আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সি-ইন-এড/ ডিপিএড প্রশিক্ষণ কালীন সময়ে পিটিআই থেকে মাসিক বেতন বিতরণ প্রসঙ্গ।

অন্যায়, দূর্নীতি এবং অসত্যের বিরুদ্ধে কথা বলে যাব, ফলাফল শূন্যই হোক।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য সি-ইন-এড/ ডিপিএড প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক। শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্তির পর বিধি মোতাবেক প্রশিক্ষণ বিহীন শিক্ষকগণকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার পর্যায়ক্রমে পিটিআইতে ডেপুটেশণ প্রদান করেণ। সি-ইন-এড প্রশিক্ষণ হচ্ছে ১২ মাস এবং ডিপিএড প্রশিক্ষণের মেয়াদ ১৮ মাস যা জুলাই- ২০১২ খ্রিঃ হতে চালু হয়েছে। প্রশিক্ষণকালে শিক্ষকগণ তাঁদের বেতনভাতাদি যথাযথভাবে পেয়ে থাকেন, পাশাপাশি মাসিক ১৫০০ টাকা হারে প্রশিক্ষণ ভাতা ও কীট এলাউন্স হিসেবে এককালীন ২০০০ টাকা পেয়ে থাকেন।

২/১টি পিটিআই বাদে দেশের সকল পিটিআই থেকে প্রশিক্ষণার্থীদেরকে মাসিক বেতন নগদ হতে হতে পরিশোধ করা হয়। বেতন প্রাপ্তি নিয়ে প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকগণ ভুগান্তির স্বিকার হননি এমন হয়ত খুঁজে পাওয়া যাবে না। যেসব কারণে পিটিআই থেকে বেতন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকদের ভুগান্তি পুহাতে হয় তা হচ্ছে- ১. শিক্ষকগণের স্থায়ী পদ হচ্ছে তাঁর নিজ উপজেলা। ২. পিটিআইতে প্রশিক্ষণকালীন নির্ধারিত কয়েকমাসের বেতন পাওয়ার জন্য নিজ উপজেলা হতে এলপিসি (শেষ বেতনের প্রত্যয়ন পত্র) আনতে হয়। এই এলপিসি উপজেলা শিক্ষা অফিস হতে উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস, উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস হতে জেলা হিসাবরক্ষণ অফিস আনা যে কত যন্ত্রনা শুধু ভুক্তভুগিরাই জানেন।

৩. যেহেতু যথাসময়ে এলপিসি পিটিআই এবং জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে পৌছানো অনেকের পক্ষে সম্ভব হয়না তাই পিটিআই অফিস যথাসময়ে বেতনবিল তৈরি করতে পারে না। ৪. পিটিআই থেকে বেতন বিল প্রস্তুত করে জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে পাঠানোর পরে হিসাবরক্ষণ অফিস বিভিন্ন অযুহাতে (এলপিসিতে এই সেই, বরাদ্দ নাই ইত্যাদি) বিলে আপত্তি। (ম্যানেজ করতে হয় তাদেরকেও)। ৫. নগদ হাতে হাতে বেতন প্রাপ্তির কারণে প্রতি মাসে লম্বা লাইন দিয়ে বেতন গ্রহণ করতে হয়, যা শিক্ষক হিসেবে অপমানজনকই মনে হয়। ৬. প্রশিক্ষণ ক্লাস চলাকালীন সময়ে যেহেতু বেতন গ্রহণ করতে হয় এতে বেতন গ্রহণের দিন প্রশিক্ষণ ক্লাসে বিঘ্ন ঘটে।

৭. ডিপিএড প্রশিক্ষণ (১২ মাস পিটিআইতে এবং শেষ ৬ মাস নিজ বিদ্যালয়ে) মোট ১৮ মাস। শেষ ৬ মাস যেহেতু নিজ বিদ্যালয়ে থাকতে হয় এমতাবস্থায় প্রত্যন্ত অঞ্চল হতে প্রতি মাসে পিটিআইতে যেতে হয় শিক্ষকগণকে। শুধুমাত্র বেতন গ্রহণের জন্য গাড়িভাড়া খরচ ও সম্পুর্ণ ১দিন সময় নষ্ট হয়। ৮. বর্তমানে দেশের যে অবস্থা তাতে প্রত্যন্ত অঞ্চল হতে বেতন গ্রহণের জন্য পিটিআইতে আগমন এবং নিরাপদে আবার বাড়ীতে প্রস্তান অকল্পনিয়। ৯. প্রশিক্ষণ শেষে আবার নিজ উপজেলায় বেতন প্রাপ্তির জন্য পিটিআই থেকে এলপিসি (আগের মতই) আনতে হয়।

উপরোক্ত ভুগান্তি ও হয়রানি থেকে মুক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে অনুরোধ শিক্ষকদের সি-ইন-এড/ ডিপিএড প্রশিক্ষণকালীন সময়ে নিজ উপজেলা থেকে বেতনবিল প্রদান করা হউক। উপজেলা থেকে গতানুগতিক ভাবে বেতনবিল প্রদান করা হলে শিক্ষকগণের ব্যাংক একাউন্ট হতে শিক্ষকগণ তাঁদের প্রয়োজনমত বেতন উত্তোলন করতে পারবেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.