজরাটি শব্দ । তবে এখানে নাকি পুরাই হিন্দুধর্মের কায়কারবার ।

ধর্ম মানে তাদের মতে, ঈশ্বরোপসনা । আর ঘট হলো বৈশাখ মাসে রীতি পালনার্থে ঘটদানব্রত । এই হলো আমার জ্ঞানের দৌড় । আপনারা বেশি কিছু জানলে জানাতে পারেন..জানাটা খুব দরকার..

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।