আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একদিকে চলছে আনন্দ, ওপর দিকে চলছে তান্ডব...রুখে দাঁড়াবে কে?

হাজারটা স্বপ্ন একটি বাস্তবতাকে বদলাতে পারে না

রাত ১০টার কিছু পরেই কার্যকর হয়ে গেল রাজাকার কাদের মোল্লা ওরফে কসাই মোল্লার ফাসি। সেই ফেব্রুয়ারী মাস থেকে ফুসে উঠা শাহবাগে তখন আনন্দ মিছিল। জাগরণ মঞ্চে নেমে এল আনন্দের জোয়ার। ফেসবুক স্ট্যাটাসের বন্যা বয়ে গেল। দেশকে রাজাকারের কলংক মুক্ত করার পথে এক পা এগিয়ে গেল দেশ।

কিন্তু এত আনন্দের মাঝে চোখের আড়ালে কি চলছে একে একে ভয়াবহ তান্ডব। ফাসিকে কেন্দ্র করে দেশের আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী আগে থেকেই সতর্ক ছিল। এর মধ্যে ফেসবুকে বখতিয়ারের ঘোড়া নামে একটা পেইজে দুই বিচারপতিকে হুমকি দেয়া হল। দলের ভিতর থেকেও সরাসরি হুমকি দেয়া হয় সরকারকে। ফাসির খবর শুনার পর হরতাল ডাকও দেরী করল না জামাতীরা।

ঠিক বিজয় দিবসের আগের দিন ডাকা হল এই হরতাল। এর মধ্যেই রাত জুড়েই চলল জামাত শিবিরের দূর্বৃত্তদের তান্ডব । ফাসির ঘটনার পর সাতক্ষীরার এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে পিটিয়ে মারা হয়। দিনাজপুরে আওয়ামী সাংসদের বাড়িতে আগুন দেয়া হয়। এ সময় একটা পেট্রল পাম্পেও আগুন দেয় তারা।

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় জ্বালিয়ে দেয়া হয় আওয়ামী লীগ কর্মীদের বাড়ি ও দোকান। নওগার পোরশায় ভূমি অফিসে এবং একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। সিলেট ও সিরাজগঞ্জের দুটি থানায় ককটেল ফোটানো হয়। এতে যদিও কেউ হতাহত হয়নি। তবে জয়দেবপরে রেল জাংশনে পেট্রলবোমায় আহত হয় সাত হন ।

ট্রেনের প্যানেল বোর্ড ও টেলিফোন-সংযোগ লাইন নষ্ট হয়ে যায়। নির্বাচনী পোস্টার লাগানোর সময় কুপিয়ে জখম করা হয় এক সিরাজগঞ্জের বাহুলী বাজারে ছাত্রলীগ নেতাকে । এখানেই শেষ নয়। এর আগে নোয়াখালিতে ট্রাইবুনাল বিচারপতির বাড়িতে পেট্রল হামলা হয় । তবে জামাত এর দায়-দায়িত্ব স্বীকার করেনি ।

একই দিনে পজেলা মুক্তিযোদ্ধার সাবেক কমান্ডার হাসমত উল্লা চৌধুরীর বাসায় হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। ইতিপূর্বে চাপাইনবাবগঞ্জএ আরেক আরেক বিচারপতির বাড়িতেও আগুন দেয়া হয়েছিল। দূর্বৃত্তের হামলায় সাঈদীর মামলার এক সাক্ষীর মৃত্যু হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে প্রয়োজন জামাত-শিবিরের এ তান্ডবের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর।

কিন্তু কারা করবে এ কাজটা? দুর্বৃত্তের কাছে দেশের আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীও টিকতে পারছে না। চোরাগোপ্তা হামলায় ধরাও পরছে না কেউ। রাজাকারের ফাসির মাধ্যমে জামাতের অপশক্তি কিছুটা দূর্বল হয়ে গেলেও পুণরায় পূর্ণশক্তি নিয়ে আবির্ভূত হতে পারে তারা যে কোন সময়। তাই এখনি সময় তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার। আমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে তাদের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে।

যে যেই দল-মতের হোন না কেন, আসুন সকলে মিলে জামাতকে বর্জন করি, দুর্বৃত্তকে বর্জন করি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.