আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই সরকারের আমলে ব্যাংকের স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো হচ্ছে না

নির্বাচনকালীন সরকারের আমলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো এবং রাষ্ট্রমালিকানাধীন চার ব্যাংকের অভিন্ন বেতনকাঠামো হচ্ছে না।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গতকাল রোববার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ সময়ে তা হতে পারবে না। এর জন্য দুটি সিদ্ধান্তের দরকার ছিল। সচিব কমিটির অনুমোদন ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন।

দুটিই হয়ে আছে। কিন্তু পরিপত্র জারি করতে গিয়ে দেখা গেল, কিছু জটিলতা রয়ে গেছে। ’
আশাবাদ জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তবে এটি বাস্তবায়িত হবে এবং আমি তা করে যাচ্ছি। ’
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগের জারি করা আদেশের বলে এবং জাতীয় বেতনকাঠামো, ২০০৯ অনুযায়ী বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, রাষ্ট্রমালিকানাধীন কোম্পানি, বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের কর্মকর্তারা বেতনভাতা পেয়ে আসছেন।
চাকরি (পুনর্গঠন ও শর্তাবলি) আইন, ১৯৭৫-এর ৫ নম্বর ধারার ক্ষমতাবলে এ আদেশ জারি হয়।

স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো করতে গেলে বিদ্যমান চাকরি (পুনর্গঠন ও শর্তাবলি) আইন সংশোধন করতে হবে। আর যেকোনো আইনেরই সংশোধনের এখতিয়ার রাখে জাতীয় সংসদ।
বিদ্যমান জাতীয় বেতনকাঠামো অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক এবং চার ব্যাংকে বর্তমানে ২০টি গ্রেড থাকলেও তা ভেঙে ১১টি গ্রেড করার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে বলে জানা গেছে। নতুন বেতনকাঠামো অনুযায়ী সর্বনিম্ন গ্রেডে মূল বেতন হবে ছয় হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ গ্রেডে হবে ৫৫ হাজার টাকা।
আইনি বাধার কারণে যদি সম্ভব না হয়, তাহলে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে পরিপত্র জারি করা হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আগের সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশে কিছু করা হবে না।


নতুন বেতন কমিশন গঠিত হলো মাত্র এবং এ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে হবে নতুন জাতীয় বেতনকাঠামো—এসব কথা তুলে ধরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানান, তখন ব্যাংকের স্বতন্ত্র বেতনকাঠামোর চেয়ে জাতীয় বেতনকাঠামোর বেতন-ভাতা সমান বা বেশি হবে। বিষয়টি আরেকটি জটিলতা তৈরি করবে এবং ব্যাংকের জন্য আবারও সংশোধনের দরকার হয়ে পড়বে। সুতরাং, পরবর্তী জাতীয় বেতনকাঠামোর সঙ্গেই ব্যাংকের স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো কার্যকর করার একটা চিন্তাও রয়েছে সরকারের।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ চার ব্যাংকে বর্তমানে ৬১ হাজারের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে চার হাজার ৯৫৮ জন, সোনালী ব্যাংকে ২৩ হাজার ৩৬৩ জন, জনতা ব্যাংকে ১৫ হাজার ১৪৬ জন, অগ্রণী ব্যাংকে ১৩ হাজার ৫৫৮ জন ও রূপালী ব্যাংকে চার হাজার ২৯৩ জন রয়েছেন।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।